রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা ২০১০----হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
১. আলোচনার সুযোগ প্রদানের জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ
২. বক্তব্য প্রদানের আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যকর হওয়ায় শুকরিয়া।
ক্স গোটা জাতি দায়মুক্ত হয়েছে।
ক্স বিগত বছরে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার- এটাই বড় অর্জন।
৩. মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ
* তিনি এমন একজন রাষ্ট্রপতি যিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন।
* রাজপথ থেকে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ অলংকৃত করেছেন।
* মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বলিষ্ঠ সংগঠক।
* রাষ্ট্রপতির পদকে সম্মানিত করেছেন।
* আন্দোলন-সংগ্রামের মাঠে তিনি প্রিয় সহধর্মিনীকে হারিয়েছেন।
* শোককে তিনি শক্তিতে রূপান-রিত করে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।
৪. ভাষণের জন্য ধন্যবাদ :
* মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণে বিগত বছরের সার্বিক চিত্র সঠিকভাবে ফুটে উঠেছে।
* ভাষণে অতিরঞ্জিত বক্তব্য নেই।
* এই ভাষণ বিগত বছরের সরকারি কর্মকাণ্ডের একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল।
* রাষ্ট্রপতির ভাষণে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের কলঙ্কজনক হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে বিডিআর বিদ্রোহ পর্যন- যারা শাহাদাৎবরণ করেছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
* দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
* তার ভাষণে যে উদার মনোভাব ফুটে উঠেছে দেশবাসী তা শ্রদ্ধার সাথে উপভোগ করেছে।
৫. বিগত বছর ছিলো বিপর্যয় কাটিয়ে উত্তরণের সময়
* অর্থনীতি ধ্বংস, দ্রব্যমূল্য, দলীয়করণ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস।
* সরকার সেই পরিসি'তি থেকে দেশকে উত্তরণের পথে নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে।
৬. দুটি বড় বিপর্যয়:
* বিডিআর বিদ্রোহ
* আইলা
৭. সাফল্য :
* বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা।
* অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলা।
* আন-র্জাতিক ক্ষেত্রে- পরিবেশ সম্মেলন।
* দুর্নীতির সূচক নেমে আসা।
* রাষ্ট্রপতিকে আন-রিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।
৮. সব ক্ষেত্রেই যে সাফল্য অর্জন করেছে
তাই নয়। কিছু ব্যর্থতাও আছে :
* সন্ত্রাস নির্মূল সফল হয়নি।
* টেন্ডারবাজি থেমে যায়নি।
* চাঁদাবাজি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
* দ্রব্যমূল্য কিছুটা কমেছে কিন' নিয়ন্ত্রণ হয়নি।
* আশা করি বিগত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে এই ৪টি মৌলিক ব্যর্থতা মোকাবেলা করতে সরকার সক্ষম হবেন।
৯. প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১
* ডযধঃ বি ধিহঃ -ঠিক করতে হবে।
* প্রাধান্য কি হবে? খাদ্য, জনসংখ্যা, শিক্ষা, গ্যাস ও বিদ্যুৎ।
১০. মনে হয় : খাদ্য ও জ্বালানি
* ১ কোটি ৮২ লাখ কৃষক কৃষি কার্ড
* কৃষকদের ডাটাবেস তৈরি।
১ কোটি ৯১ লাখ কৃষকের তথ্য সংগ্রহ।
* কৃষি উৎপাদন বাড়বে-
জ্বালানি :
* বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা :
* জ্বালানি খাত দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে।
* রূপপুর পাওয়ার প্লান- সরকারের একটি সাহসী পদক্ষেপ।
* স্মরণ করি ড. ওয়াজেদ মিয়ার কথা-
নিউক্লিয়ার পাওয়ার সেক্টর উন্নয়নে তার অবদান- অপরিসীম।
* প্রস-াব করছি : রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের নাম-
ড. ওয়াজেদের নামে
১১. বলেছি যদি একত্রে থাকি
* বলেছি যদি একত্রে থাকি-
* ভিশন বাস-বায়ন সম্ভব
* লক্ষ্য ছাড়া অগ্রগতি সম্ভব নয়-
১২. দিন বদলের অঙ্গীকার :
* জাতীয় পার্টিও দিন বদলের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।
