তুমি সকলের-
এ সকাল ভোর, এ রাত অঝোর, এ হাওয়া মলিন, এ দিন কঠিন
এ ভিজে আলো, এ জোনাক খাম, ফিকে হওইয়া স্মৃতি,লিখে রাখা নাম
ঘুনে খাওয়া মাঠ, খুনে ছাওয়া মাঠ, তুমি এসবেরই
যখন যে চেয়েছে তোমাকে তুমি সকলেরই!
তুমি কারোর না-
আমার বা তার না, কারো উপহার না, কারো আবদার না,
কারো সংসার না, অলংকার না, জোস্নার হার না,
কারো লেগুন না, কারো বেথুন না, কারো স্নান না
কারো আমিষ না, কারো নিরামিষ না, স্নানঘরে গান না!
কারো দর্শন না, কারো ধর্ষণ না , না কারো ফুল
না তুমি কুমড়ো লতা, না তুমি স্মৃতির খাতা, বেহায়া বকুল!
তুমি সময়ের-
শরতে বা গ্রীষ্মে গোপনে প্রকাশ্যে
সকালে বা সন্ধ্যায়, রাতের রজনী গন্ধায়
অতীতে ভবিষ্যতে বা বর্তমানে, এখানে ওখানে সেখানে সবখানে
পেয়েছে তোমাকে সময় সৃষ্টি শুরুর আগে ,বিংব্যাং এ, মহাবিশ্বের মহাকান্ডে
সৃষ্টি শেষের শেষেও তুমি সময়ের, উত্থানে পতনে,আথানে পাথানে শিথানে!
কিন্তু তোমাকে কভু পাবে না কখনো ঘড়ি , ঘণ্টার কাটায়, মিনিটে সেকেন্ডে!
তুমি স্রষ্টার যে তোমাকে আঁতুড়ঘরের মত জানে
যে তোমাকে চায় সোনালী মাংসে,পাঁচ পয়সার গলে যাওয়া মোমে
তুমি তারও যারা তোমাকেই দেবী মানে!
যে তোমাকে চায় শুভ্র রাজহংসে, বুকের পশমে!
যে তোমাকে চায় খুব পৌরুষে, সোনালী কাবিনে
যে তোমাকে পূযে দেবীর আরসে, রাতের শরীরে
যে তোমাকে চায় পাটাতনে পিষে প্রবল মিথুনে
যে তোমাকে চায় পবিত্র আরশে একলা রমনে!
তুমি ইতিহাসের চুপিচুপি কানাকানি কিন্তু নিস্তব্ধতায় তোমাকে যায় না শোনা
খুব কলরব দাঙ্গা হানাহানি, আবার এর মাঝেই তুমি হুইস্পারের মত প্রার্থনা!
তুমি হাত, মোনাজাত ,আঁজলা, প্রার্থনা বানী
তুমি অসুখ, ঔষধ,তৃষ্ণা, জল, মিষ্টি পানি।
তুমি সেই প্রার্থনা যে প্রার্থনায় শুধু তোমাকেই চাওয়া যায়!
শুধু তোমাকেই পাওয়া যায়-
কার কাছে চাই? যে তোমাকেই চায় আবার!
ঈশ্বর নাম , প্রেমিকা লাগো তুমি জিসাসের বাবার!
হা ইশ্বর! হা ঈশ্বর! মুখোমুখি এসে থামি!
চাই তোমাকে! চেয়ে থমকে যাই!কাকে চাইলাম আমি!
কার কাছে চাইলাম আমি!
প্রেমে পড়লে সবাই নাকি কবিতা লিখে
তোমাকে বলি রাখি, কান খুলে শুনে রাখো ,
ঈশ্বর যদি সত্যি সত্যি কোনদিন তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখতেন তার নাম হতেম “আমি!”
ঠিক ধরেছ! এই যে জীর্ণ , দীর্ণ , মলিন, হতাশ, অসহায়, ভিখারি, আশাহত, অর্ধমৃত
ব্যর্থ আমাকে দেখছ?? হ্যাঁ হ্যাঁ, বাবা ঠিক ধরেছ এই আমি!এই যে , এই আমি!