আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য চলমান আন্দোলন সংগ্রামের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি একসাথে চলবে। একতরফাভাবে কাউকে নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ভোট চুরি ঠেকাতে যার কাছে যা আছে তা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। এবার ভোট চুরি করতে আসলে লগি-বৈঠা দিয়ে প্রতিহত করা হবে। চোর না ধরে চোরের ভয়ে পালিয়ে যাব না। পদত্যাগকারী চার উপদেষ্টা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চোর না ধরে উনারা চলে গেলেন কেন? উনারা সেটা করলে জাতির জন্য ভাল হতো।
শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবু পরিষদের উদ্যোগে ুমহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় ও আজকের বাংলাদেশচ্ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বিচারপতি কেএম সোবহানের সভাপতিত্বে সভায় প্রব উপস্খাপন করেন, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এসএ মালেক। এতে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম, প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান পরিস্খিতিতে দলের নেতা-কর্মীদের হতাশ না হবার আহক্রান জানিয়ে বলেন, হতাশ হওয়া যাবে না। এবারে ভোটচুরি করা এত সহজ হবে না। ভোট চুরির জন্য শক্ত হাতে সকলকে দাঁড়াতে হবে। চোর ঠেকাবার জন্য যে কোন আত্মত্যাগের প্রস্তুতিও থাকতে হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় যাবার জন্য বেসামাল হয়ে পড়েছেন। যাকে প্রকাশ্যে স্বামীর হত্যাকারী বলেছেন, আজকে ক্ষমতার জন্য সেই এরশাদের হাত-পা ধরছে। কাউকে ভোট চুরি করতে দেয়া হবে না। এই চোরদের কিভাবে প্রতিহত করতে হবে এবং কিভাবে শিক্ষা দিতে হবে দেশবাসীকে আজকে সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বিএনপি-জামায়াত জোট দুর্নীতি, লুটপাট করে এখন ভোটচুরিতে ব্যস্ত। ইয়াজউদ্দিনকে দিয়ে ভোটচুরির কলাকৌশল করছে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, তাদের ভোট চুরির ফর্মুলা তৈরি আছে। তারা ভোটের ফলাফল যে পাল্টিয়ে দিতে পারে ৪ জন উপদেষ্টার পদত্যাগের পর তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তিনি পদত্যাগকারী উপদেষ্টাদের কাছে প্রশ্ন রাখেন, চোর আমার ঘরে চুরি করবে এজন্য কি দরজা খুলে দিব না ধরে শাস্তি দিব। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছি। যতদিন জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন আন্দোলন চলবে।
দৈনিক পত্রিকা থেকে
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০