একটা হাত জীবনে খুব দরকার। হোচট খেয়ে পড়ে গেলে উঠে দাড়াবার জন্য, হাজারো পথের ভিড়ে পথ হারিয়ে ফেললে সঠিক পথ চিনিয়ে দেবার জন্য, ঝড়ে ভেঙে পড়লে মেরুদন্ড সোজা রাখার জন্য একটা হাত খুব দরকার। এই হাতটা হতে পারে মায়ের, বাবার, ভাইয়ের, বোনের, প্রেমিকার/প্রেমিকের, শুভাকাঙ্ক্ষীর।
কিন্তু রুঢ় বাস্তবতা এই যে, সুসময়ে সবগুলো হাত পাওয়া যায়, দুঃসময়ে কোনো হাতই পাওয়া যায়না। যদিও বাবা এবং মায়ের হাত পাওয়া যায় প্রায় সবসময়ই। কিন্তু আমাদের মতো ১৫-২৫ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকারি হাত হলো প্রেমিক/প্রেমিকার হাত। এই বয়সী ছেলেমেয়েরা যখন রিলেশনে জড়িয়ে পড়ে তখন তারা ওই রিলেশনের উপর বেশি ডিপেন্ডেন্ট হয়ে পড়ে। ফলে তার ভালো মন্দের জন্য একটি হাতই বেশি কার্যকরী। সেটি প্রেমিক/প্রেমিকার হাত। এই সময়ে এসে এক পক্ষ যদি কোনো কারণে ভেঙে পড়ে তাহলে অপর পক্ষের উচিত তাকে সর্বোচ্চ সাপোর্ট দেয়া, কাধে হাত রেখে বলা- ভয় পেয়ো না, আমি আছি।
বিশ্বাস করুন, এই মুহুর্তে এসে মা, বাবার হাতটাও ভেঙে পড়া রোধ করতে পারবে না, পারে না। একটি হাত পারে। যে হাত পারে সেই হাতকে অনেক শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হয়। কিন্তু এমন সময়ে এসে অপর মানুষটি হাল ছেড়ে দেয়। ভেঙে যাওয়া হাতটি ধরার অযোগ্য মনে করে অন্য হাতের দিকে হাত বাড়ায়। অথচ, সে চাইলেই এই হাতটিকে পুণর্জীবন দিতে পারতো।
সুসময়ে দুধের মাছির অভাব হয়না। দুঃসময়ে পাশে দাড়াতে পারো কয় জনা? যদি সারাজীবন কারো পাশে নাই থাকতে পারেন তবে ক্ষণিকের অভিনয় করার দরকার কি? মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয়ার চাইতে, না দেয়াই বেশি সম্মানের, ভালোবাসার।