* সংস্কার ছাড়া অগ্রগতি সম্ভব নয়-
* পুরনো ধ্যান-ধারণা নিয়ে বসে থাকতে চাই না।
* আমরা বর্তমানে বসে আগামী ৫০ বছর পরের বাংলাদেশের কথা ভাবি।
* আমরা ভবিষ্যত বাংলাদেশের কথা চিন-া করে ২৫ বছর আগে উপজেলা ব্যবস'া প্রবর্তন করেছি।
* আমি ৮৩ সালে যে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি ২৩ বছর পর ব্যাংক নোবেল পুরস্কার লাভ করেছে।
* আমি যে ওষুধ নীতি প্রণয়ন করেছি বাংলাদেশ এখন তার সুফল ভোগ করছে।
* মধ্যপ্রাচ্য শানি- মিশনে সেনাবাহিনী প্রেরণ করেছিলাম।
১৩. আমাদের ইশতেহারের অঙ্গীকার :
১৪. হরতাল
১৫. বিনামূল্যে চাল-ডাল
১৬. ১২০ দিনের কাজের কর্মসূচি
১৮. আশু পদক্ষেপ : জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ
* মিনিটে -৭ জন্ম, মৃত্যু-২ প্রতিদিন সাড়ে সাত হাজার-
গড়ে প্রায় ১ ইউনিয়নের সমান-
* জনসংখ্যা বিস্ফোরণকে এক নম্বর জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত বর্তমানে যে হারে মানুষ বাড়ছে তা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০ সাল নাগাদ দেশের জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি।
* আমরা ইশতেহারে কিছু পদক্ষেপের কথা বলেছি- সেসব পদক্ষেপ বাস-বায়নের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
* জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘ পুরস্কার পেয়েছিলাম।
১৯. উপজেলা আদালত
২০. ২টি সংস্কারের কথা : প্রাদেশিক ব্যবস'া
আনুপাতিক ভোটের ভিত্তিতে-
* আমাদের ইশতেহারে ২টি সংস্কার প্রস-াবের কথা উল্লেখ করেছি। একটি হচ্ছে এক কেন্দ্রিক সরকারের পরিবর্তে প্রাদেশিক ব্যবস'া প্রবর্তন এবং অপরটি হচ্ছে নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করে প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে আনুপাতিক হারে সংসদ সদস্য নির্বাচনের ব্যবস'া করা।
২১. প্রদেশ কেনো প্রয়োজন
* আজ এটা নতুন এবং ছোট একটি দেশকে প্রদেশে বিভক্ত করার প্রস-াব অবান-র মনে হলেও হতে পারে। কিন' একটু গভীরভাবে ভেবে দেখুন- এই সমস্যাসংকুল দেশকে কি এক কেন্দ্রীক সরকারের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব? আমাদের দেশ ছোট-কিন' জনসংখ্যা অনেক বেশি।
* আমাদের চেয়ে প্রতিবেশী ছোট দেশ শ্রীলংকা ও নেপালেও প্রাদেশিক ব্যবস'া আছে। আজ হোক আর কাল হোক- প্রাদেশিক ব্যবস'া চালু করতেই হবে।
২২. সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন
* হাজার চেষ্টা করেও কোনো নির্বাচনকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা যাচ্ছে না। এবারের নির্বাচন সকল মহল থেকে প্রশংসিত হলেও বিরোধী দল বিরূপ সমালোচনা করেছে।
* সংসদীয় সরকার পদ্ধতির শাসন ব্যবস'াই হচ্ছে দলীয় শাসন।
* আর গণতান্ত্রিক শাসনের মূল কথা হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন ব্যবস'া।
* বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতিতে গণতান্ত্রিক ব্যবস'ার মধ্যেও দেখা যায় অনেক সময় সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন থাকে না।
* যেমন : ৯১ সালে বিএনপি ৩০% আর আ’লীগ ৩৪%।
২৩. জনগণ দলকে ভোট দেবে
* সংসদীয় সরকার ব্যবস'ায় রাষ্ট্র পরিচালনার পদ্ধতি যখন দলীয় শাসন ব্যবস'া- সে ক্ষেত্রে নির্বাচনও শুধু দলের ভিত্তিতে হতে পারে। অর্থাৎ ভোটারগণ দলকে ভোট দেবেন।
* প্রত্যেক দল প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে আনুপাতিক হারে সংসদীয় আসনের সদস্য পাবে।
২৪. আনুপাতিক ব্যবস'া এই সংসদেই আছে-
* তা হলো সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন।
* তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি- একই সংসদে দুই পদ্ধতিতে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সমান মর্যাদা, সমান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এখানে পুরুষ আর মহিলার মধ্যে একটা বৈষম্য থাকছে।
* যখন জেলা উপজেলা করেছিলাম তখনও নতুন মনে হয়েছে-
২৫. তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই
