একটা মানুষের চাওয়ার সাথে যখন পাওয়ার সমন্বয় না ঘটে এবং এই সমন্বয়টা বারংবার চাওয়া সত্যেও যখন না ঘটে তখন মানুষটা এক সময় চাওয়ার শক্তি হারিয়ে ফেলে। ও পাশের মানুষটা হয়তো ভাবে, চাইতে আসবেই তো। কিন্তু তারা ভুলে যায়, মানুষ রক্ত মাংসে গড়া, রোবট নয়।
একটা মানুষের আবেগ/ভালোবাসা কখনো চিরস্থায়ী নয়। কিন্তু এই ক্ষণস্থায়ী আবেগকে আমরা চাইলেই চিরস্থায়ী করে রাখতে পারি। যত্নের মাধ্যমে, ঠিক যেমন চারাগাছটার পানি লাগে তেমনি। চারাগাছটা যখন বড় হয় তখন পানি না দিলেও চলে। সে ঠিকই নিজের এবং পাশের মানুষের খেয়াল রাখতে পারে। কিন্তু ওই একটা সময় পর্যন্ত পানি দিয়ে তাকে বড় করে তুলতে হয়, টিকিয়ে রাখতে হয়।
তেমনি ভালোবাসাও যত্ন করার বিষয়। অযত্নে ভালোবাসা বাড়ে না, কমে। অতি অযত্নে মারা যায়।
এখন হয়তো প্রশ্ন তুলতে পারেন, যে ভালোবাসা মারা যায় সেটা ভালোবাসাই না। তাহলে বলবো, আপনার মতো মানসিকতার কারণেই অপর পাশের মানুষটি ডেপ্রেশনে ভুগতে ভুগতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আপনি চাইলেই তার ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারতেন, তাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারতেন। আপনি তো তা চাননি। কারণ আপনি হন্তারক। আপনি হত্যা করতে পছন্দ করেন, আপনি হত্যা করেন। তিলে তিলে হত্যা করে আপনি পৈশাচিক আনন্দ পান।