তবে তাই হোক.
মহাখালী ফ্লাইওভারের উশৃঙ্খল সোডিয়াম আলোতে-
জীবনানন্দ দাশ থেকে- ফ্লাইওভারে দাড়ানো অসংখ্য অখ্যাত কবিদের সিগারেটের বিষন্ন টানে-
এক অজস্র নক্ষত্রের রাতে-
কবিতার নামে হুলিয়া জারি হোক.
হুলিয়া জারি হোক সকল প্রেমিক-প্রেমিকার নামে-
যারা হলুদ সোডিয়াম রাতে রিকশায় ঘুরতে ভালবাসে.
কিংবা জারি হোক দ্বিধাহীন যুবকদের অগ্রাসী চেতনায়-
যে চেতনারা হারিয়ে গেছে-
এক হালছাড়া ক্লান্ত ভঙ্গিতে,
মিলিয়ে গেছে হলুদ সোডিয়ামকে অগ্রাসী বুনো জোছনা ভেবে-
যাকে খুঁজে পেতেই হবে.
আজ কবিতার নামে
হুলিয়া জারি হোক.
জারি হোক-
সকল জীবনবোধের বিরুদ্ধে-
যে জীবনবোধেরা এক গন্তব্যহীন ট্রেনের মত ছুটে চলে-
ছুটে চলে অসংখ্য আলোকজ্জ্বল খালি কামরা নিয়ে-
দুর্বার রাতভাঙ্গা ভঙ্গিতে-
মাইলেই পর মাইল,
অন্ধকার দিগন্ত ফুঁড়ে.
হুলিয়া নিয়ে ছুটে চলা এক পুরোন কবি
ঝকঝকে আলোকপূর্ন ট্রেনের প্লাটফর্মে এসে দাঁড়ায়,
চারপাশে নিস্তব্ধতার বিদ্রুপ ছিল-
কামরায় কেউ ছিলো না-
এক বৃষ্টিভেজা প্লাটফর্ম যেন কবির হাতে-
হুলিয়ার হাতকড়া পরায়.