somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উন্নয়ন সমৃদ্ধি সংষ্কারে পল্লীবন্ধু এবং তাঁর জাতীয় পার্টি

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উন্নয়ন সমৃদ্ধি সংষ্কারে পল্লীবন্ধু এবং তাঁর জাতীয় পার্টি

জাতীয় পার্টির সরকার পরিচালানাকালঃ এক ঐতিহাসিক প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটে ১৯৮৬ সালের ১লা জানুয়ারি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠা। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের পৌনঃপনিক রাজনৈতিক অস্থিশীলতা বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক কাঠামো হত্যা, ষড়যন্ত্র, প্রতিহিংসা, সহিংসতার দোর্দণ্ড দাপট গনতন্ত্রকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তিমুলে দাঁড় করাতে সার্বিক ব্যর্থতা, এমন কি একটা পরিস্থিতিতে সামরিক শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থার যথাযথ অনুশীলন এবং আর্থ সামাজিক প্রশাসনিক অর্থাৎ জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক আমলের ঘুনেধরা ব্যবস্থা ও ধ্যান ধারনার পরিবর্তন ঘটিয়ে স্বাধীন দেশের উপযোগী মৌলিক অবকাঠামো গড়ে তোলায় গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে শুরু হয়েছিলো সেদিন জাতীয় পার্টির অভিযাত্রা।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতীয় পার্টির ঘোষিত লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থেকে জাতিকে একটি সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পরিচালিত হয়েছে সকল প্রয়াস। তারই ফলশ্রুতিতে ১৯৮৫ সালের সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় সংসদে সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী পাশ হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশ থেকে সামরিক শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটে। জাতীয় পার্টি সরকার পরিচালনা কালে দলীয় চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বে দেশের আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে স্বাধীন দেশের উপযোগী মৌলিক অবকাঠামো গড়ে তুলে স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব সংরন বহির্বিশ্বে জাতীয় ভাবমুর্তি প্রতিষ্ঠা এবং জনগনের কল্যানে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রাজনীতির যে নতুন দিগন্তের সুচনা হয়েছে তার সুফল জনগন এখনো ভোগ করছে।

