বিস্তীর্ণ মাঠ ভরে গেছে রৌদজ্জল
উশৃঙ্খলতায়-
দীপ্ত মাঠ ভরে গেছে জনগন নামক এক
প্রছন্ড পঙ্গপালে-
আজ নাকি মুক্তি আসবে-
আজ নাকি চাহিদা মিটবে-
আজ নাকি প্রতিটি মানুষ হামা দিয়ে সুখ
খাবে-
আজ নাকি এক অপ্রতিরোধ্য সূর্যের দিন।
ভরে গেছে,ভরে গেছে-
লক্ষ লক্ষ উত্তাল শ্লোগানে মাঠ পথ
ভরে গেছে-
প্রছন্ড শ্লোগানের ভয়াবহতায় নগরের সব
পাখি উড়ে গেছে-
ক্রোধান্বিত পঙ্গপালের মাঝে থাকা ভঙ্গুর
মঞ্চে নেতা বসে আছেন,
হাসছেন, বলছেন-
তোমরা কি চাও?
-আমরা বাঁচতে চাই,
-আমরা একটি গনত্রান্ত্রিক কবিতা চাই,
-আমরা আমাদের জন্মভূমি ধর্ষণের বিচার
চাই,
-আমরা ৩০ লক্ষ হাড়গোড়ে গড়া এক
কিনবদন্তি লাল সবুজ চাই।
নেতা শুনলেন-
বুঝলেন-
বললেন,হবে , সব হবে-
রৌদ হেঁসে উঠল, বাসন্তিক গাড়
সুখে প্রশান্তি ভেসে বেড়ালো,
নেতার গমগমে স্বর বলে উঠলো-
তোমরা আমার শিকল খুলে দাও-
আমি তোমাদের মুক্তি দেব,
নেতার মঞ্চের চারপাশে তালা মারা এক
প্রচণ্ড শিকল,
জনগন দমে না, তাদের কাছে চাবি আছে-
তারা হাত তুলে চাবি দেখাল-
আজ তারা মুক্তি নিয়েই যাবে-
এক থালা সুখ পেট ভরেই খাবে-
-একি?
একটি চাবি, আজ লক্ষ লক্ষ অংশ-
বিভক্ত জনগনে চাবি ভেঙ্গে চুরে গেছে-
সন্দেহের দৃষ্টিতে এ তার দিকে তাকায়-
কেউ কারও অংশ কাউকে দেবে না-
তাদের মুক্তি দরকার নেই-
তারা মুক্তি নেবে না-
তারা এক হবে না।
আজ আর এক অপ্রতিরোধ্য সূর্যের দিন
হবে না।
লক্ষাধিক পঙ্গপালের প্রচণ্ড
মতানৈক্যে মাঠে নেমে এলো এক
বেহায়া সূর্য।