somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশেষ বুলেটিনঃবুয়েটের ভিসি ও প্রোভিসি বিচারের সম্মুখীন!

১৭ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অতঃপর নরকের ফেরেশ্তা ডাকিলেন বুয়েটের ভিসি নজরুল কে! অবাক হইয়া তিনি দেখিলেন একজন লোক আসিতেছে যার পশ্চাত অংশে একটা চেয়ার লাগানো! ফেরেশতা একটু অবাক হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন,কিরে তোর পশ্চাত অংশে চেয়ার লাগানো কেন?
ভিসি কহিলো;এইডা হইলো বুয়েটের ভিসির চেয়ার যেইটা আমি নজরুল সুপার গ্লু দিয়া আমার পশ্চাত অংশের সাথে ফিট কইরা লইছি! ফেরেশ্তা কহিলো,ওরে তোরে এই চেয়ার নরকে আনতে কইলো কে? ভিসি চুল চুলকাইতে চুলকাইতে কহিলো;জি হুজুর এইডা এমন শক্তিশালী আঠা যে এইডা লইয়া আমি কবর থেইকা একেবারে ডাইরেক্ট নরক পর্যন্ত পৌছায়ছি! ফেরেশতা বুঝিলো পাপ শুধু বাপরে না চেয়ার রে ও ছাড়েনা!


এরপর ফেরেশতা ভিসিকে জিজ্ঞেস করিলো,কিরে তোর বিরুদ্ধে অভিযোগের লিস্ট ত দুনিয়ার কাগজে আর কুলাইতে পারতেছিলোনা, একটু সত্যি করে ক তো কাহিনী কি?
ভিসি কোঠিন আত্মবিসশ্বাস নিয়া কহিলোঃদুনিয়ার মিথ্যাচার আর পাপাচারে ভরা শিক্ষকের আমার চেয়ারের লোভে এইরাম অভিযোগ দিছে যার কোনো ভিত্তি তদন্ত কমিটি পাইনি! ফেরেশ্তা মুচকি হাসিয়া কহিলো,হুম এই জন্য তুই চেয়ার লইয়া ডাইরেক্ট নরকে চইলা আইছস আর তোর বানানো তদন্ত কমিটি তোর দোষ তো খুইজা পাইবোনা-এইডা তো পাগলে ও জানে! ভিসি ইহা শুনিয়া চুপসে গেলো এবং বুঝিলো এইখানে বড় বড় কথা বলিয়া কোন লাভ নাই! অতঃপর ভিসিকে রেসাল্ট জালিয়াতীর প্রমান দেখাইয়া ফেরেশতা জিজ্ঞাসা করিলো এইডা কার কাজ? ভিসি আবারো চুল চুলকাইতে চুলকাইতে কহিলোঃএইডা প্রোভিসির কাজ! ফেরেশতা কইলো,কে কোথায় আছো,প্রভিসিরে এইখানে লইয়া আসো!


অতঃপর প্রোভিসি আইসা কহিলো,হুজুর আমি কিছু করি নাই সব ওই ভিসির দোষ! ফেরেশতা একটু বিপাকে পড়িলো-ইহারা কোঠিন শেয়ানা বাঙ্গালী হে! ফেরেশতা কহিলো,যাক রেসাল্ট জালিয়াতী পরে,আগে তুই ক ৫৯ জনরে ডিঙ্গায়ে তুই কেমনে প্রোভিস হইলি? প্রভিসি কহিলো,জী হুজুর ইসলামে তো কোনো সিনিয়র জুনিয়র নাই,যার যত নেকী সে তত লাভবান! ফেরেশতা অগ্নি চোক্ষে কহিলো,এতো ইসলাম নিয়া কথা কইস ওই তোর দাড়ি কই?ইহা শুনিয়া ভিসি বাবাজি নিজের দাড়ি হাত দিয়া বুলাইতে লাগিলো! এই দেখিয়া ফেরেশতা কহিলো,দাড়ি দিয়া কোনো লাভ হইবোনা,তুই দাড়ি রাইখা দুর্নীতি কইরা ইসলামরে অপমান করছিস! ভিসি আবারো চুপসে গেলো!আর প্রোভিসি বেচাড়া মাথা নিচু করিয়া কোনো কথা বলিতে পারিলোনা! ফেরেশ্তা আবার প্রোভিসিরে কহিলো,ওই সইত্য কইরা ক কিভাবে তুই প্রোভিসি হইলি নইলে এখনি তোরে আগুনে ফেলুম! প্রোভিসি এইবার অত্যন্ত নম্র ভাষায় কহিলো,জী হুজুর গোপাল্গঞ্জ............,ফেরেশ্তা হাসতে হাসতে কহিলো-বুঝিছি বুঝিছি আর কইতে হইবোনা! এবার তাইলে রেসাল্ট জালিয়াতী করছে কে সেইডা বল! প্রোভিসি কোনো কথা কহিলোনা,শুধুমাত্র ভ্রু দিয়া ভিসিকে দেখাইয়া দিলেন! ফেরশতা বুঝিলো এই দুইটা দোষ স্বীকার করতে চাইতেছেনা!


