
আমার ধারনা, বান্দরবেলায় (ছোটবেলা) সবারি একটি করে উপনাম বা নিকনাম থাকে। সেটা পারিবারিক বা বন্ধুমহল যে কোন মহল থেকে আসতে পারে। নাম গুলো অতিব বাহারি অর্থাৎ সুন্দর/সুন্দরি হতে হবে এমন ধরা বাধা নিয়ম নাই।
তবে এটা মানতেই হবে যে প্রত্যেকটা নামের পিছনে কোন না কোন ইতিহাস থাকে। আর এই ইতিহাস কে ধরে রাখার বা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই দুষ্টু বা মিষ্ট শুভাকংখীরা এমন উপাধী বা উপনাম দিত।
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ইতিহাস গুলো সুখকর হয়না । সে সব ক্ষেত্রে উপনাম গুলোও সুখকর হয়না। যেটা থেকে উপাধী প্রাপ্ত ব্যাক্তি লজ্জিত বা রাগান্নিত হোন। আর তা থেকেই মজা লুটে নেয় নাম প্রয়োগকারীরা । ভাবে এ নামে ডেকে তাকে ক্ষ্যাপানোতেই যেন রাজ্যের যত আনন্দ।
আমাদের পরিবারের সদস্যদের বান্দরবেলায় তেমনি কিছু উপনাম বা নিকনাম ছিল।যেমন:
দুলী:- ছেলে মানুষ তবু তার কানে দুল (ছোট স্বর্নের রিং) ঝুলান থাকতো।
গরীব বাবু:- অন্যায় করে শাস্তি থেকে নিস্কৃতির জন্য নিজেকে বাবুর কাছে গরীব বলে দাবী করা।
বুকড়ী:-দাঁত পড়ে গিয়ে ফোকলার কারনে বুকড়ী বলা হতো।
পুকচী>> পুচকী :-
গুমা:- সব সময় চুপচাপ থাকতো বলে গুমা ডাকা হতো।
কান্দনী:- সব সময় কান্না কাটি করতো বলে কান্দনি ।
শুকটী>> শুটকী:- দেখতে চিকন চাকন বলে শুকটী ডাকা হতো।
উপরোক্ত নাম গুলো দেখলেই বুঝা যায় এগুলো আদি যুগের নাম। আদি যুগ পার করে এখন আমরা ডিজিটাল যুগে বাস করছি । তাই বলে কি আমা দের উপনাম প্রথা উঠে গেছে ??? না উঠে যায়নি। বরং নাম গুলোও ডিজিটাল হয়ে গেছে । যেমন নাম গুলো এমন হয়ে গেছে ......
জিম ......... জিমন
হ্যাপি........... হ্যাপন
যুথী.............যুথন
লিসা..............লিসন
মেমোসা............মেমোন
তানিয়া............ তানিন
মীম................. মীমন
এগুলো এখন আমাদের পরিবারের উপনাম । আদুরে ডাকও বলতে পারেন।
পাঠক আপনাদের বান্দরবেলায় নিশচয় এমন মধুর উপনাম বা নিকনাম
ছিল । সেটা আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।