আইজকা সকাল সকাল বিডিনিউজ খুইলাই দেখি আ গা চৌ' মানবতাবাদী হয়ে গেছে! আগা চৌ মানুষের সন্তান ... হইয়া কিভাবে এত মানবাতাবাদী হইলো? আমার সন্দেহ হয়! এর অতীত ইতিহাস বড় ভয়ংকর। এই যে একটা লোভী স্বার্থবাদী ধান্দাবাজ অনেকই তাদের লেখায় প্রকাশ করেছে। একটি বিশেষ ধর্ম কে নিয়ে তার বিদ্বেষী ভাব সে বহুবার প্রমান করেছে। এ হলো যায় একটা পা চা টা প্রাণী। যাই হোক তার জীবনে সে ২১ ফেব্রুয়ারী নামে একটা কবিতা বা গান লেখছে এইটাই তার সম্পদ। এ ছাড়া তার কিছুই নাই। কিছু দিন সে লেখে ভোরের কাগজে তারপরে যুগান্তরে হের পরে প্রথম আলোতে এভাবে একটার পর একটা!! এটা তার স্বাধীনতা কিন্তু ছেড়ে আসা পত্রিকার মালিক এবং সম্পাদকদের নিয়ে তার বিদ্বেষী গেয়ান ডেলে যাওয়ার কারন। বুঝা যায় সে এক জনের ধন সম্পদ নিয়া খুশি নয়! বিভিন্ন জনের ধন সম্পদ সে পাইতে চায়।
সে গত বিশ বছরের ও বঙ্গবন্ধু'র জীবনি লেখার টাইম করে উঠতে পারে নাই। বড় আফসুসের কথা হইলো তারপরে ও সে হাসিনার কদ্মবুসি করে পুরুস্কার ভাগাইতাছে। সবার মনে আছে কি না জানি না কয়েক বছর আগে সে দুনিয়া বাজিয়েছে যে বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে সে মুভি বানাবে সেই মুভির কেন্দ্রীয় চরিত্রে(বঙ্গবন্ধু) বলিউডের অমিতাভ বচ্চন, এবং তার ছেলে অভিনয় করবে। ভালো কথা! দুঃখের বিষয় হলো সেই মুভি এখনো পর্যন্ত জাতি দেখতে পাইলো না! হের উপরে অমিতাভ বচ্চন অস্বীকার করলো যে এমন মুভিতে তার অভিনয় করা নিয়ে কোন কথাই হয় নি!! অথচ সে বাজার বাজিয়েছে! নিশ্চয় কিছু ইনকাম করতে চেয়েছে। না হলে অমিতাভ মিথ্যাবাদী। এমন মিথ্যাবাদী ভন্ড নাকি আবার মেয়ের বয়সের রাধুঁণী লইয়া প্রগতি চর্চা করে! ব্যায়াপক নির্লজ্জ মিথ্যেবাদী মানুষ যদি বঙ্গদেশ কখনো জন্ম নিয়া থাকে তবে সে কিন্তু তালিকার প্রথম দিকে থাকবে।
আ গা চৌ পাকিস্তান বিদ্বেষী। ভালো কথা। কিন্তু ইতিহাস অনুযায় সে বিট্টিশ বিদ্বেষী হওয়ার ও কথা ছিলো। সে এখন থাকে কোথায়? ৭১'র যাদের স্মরণে আছে তারা অবশ্যই পাকিস্তান বিরুধীতা করবে এতে মন্দের কিছু নাই। তবে সাথে সাথে পরম ভারত প্রেম নিশ্চয় বাংলাদেশ প্রেম বুঝায় না? এখন প্রশ্ন হলো পাকিস্তানীরা বাংলাদেশ তথা পুর্ব পাকিস্তান কে কত দিন শাসন করেছে? ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ তার মানে ২৪ বছর?