তাই ফেরেশতা এবার স্বাক্ষী ডাকিলেন মুনয়াজ কে! মুনাজ আইসা শপথ করিলো, যাহা বলিবো সত্য বলিবো,সত্য বই মিথ্যা বলিবোনা! এরপর ফেরশতা ভিসি আর প্রোভিসিকে দেখিয়া মুনয়াজকে কহিলো,তুমি কি এদের কে চেনো? মুনয়াজ ভালো কইরা তাহাদের তাকাইয়া কহিলো,আমার পূর্ব জনমে এদের দেখেছি বলে মনে হয়না! ফেরেশ্তা বুঝিলো এর সত্যের শপথের কোনো দাম নাই! ফেরশতা তাহাকে সত্যরে গরম পানিতে গোসল করাইবার জন্য আদেশ দিলো! শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মুনয়াজ তাদের চিনিতে পারিলো ঠিক ই কিন্ত তাহাদের কেউ ই দোষ স্বীকার করিতেছিলোনা! ফেরেশতা বুঝিলো,দুনিয়ায় এরা যেমন নিজেদের দোষ স্বিকার করে নাই,এইখানে ও করতেছেনা! ফেরেশতা তাদের দোষ স্বীকার না করা পর্যন্ত লাগাতার সত্যের গরম পানিতে চুবনি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন!
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনে হাসি আর কান্না.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

জীবনে হাসি আর কান্না.....

কবি সুনির্মল বসু তার "হবুচন্দ্রের আইন" কবিতায় হবুচন্দ্র রাজা আইন করে কান্না নিষিদ্ধ করেছিলেন। অথচ এখন সেই কল্পিত কবিতার রাজা হবুচন্দ্রের মতো আইন করে কান্না নিষিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

'৭৪ সালের কুখ্যাত বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল এখন সময়ের দাবী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫


বিগত আম্লিক সরকারের আমলে যে কুখ্যাত আইনের অপব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করে গায়েব করার চেষ্টা চলতো তা হলো ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন। এই আইন ব্যবহার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণচোখ

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৩৮


(ষড়ঋপু সিরিজের তৃতীয় কাহিনি — লোভ)

⸻ সতর্কীকরণ: ছায়া পড়লে আলোও কাঁপে ⸻

এই কাহিনি কেবল একটি গল্প নয়। এটি এক মানসিক প্রতিচ্ছবি, যেখানে লুকিয়ে আছে মানব আত্মার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এসব লুটপাটের শেষ কোথায়!

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮

আধা লিটারের পানির বোতল দোকানদার কেনে সর্বোচ্চ ১২.৫০ টাকায় আর ভোক্তার কাছে বিক্রি করে ২০ টাকা। এগুলো কি ডাকাতি না?

গোপন সূত্রে যতটুকু জানা যায়,
প্রাণ ৮.৫ টাকা কেনা
ফ্রেশ ১০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। চারুকলায় আগুনে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে একটি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও আরেকটি শান্তির পায়রা।



আজ শনিবার সকালে চারুকলা অনুষদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×