* আনুপাতিক ভোটের ভিত্তিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার বিধান প্রণয়ন করা হলে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস'া বলবৎ রাখার প্রয়োজন হয় না। শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান নির্বাচন কমিশন ব্যবস'া থাকলেই সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।
* তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনীতিবিদদের জন্য কলঙ্ক
* সুতরাং এই সংসদের মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস'া বিলোপ করার জন্য আমি সকল মাননীয় সংসদ সদস্যদের ঐক্যমত হওয়ার জন্য আহ্বান জানাই।
২৬. ঢাকার পরিবেশ
* ঢাকার জনসংখ্যা এখন ১ কোটি ৩০ লাখ। এখানে এক বর্গ কিলোমিটারে ২৭ হাজার ৭০০ লোক বাস করে।
* বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর।
* সেরা সবকিছু ঢাকায় সীমাবদ্ধ।
* সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮২। তারমধ্যে ৬০টি ঢাকায়।
* ৩৮টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্যে ৩২টি ঢাকায়।
* প্রতিদিন ঢাকায় দুই হাজার ৬০০ লোক নতুন যোগ হয়।
* আগামী ১০ বছরে ঢাকায় মানুষের পা ফেলার জায়গাও থাকবে না।
২৭. যানজট
* বর্তমানে ঢাকায় যেটুকু রাস-া রয়েছে তাতে সব গাড়ি দাঁড়াতেও পারে না।
* তারপরও প্রতিদিন ১৮০টির বেশি গাড়ি রাস-ায় নামে।
* বাংলাদেশকে ৫৬ হাজার বর্গমাইল জায়গার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।
২৮. খাদ্যে ভেজাল
* একদিকে পরিবেশের কারণে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়- অন্যদিকে খাদ্যে ভেজাল।
* ভেজাল বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছিল।
* সবকিছুতেই ভেজাল।
* মাছে ফরমালিন, ফল-শাকসবজি সবকিছুতেই ওষুধ।
* হোটেল রেসে-ারায় মান-সম্মত খাওয়া পাওয়া যায় না।
২৯. পরিবেশ :
* কোপেনহেগেনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন- গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন ।
তা বিশ্ববাসীর কাছে প্রশংসিত হয়েছে।
* জলবায়ু পরিবর্তন বা পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য শিল্পন্নত দেশ অনেক দায়ী। তবে আমারাও এর জন্য কম দায়ী নই। দেশে প্রয়োজনীয় বনভূমি নেই। দক্ষিণাঞ্চলে বনভূমির বেষ্টনি কমে আসছে। নদী ভরাট করে ফেলছি, নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে- কিন' ড্রেজিং করা হচ্ছে না। ফলে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, প্লাবনের সৃষ্টি হচ্ছে। এসব দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে।
৩০. ইটভাটা
* আমাদের দেশে পরিবেশ বিপর্যয়ের একটি বড় কারণ হচ্ছে বিপুল সংখ্যক ইটভাটা। ইট পোড়ানোর কাজে গাছ, কয়লা ও গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে সব দিক দিয়েই দেশের ক্ষতি হচ্ছে।
* এক. ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে, দুই. মাটি নষ্ট হচ্ছে, তিন. গাছ উজাড় হচ্ছে, সর্বোপরি কথা দেশের মূল্যবান সম্পদ গ্যাস ও কয়লা খরচ হচ্ছে।
* ১৯৯৩ সালের পরিসংখ্যান :
* ইট পোড়ানোর জন্য আমাদের কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরতে চাই।
* এক. ১ কোটি ইটের জন্য প্রয়োজন ১০ লক্ষ বর্গফুট মাটি। তার জন্য ১ ফুট গভীর করে ৭০ বিঘা জমির ওপর থেকে মাটি নিতে হয় এবং এই মাটি ফসলের জন্য উপযোগী।
* দুই. এক কোটি ইট পোড়ানোর জন্য কয়লার প্রয়োজন হয় ১ হাজার ২৪০ টন। এই কয়লা আমদানি করা হয়। এই কয়লা পোড়ানোর ফলে ২ হাজার ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা সৃষ্টি হয়। যার প্রভাব পরে পরিবেশের ওপর। কয়লা পোড়ানোর ধোঁয়ায় ফসলের উৎপাদন হ্রাস পায়।
* তিন. ইট বানাতে কয়লার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ কাঠ ও গ্যাসও ব্যবহৃত হয়। ১৯৯৩ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে- দেশে ১ হাজার ইটভাটায় ২০০ কোটি ইট প্রস'ত হয়েছে। এর মধ্যে ১শ’ ৩৭ কোটি ৫০ লাখ ইট তৈরি করা হয়েছে কাঠ পুড়িয়ে। ৪০ কোটি ইট বানানো হয়েছে কয়লা দিয়ে এবং সাড়ে ২২ কোটি ইট বানানো হয়েছে গ্যাস দিয়ে। দেশে যে পরিমাণ জ্বালানি কাঠ উৎপাদিত হয় তার মধ্যে সাড়ে ২৫ শতাংশ খরচ হয় ইট পোড়ানোর কাজে।