আগ্গে ঠাকুর আ গা চৌ এখন কও তো বিট্টিশেরা এই দেশ কত বছর শাসন করেছে? নিশ্চয় সে জানে এবং আপনারা সবাই জানেন। ২০০ বছর। কত লুটপাট করেছে? কত মানুষ মেরেছে? আজকের বাংলাদেশ যে ক্ষুদ্র সীমানা নিয়ে বেঁচে আছে বাঙালীত্ব নিয়ে তার পিছনে কে ছিলো? লর্ড জিন্নাহ কি? নাকি লর্ড বেটেন? তোমার পুর্ব পুরুষদের কে যারা ২০০ বছর শাসন করেছে লুটপাট করেছে স্বাধীনতা সূর্য্য ডুবাইয়া দিছে এবং নিখিল বঙ্গ কে ভাগ করেছে তাদের প্রতি তোমার কোন ঘৃণা জাগে না? ক্যাম্নে জাগবো? তোমার মতো আ গা দের কে কুত্তার ভাতা দিয়া পালতেছে? তাহলে মীর জাফর কি দোষ করেছে? অথচ তুমি বাঙালীত্বের গেয়ান দিতেছো লন্ডনে বসে! শুনছি অনেক রাজাকার ও নাকি সেখানে তোমার মতো ভাতা খায়? তাহলে পার্থক্যটা কুতায়? একই পাতিলের খানা তুমি আর রাজাকারে খাইতাছো! আর মানবতার গিয়ান বিতরণ করতাছো মহিউদ্দিনের হয়ে কারনটা কি? সে তোমাকে মুভি বানানোর জন্য টেকা দিয়েছে তাই? দেখো তোমারে অনেকবার লেংটা করা হয়েছে কিন্তু তোমার কোন শরম নাই সেই প্রাণীটার মতো।
এখন তার( আ গা'র) আরো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক ..... ২০০৭ সালের আগষ্ট মাসের ২৭ তারিখে নিউ ইয়র্কে উদীচীর সম্মেলন সর্বজান্তা আ গা চৌ আহবান জানিয়েছেন যে " সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া মুক্তির পথ নেই"
Click This Link (সাথে দ্বীপ বালক ভাইয়ের পোষ্ট টি পইড়েন আর কি।) এমন আহবান পাকিস্তানী জারজ অথবা ভারতীয় পালিত কুত্তা ছাড়া কেউ কামনা করতে পারে না। অথচ হের পরে স্বাধীনতা পুরুস্কার টা আ গা চৌ পেয়েছে!! যাই হোক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সশস্ত্র সংগ্রাম তোরাব আলী সেলিমেরা শুরু করার পর জনাব আ গা চৌ কি বলেছে জানেন? কইতাছি তার আগে বিডিআর বিদ্রোহের পর ভারতীয় মিডিয়ার "র" মারফত পাওয়া সংবাদ সমূহ এবং আমাদের কর্নেল ফারুক, আবেদ খান ও সেক্টর কামন্ডারেরা কি বলে ছিলো মনে আছে? জামাত তথা যুদ্ধাপরাধী এবং জঙ্গিরা বিডিআর বিদ্রোহ করেছে! তোরাব আলী, তার ছেলে লেদার লিটন বাংলা ভাইয়ের গেলমান আছিলো? না কি জামাতের শেখ সেলিম, শেখ তাপসেরা তৌহিদের সাথে মিটিং করেছে? যাই হোক সবাই তো সব অনেক কথা বলেছে কিন্তু আ গা চৌ কি বলেছে?
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রোববার গাফফার চৌধুরী বলেন, "খালেদা জিয়া, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে পাঠালে এই ষড়যন্ত্রের কথা বের হয়ে যেতো। আসল অপরাধী ধরা যেতো।"
তিনি বলেন, "২৫ ফেব্র"য়ারি বিডিআর সদরদপ্তরে যা ঘটেছে তা নতুন ঘটনা নয়। ১৯৫৪ সাল থেকেই এই ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র চলছে।" (ঢাকা, মার্চ ৮ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ২০০৯) কিন্তু ২০০৭ এ সে কেন আহবান জানিয়েছে? ২০০৭ সাল টা কি ১৯৫৪ এর পরে?
১/১১ পরে হাসিনা কে যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন আমাদের সাংবাদিক তাসনীম খলিলের সাথে এক সাক্ষৎকারে জনাব আ গা চৌ বলেছেন ....বাংলাদেশের যে সেনাবাহীনী তা মূলত পাকিস্তানের.... এ রকম কিছু।( সেই সাক্ষৎকারের অডিও লিংকটা খুজতে হবে) যাই হোক অথচ মঈন দীপকের ঘোড়া নিলো ভারত থেইকা! জলিল বলিলো ক্ষমতা লাভের সমঝোতার কথা। এরশাদ বলিলো সেনাবাহিনীর সহযোগিতা ছাড়া মহাজোটের ক্ষমতা পাওয়া কোন দিন সম্ভব ছিলো না! আগা চৌর কথা অনুসারে এখন প্রশ্ন হলো পাকিস্তানের এ দেশীয় সেনাবাহিনীর সাথে হাসিনার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দলের সাথে সমঝোতা হইলো ক্যাম্নে আ. গা চৌ? এখন তুমি বলো যারা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সাথে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য সমঝোতা করে তারা কি রাজাকার?