জাতীয় পার্টির সরকারের অর্জিত সাফল্য সমূহের অন্যতম কিছু এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। যেমনঃ
× পবিত্র ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্র ধর্ম ঘোষনা করা।
× শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষনা।
× রেডিও টিভিতে প্রতি ওয়াক্তে আযান প্রচারের রীতি প্রবর্তন।
× জাকাত বোর্ড গঠন।
× বায়তুল মোকাররম মসজিদকে জাতীয় মসজিদে রূপান্তর।
× দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও বৌদ্ধ মঠের যাবতীয় পানি ও বিদ্যুৎ
বিল স্থায়ীভাবে মওকুফ করা।
× ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা।
× জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন।
× প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরনের মাধ্যমে উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং একে একটি
স্থায়ী ও সুদৃঢ় ভিত্তিমূলের ওপর দাড় করানো।
× জনগণের দোরগোড়ায় বিচার ব্যবস্থাকে পৌঁছে দেয়ার জন্যে উপজেলা পর্যায়ে
আদালত প্রতিষ্ঠা।
× ঔপনিবেশিক আমলের প্রশাসনিক অবকাঠামো ভেঙ্গে মহকুমাগুলোকে জেলায়
রূপান্তর এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ সৃষ্টি করে প্রশাসনে গন
প্রতিনিধিদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা।
× ব্যাপক ভূমি সংস্কার নীতি প্রবর্তন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন।
× ভুমি সংস্কারের আওতায় পরিবার প্রতি জমির ৩০ সর্বোচ্চ সিলিং ৫০ বিঘা
নির্ধারণ।
× বর্গা চাষীদের জন্যে তে-ভাগা ব্যবস্থার প্রবর্তন।
× জাল যার জল তার নীতি প্রবর্তন। প্রকৃত জেলেদের জন্যে সহজ শর্তে ঋণের
ব্যবস্থা।
× ভূমিহীনদের মধ্যে খাস জমি বিতরন, ভূমিহীন ছিন্নমূলদের পুনর্বাসন ও গুচ্ছগ্রাম
প্রতিষ্ঠা।
× কৃষক শ্রমিক ও দিন মজুরদের জন্যে সর্বনিম্ন মজুরী হিসেবে মাথাপিছু সাড়ে ৩
কেজি চাল বা তার সমপরিমান মূল্য নির্ধারন।
× ঐতিহাসিক ঋণ সালিশী বোর্ড গঠন।
× ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋনের সুদ মওকুফ (যার পরিমান ৬০০ কোটি টাকা)।
× পল্লী বিদ্যুতায়ন কর্মসূচীর আওতায় গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া।
× অসংখ্য রাস্তা নির্মান, পুল, সেতু কালভাট নির্মান, রাস্তা সংস্কার ও ১১ হাজার
কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা।
× মেঘনা ব্রীজ, বুড়িগঙ্গা ব্রীজ, ট্যাকেরহাট ব্রীজ, নওগা সেতু, পঞ্চগড় সেতু, টুঙ্গী
সেতু, কাঞ্চন সেতু, কামার খালা ব্রীজ, সিংড়া সেতু, ঢাকার রামপুরা সেতু,
কালিজিরা সেতু, কর্নফুলী সেতু, শায়েস্তাগঞ্জ সেতু, মহানন্দা সেতু, শেরপুর সেতু
সহ ছোট বড় ৫০৮ টি ব্রীজ নির্মান।
× যমুনা সেতু নির্মাণের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ।
× আন্তঃনগর ট্রেন প্রচলন।
× শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সারা দেশে শতাধিক কলেজ ও দেড়
শতাধিক স্কুল সরকারীকরণ।
× গ্রামের মেয়েদের জন্যে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত বিনা বেতনে লেখাপড়া ও বৃত্তির
ব্যবস্থা করা।
× বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
× দেশব্যাপী নতুন নতুন টেলিফোন এক্সচেঞ্চ স্থাপন। সারা দেশে এনডব্লিউডি নেট
ওয়ার্কের আওতায় আনা ও বহির্বিশ্বের সাথে সরাসরি টেলিফোন সংযোগ স্থাপন।
× গনমুখী ওষুধনীতি প্রর্বতনও তার সফল বাস্তাবায়ন।
× হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্ট গঠন।
× গোলাপ শাহ্ মসজিদ, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ মসজিদ, ঢাকার নিউ মার্কেট
মসজিদ, কাওরান বাজার মসজিদ, পিডব্লিউডি ভবনের নতুন মসজিদ, বেলী
রোডের অফিসার্স কলোনীর নতুন মসজিদ, গুলশান মসজিদ, রংপুরের সেনপাড়া
মসজিদ ও তারা মসজিদ সহ বহু মন্দির, গীর্জা ও বৌদ্ধ মঠের সংস্কার সাধন ও
উন্নয়ন।
× বে-সরকারী শিল্প খাতকে উৎসাহ দান এবং বে-সরকারী খাতে ব্যাংক বীমা
প্রতিষ্ঠা।
× অ-লাভজনক রুগ্ন ও ভগ্নপ্রায় রাষ্ট্রীয় করনকৃত শিল্প কারখানা সমুহে বেসরকারী
করন এবং তা হোল্ডিং কোম্পানিতে পরিনত করে সে গুলোকে রক্ষা করা।
× শিল্প শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা দ্বিগুন করা এবং সর্বনিম্ম বেতনও দ্বিগুন
করা।
× শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী কালাকানুন শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশ ‘৬৯ সংশোধন করে
শ্রমিক কল্যান ধর্মী শ্রম আইন প্রবর্তন।
× বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬৫০ মেগাওয়াট থেকে ২২৫০ মেগাওয়াটে উন্নত করা।
× অপ্রয়োজনীয় ও বিদেশী বিলাস সামগ্রীর অবাধ আমদানি নিয়ন্ত্রন ও দেশীয় শিল্ল
পন্যের প্রটেকশন নিশ্চিতকরণ।
× তিনটি ওয়েজ বোর্ড গঠনের মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদপত্র শ্রমিক কর্মচারীদের
বেতন ভাতা বৃদ্ধি।
× জাতীয় প্রেসকাবের নতুন ভবন নির্মান করার জন্যে প্রায় ১ কোটি টাকা অনুদান
প্রদান।
× সারা দেশে বিপুল সংখ্যক দৈনিক, সাপ্তাহিক,পাকি ও মাসিক পত্রিকা প্রকাশের
অনুমতি দান ও সংবাদপত্র শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা।
× পারিবারিক আদালত গঠন ও যৌতুক বিরোধী আইন প্রবর্তন।
× রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাধ্যতামুলক
করা এবং এই উদ্দেশ্যে আইন প্রনয়ন।
× ৩৩ টি নদীর খনন কাজ শুরু এবং প্রয়োজনীয় স্থানে ডেজিং করা।
× খাদ্য উৎপাদন ‘৭১ সালের ‘৯৭ লাখ টন থেকে ১ কোটি ৯৫ লাখ টনে উন্নিত
করা এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি গড়ে ৭ কোটি থেকে ১১ কোটি হওয়া সত্বেও বার্ষিক
খাদ্য আমদানি ২০ লাখ টন থেকে ১২ লাখ টনে নামিয়ে আনা।
× বে-সরকারী স্কুল কলেজ ও মাদ্রসার শিক্ষকদের জন্যে সরকারি অনুদান শতকরা
২০ ভাগ বৃদ্ধি করা।
× মাদক দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসা রোধ করতে আইন প্রনয়ন ও মাদকাশক্ত নিরাময়
কেন্দ্র স্থাপন করা। জাতীয় মাদক প্রতিরোধ কমিটি গঠন ও মাদক দ্রব্য
চোরাচালানির সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডের আইন প্রনয়ন।
× শুধু মাত্র শ্রমিকদের জন্যে ঢাকায় শ্রমজীবী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা।
× এতিমখানা গুলোকে শিশু পরিবারে রূপান্তর।
× মুজিবনগর স্মৃতি সৌধ নির্মানমূল নকশা অনুযায়ী জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহীদ
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্তরের নির্মান কাজ সমাপ্ত করা।
× টিভিতে সংবাদ পরিবেশনের প্রক্কালে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি প্রদর্শন ও
দেশাত্মবোধক সংগীত প্রচারে রীতি প্রবর্তন।
× স্বাশাসিত তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন- যেখানে উপজাতীয়রা প্রশাসনের
দায়িত্বে অধিষ্ঠিত। এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার
পথ সুগম হয়েছিলো এবং শান্তি ফিরে এসেছিলো। কিন্তু আওয়ামী সরকার
ক্ষমতায় এসে শান্তি চুক্তির নামে দেশের এক সর্বনাশা চুক্তি করে দেশের
অখণ্ডতাকেই হুমকীর সম্মুখীন করে তুলেছে।
× ঝড়, বন্যা, সাইক্লোন, খরা প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয় এমন কি ’৮৮ সালে
স্মরনাতীতকালের ভয়াবহ মহাপ্লাবন সফলভাবে মোকাবেলা করা।
× পথকলি ট্রাষ্ট গঠন ও ট্রাষ্টের আওতায় পথকলি বিদ্যালয় ও চিকিৎসা কেন্দ্র
চালু করা।
× এশীয় কবিতা উৎসবের আয়োজন করা যেখানে বিশ্বের বরেন্য কবিরা অংশ গ্রহন
করেন।
× ঢাকাসহ চারটি সাবেক মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তর
করা।
× রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রধান প্রধান নগর মহানগরে সোডিয়াম লাইট স্থাপন,
নতুন নতুন রাস্তা নির্মান, রাস্তা প্রশস্তকরণ, আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থার প্রবর্তন,
নতুন পার্ক কমিউনিটি সেন্টার নির্মান, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন তথা
নগরবাসীদের নাগরিক সুযোগ সুবিধা সম্প্রসারন ও নিশ্চিত করা।
× দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সুশৃংখল ও
মর্যাদাবান বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা।

