একটা বই পড়ছিলাম Dr. Wayne Dyer এর। পড়া শেষ হয়েছে, ১০ অধ্যায়ের বই থেকে ৫টি অধ্যায় এখানে দিলাম। যতটুকু মনে আছে তাই দিলাম। আগের পর্ব দেখে আসতে পারে বাকি ৫টি অধ্যায়ের জন্য।
ছয়, নিজের অতীত থেকে বের হয়ে আসা। এই অধ্যায়ের মূল কথা হলে আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম বলে বর্তমানকে অবহেলা না করা। বর্তমানের পরাজয় বা অশান্তির কারন আগের দিনের ওপর না চাপিয়ে দেওয়া। আমার বাবা যদি গরিব না হত, আমি যদি কালো না হতাম, আগে অল্প টাকায় অনেক কিছু পাওয়া যেত, আগে আমরা সবাইকে সম্মান করতাম এমন হাজারটা যুক্তি দিয়ে বর্তমানের সমস্যার ছাফাই না গাওয়া।
সাত, যে চিন্তাধারা একটি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে একই মানসিকতা নিয়ে তার সমাধান সম্ভব নয়।
আট, নিজের কল্পনার মানুষের মত জীবন যাপন করা। তুমি যা হতে চাও নিজেকে সেই অবস্থায় কল্পনা করা। এই অধ্যায়ের কিছু কথা এমন যে, নিজেকে তুমি যেমন দেখতে চাও তেমনি তুমি হবে। আমরা যদি অফিসের কলীগকে ‘তুমি সবসময় দেরিতে কাজ শেষ কর কেন?’ না বলে ‘আমি নিশ্চিত তুমি আজ এই কাজটি সঠিক সময়ে শেষ করতে পারবে’ বলি তাহলে হয়তো তার মনের গঠন সেভাবেই তৈরী হয়ে কাজটি যথা সময়ে শেষ হবে। আমাদের বাচ্চাদেরকে যদি আমরা ছোট থেকেই শেখাই যে, তুমি বুদ্ধিমান। তুমি নিশ্চয়ই পড়াশুনায় ভালো করবে। তবে তার মনের ভিতর একটা বুদ্ধিমান স্বত্ত্বা তৈরি হবে।
নয়, নিজের স্বর্গীয় স্বত্ত্বাকে মূল্যায়ন করা। নিজেকে শ্রেষ্ট জীব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এখানে একটি গল্প উল্লেখ করার মত। একবার একজন বিদেশী সাংবাদিক ভারতীয় এক ধর্ম যাজককে জিজ্ঞাসা করেন, আপনিই কি গড? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, হ্যা আমিই গড। চারপাশের সবাই তখন তার দিকে অবাক তাকিয়েছিল। তিনি একটু পর সাংবাদিকের দিকে তাকিয়ে বললেন, এবং আপনিও গড। আপনার আর আমার পার্থক্য হল যে আমি সেটা জানি আর আপনি তাতে সন্দেহ পোষণ করেন। লেখকের মতে নিজের মধ্যে স্রষ্টার অস্তিত্ব পাওয়াটাই স্বর্গীয় অনুভূতি। যারা এমন অনুভব করেন তাদের মনে শান্তি নিশ্চিত।
দশ, যে চিন্তা মনে দুর্বলতার জন্ম দেয় তাকে এড়িয়ে চলার নাম প্রজ্ঞা। লজ্জা, ভয়, রাগ, পাপবোধ ইত্যাদি মানুষকে দুর্বল করে। তাই এমন চিন্তা এড়িয়ে চলতে হবে। অপরদিকে ভালোবাসা, ক্ষমা, দয়া, আনন্দ, শান্তি মানুষের ভিতর শক্তির সঞ্চার ঘটায়। মানুষকে প্রজ্ঞার মাধ্যমে বেছে নিতে হবে সে কি চায়, কারন এই চাওয়াটা শুধু সে-ই নির্ধারন করতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৩