এখন জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন আ গা চৌ কে আর কি কি পুরুস্কার দেয়া যায়? স্বাধীনতা পুরুস্কার তো বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের আহবান জানিয়ে পাইলো। আর কি কি পুরুস্কার দেয়া যায়? দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের আহবানের জন্য তার কি বিচার হওয়া উচিত?
এই খবরটা পড়েন আজকের খবর.....
আ গা চৌ গতকাল শনিবার বিকেলে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এক স্মরণ সভায় বলেন, "তারা মেয়র মহিউদ্দিনকে তার মরনাপন্ন মেয়েকে দেখতে দেয়নি। তারা মানুষ নয়, নরপশু।' "এর জন্য দায়ী সাবেক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুল মতিন, আনোয়ারুল ইকবালসহ অন্যদের মানবতাবিরোধী কাজের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার করা উচিত। আমি আজকের স্মরণ সভায় কাঁদতে আসিনি, বিচারের দাবি নিয়ে এসেছি।"
কিন্তু উপরের ছবিটা দেখুন.... সে (আ. গা চৌ ) মানিক মিয়া পুরুস্কার পাইয়া মঈনুলের কথা ভুলে গেছে.... এখন মতিন, ইকবালদের কাছে কত টাকা চায় আ গা চৌ?
তারপরে এই খবরটা পড়েন..... ৫ এপ্রিল ২০০৯ এর খবর।
অমর একুশের রচয়িতা কবি ও প্রখ্যাত সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে গতকাল নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট প্রদান করেন চট্টগ্রামের মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী - যাযাদিন।
বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেছেন, (সরকার গঠন করেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় নেই। আওয়ামী লীগ ইজ ইন অফিস, বাট নট ইন পাওয়ার) ক্ষমতা রয়েছে সামরিক বাহিনী, পুলিশ, বিডিআর, আমলা ও মৌলবাদীদের হাতে।
দেশ এখন গভীর সঙ্কটে। এ সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য শেখ হাসিনাকে শত্রু-মিত্র চিনতে হবে। সংগ্রামের সঙ্গী বাছাই করে নিতে হবে। গতকাল নগরীর লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ, প্রফেসর গাজী সালেহউদ্দিন, কবি আসাদ চৌধুরী, প্রফেসর শাহ আলম, আফরোজা কালাম প্রমুখ।
২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানার নৃশংস হত্যাকা-ের ব্যাপারে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর উদ্দেশ্যে পিলখানা হত্যাকা- ঘটানো হয়। এ উদ্দেশ্য সফল হলে দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম হতো। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতৃপ্রদত্ত সাহস দিয়ে সঙ্কট মোকাবেলা করেছেন। সভায় সিটি মেয়র বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মুভি তৈরি করার জন্য আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে ৫ কোটি টাকা অনুদান দেয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী রচনার যাবতীয় খরচ বহন করার এবং চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের রাস্তাটির নাম আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী সড়ক করার ঘোষণা দেন।
২০০৭ সালের গৃহযুদ্ধের আহবান কিভাবে ২০০৯ এ ঘটলো? এখন আ গা চৌ কে কি রিমান্ডে নিয়া জিগ্গেস করা হবে? জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন? মেয়র মহিউদ্দন নিশ্চয় তার আব্বার সম্পত্তি দিয়া আ গা চৌ খুশি করে নাই। শুধু সুযোগ করে দিয়েছে। কোন নীতিমালায়? আ গা চৌ তা কিভাবে ভুলে যাবে? তবে সে ভুলে যাবে মহিউদ্দিন থেকে টাকা পাওয়া বন্ধ হওয়া মাত্র। যাক সে যে হেতু টাকা খেয়ে আবেগী হয়ে কবিতা আউলাইছে আমি কেন আউলাইতে পারুম না?
আমি ও পোষ্টাইতে আসি নাই আ গা চৌর বিচার চাইতে আসিয়াছি কারন সে বিডিআর বিদ্রোহের ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত। আবদুল মতিন, ইকবালদের বিচার হোক বা হবে কিন্তু আ গা চৌ'র কি হবে? জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিবেকের কাছে প্রশ্ন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৩১