এমনি আরো অসংখ্য কল্যানধর্মী উদ্যোগ ও কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি দেশের সামাজিক অর্থনৈতিক প্রশাসনিক ক্ষেত্রে একটি স্থিতিশীল অবকাঠামো প্রতিষ্ঠার প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। ফলশ্রুতিতে দেশে হাজার হাজার নতুন কলকারখানা গড়ে ওঠে। ২’টি প্রলয়ংকরী বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্বেও ১৯৯০ সালে প্রবৃদ্ধির হার দাড়ায় ৫.৮ শতাংশ। শিক্ষিতের হার শতকরা ২৩% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫%- এ উন্নিত হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.৮ ভাগ থেকে হ্রাস পেয়ে ২.২ ভাগে দাঁড়ায়। দেশে লাখ লাখ যুবকের নতুন নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটে। প্রয়োজনীয় সার সরবরাহ এবং কৃষি উপরন সহজ লভ্য করার ফলে খদ্য উৎপাদন ১ কোটি ৯৫ লাখ টনে উন্নীত হয়ে প্রায় স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করে। মুদ্রাস্ফীতি শতকরা ৫ ভাগে নেমে আসে।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির সরকারের এই সাফল্য জাতির স্বাধীনতা সুসংহতকরণ, বহির্বিশ্বে জাতির ভাবমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সাধারণ মানুষের কল্যানের ও সমৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সুচনা করে। কিন্তু এটা সর্বজন স্বীকৃত যে উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও জাতীয় স্বয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে জাতীয় পার্টির চলার পথ কখনোই কুসুমাকীর্ন ছিলনা। এ কথা সত্য আমাদের দেশে একাধিকবার গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হওয়ায় এবং স্বাধীনতাত্তোর কালের অধিকাংশ সময় জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকারের অনুপস্থিতির কারণে গণন্ত্রের অয়ু হয়েছে খুবই স্বল্পকাল। সে কারণে একটি স্বাধীন দেশে গণতন্ত্রিক শিষ্টাচারের রূপরেখা সম্পর্কে জনগণের মাঝে কোনো সুস্পষ্ট ধারনা গড়ে উঠতে পারেনি। কেউ মনে করছেন দায়িত্বহীনভাবে যার যা খুশী বলে যাওয়াই গণতন্ত্র। কেউ ধরে নিয়েছেন সন্ত্রাস সহিংসতার মাধ্যমে জাতীয় সম্পদ ধ্বংসের নামই বুঝি গণতন্ত্র। কেউ বুঝেছেন গণতন্ত্রের অর্থই হয়তো বা কারণে অকারণে বুঝে না বুঝে সরকারের ভালো মন্দ সব কিছুরই বিরোধিতা। আর সে কারণে সরকার পরিচালনা কালে জাতীয় পার্টিকে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের কঠোর বিরোধিতা মোকাবেলা করে চলতে হয়েছে।