* চার. ইট পোড়ানোর জন্য বায়ু দুষণ আর একটি ক্ষতিকর দিক। বায়ুতে সর্বোচ্চ ১২০ ননোগ্রাম কিউবিক মিটার (এনজি/ এম৩) থাকা স্বাভাবিক। মুম্বাই শহরে এর মাত্রা ৩৬০ এনজি/এম৩, মেক্সিকো সিটিতে ৩৮৩এনজি/ এম৩। তার জন্য ম্যাক্সিকোকে বলা হয় গ্যাস চেম্বার। অথচ ঢাকা শহরে এর মাত্রা ৪৬৩এনজি/ এম৩।
৩১. ইটের বিকল্প প্রস-াব :
* ইট পোড়ানো বন্ধ করে বায়ু দুষন আমরা কমিয়ে আনতে পারি। আর ইটের বিকল্প হিসেবে আমরা সলিড কংক্রিট ব্লক ব্যবহার করতে পারি এবং তা ইটের চেয়ে অর্থনৈতিক দিক থেকে সাশ্রয়ী হবে।
৩২. পার্বত্য চট্টগ্রাম ঃ
৩৩. ৭২-এর সংবিধান
* জনগণের প্রত্যাশার সাথে আমরা সবসময় একমত থাকব।
* যদি ৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রবর্তন করা হয় তাতে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলামসহ সংবেদশনশীল বিষয় সংবিধান থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
৩৪. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার
* মহাজোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। মহাজোটের শরিক হিসেবে আমরাও চাই সরকার এই অঙ্গীকার রক্ষা করবেন। এক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা থাকবে।
* আমার পার্টি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ইসলামী মূল্যবোধ ও জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল। স্বাধীনতার চেতনা বাস-বায়নে আমরা সবসময় সোচ্চার থাকব।
৩৫. এলাকার কথা :
* তিন জেলার ৩ আসনে-এর আগে ৫ আসনে ২ বার
* যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন- তাদের কাছে আমার দায়বদ্ধতা আছে-
৩৬. রংপুর বিভাগ:
* বিভাগ ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ
* আমাদের ইশতেহারে অঙ্গীকার-
আওয়ামী লীগেরও অঙ্গীকার
* মহাজোটের সরকার বাস-বায়ন করতে যাচ্ছে- বিভাগের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ-
* আমিও ২টি বিভাগ, মহকুমাকে জেলা- ৪৬০টি উপজেলা করেছিলাম-
* এখন রংপুর বিভাগকে অন্য বিভাগের সমপর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে-
* আজ প্রয়োজন : অবকাঠামোগত উন্নয়ন- গ্যাস সরবরাহ, গ্যাস ভিত্তিক শিল্প, শিক্ষা বোর্ড এবং মঙ্গা দূর করতে কার্যকরী ব্যবস'া-
৩৭. ঢাকা-১৭ আসন এলাকায়
-সন্ত্রাস মুক্ত-
-বসি- উচ্ছেদ করা যাবে না-
* আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১৭ একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন। এখানে যেমন উচ্চবিত্তের বাস, আবার হতদরিদ্র বসি-বাসীও মানবেতর জীবনযাপন করে। সব বিদেশী মিশন আমার নির্বাচনী এলাকার মধ্যে অবসি'ত।
* আমার এলাকার বসি-বাসীদের জন্য স'ায়ী বাসস'ানের ব্যবস'া করতে হবে।
* স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আবেদন জানাবো- ঢাকা-১৭ আসনকে যে কোনো মূল্যে সব ধরনের অপরাধমুক্ত এলাকায় পরিগণিত করার জন্য এখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বদা সতর্ক রাখতে হবে।
৩৮. সারাদেশে সুসম উন্নয়ন
* পরিশেষে বলতে চাই-একটি দলের প্রধান হিসেবে আমি গোটা দেশে সুষম উন্নয়ন দেখতে চাই। শুধু নাম ফলক লাগানোর রাজনীতি দেখতে চাই না- শুভ উদ্বোধনের ফলক দেখতে চাই।
৩৯. মহাজোট সরকারকে সফল করতে জাপা
নীতি-আদর্শ ভিন্ন থাকলেও মহান লক্ষ্যে
* আমি নির্বাচনের আগেও বলেছি- এখনো বলছি, নীতি, আদর্শ, মত ও পথের ভিন্নতা থাকলেও মহান লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে ঐক্যবদ্ধ হওয়া যায়, তারই নির্দশন মহাঐক্যজোট। তারই নিদর্শন মহাজোট সরকার। এখন শুধু মহাজোট নয়, এই সংসদে আমরা যারা জনগণের ভোট নিয়ে বিজয়ী হয়ে এসেছি, তারা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যাবো-এটাই আমার একান- প্রত্যাশা-।