এতদসত্বেও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের যোগ্য নেতৃত্বে দেশ যখন রাজনৈতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে এসেছে ঠিক সেই মূহুর্তে- ৯০- এর অক্টোবর থেকে জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিরোধিতার এক ভিন্ন আঙ্গিক রচনা করে। তারা দাবি করতে থাকে সংসদের মেয়াদ পূর্ণ না হওয়া সত্বেও অবিলম্বে একটি অবাধ ও নিরপে নির্বাচন। শর্ত ছিলো এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দলীয় সরকারের পরিবর্তে অরাজনৈতিক একটি দল নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তাদের দাবি ও মতামতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বৃটিশ, ভারত, পাকিস্তান আমল এমনকি স্বাধীনতা পরবর্তী কালে কেউ যা করেননি সেই ঐতিহাসিক কাজটি করেছেন। তিনি তৎকালীন প্রধান বিচারপতিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। বিবেকবান মানুষ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি নেতা এরশাদের এই চরম মূল্যবোধের জন্যে তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলো। রাষ্ট্রনায়ক এরশাদ জাতির ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে হয়ে রইলেন চিরস্মরণীয়। ইতিপূর্বে আমাদের দেশে হত্যা ষড়যন্ত্র ক্যু এই ছিলো সরকার পরিবর্তনের প্রচলিত রীতি। বাংলাদেশের ইতিহাসে নেতা এরশাদই প্রথম স্বেচ্ছায় তথা সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

চেয়ারম্যান এরশাদ এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করলেও ক্ষমতা ত্যাগের পরবর্তী সময়ে তার যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। সে সময় একেরপর এক ঘটতে থাকে অভাবনীয় ঘটনা। সমগ্র জাতি হতবাক হয়ে প্রতক্ষ্য করলো গণতন্ত্রের নামে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার নিষ্ঠুর বর্বরতা। আমাদের দেশের একটি প্রবনতা লক্ষ্য করা যায় যে একটা অবক্ষয় নেমে এলে তা থেকে উত্তরণ খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। জাতীয় পার্টির ক্ষমতা ত্যাগের পর থেকে যে অবক্ষয় একের পর এক নেমে আসতে থাকে- তা বিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যায়ে এসে চরম আকার ধারণ করে। প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির পরিবর্তে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত হলেও গণতন্ত্র যেনো সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। সংসদে গণতন্ত্রের চর্চার পরিবর্তে- যে অশ্লীলতার চর্চা হতে থাকে- তাতে সংসদের আলোচনা গোটা জাতির কাছে এক লজ্জাজনক অধ্যায় হিসেবে পরিগনিত হয়েছে।

জাতীয় পার্টি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা এবং গণতন্ত্রকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তিমূলের ওপর দাঁর করানোর দলীয় নীতি ও আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে শত বাঁধা বিপত্তি, হুমকির মুখেও ’৯১-এর সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। একটি সুষ্ঠু এবং সকলের জন্য অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় পার্টি তৎকালীন অস্থায়ী সরকারের কাছে সে সময় ৫ দফা সুপারিশ পেশ করে। কিন্তু সরকার তার কোনোটাই বাস্তবায়ন করেনি। উপরন্তু নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে চেয়ারম্যানের নামে নতুন নতুন মামলা সাজাতে থাকে। তাঁর ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য একের পর এক কুৎসা সাধারণ্যে প্রচার করতে থাকে। বিভিন্ন আসনে দলীয় প্রার্থীদেরকে কারাগারে নেয়া হতে থাকে। কাউকে কাউকে গ্রেফতারী পরোয়ানা দিয়ে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ানো হয়। অনেকের সম্পত্তি ক্রোক করা হয়। দেশব্যাপী জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেফতার করা হতে থাকে। দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি সরকার অন্যায়ভাবে দখল করে নেয়। ব্যাংকে রক্ষিত দলীয় একাউন্ট আটক করে, এমনকি চেয়ারম্যানের বাসভবনে রতি দলীয় অর্থও বাজেয়াপ্ত করে। নির্বাচনী প্রচারণায় পদে পদে বাঁধার সৃষ্টি করা হয়। রেডিও টেলিভিশনে প্রতিদ্বন্দী সকল দলের খবর প্রচার করা হলেও জাতীয় পার্টিকে সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়।

এতো প্রতিবন্ধকতা ও বাধা-বিপত্তির পরও জাতীয় পার্টি ’৯১-এর সে নির্বাচনে ৩৫টি আসন লাভ করে। পার্টির চেয়ারম্যান কারাবন্দী সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ একাই ৫টি আসনে জয়লাভ করে এক বিস্ময়ের সৃষ্টি করেন।

১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে কোনো দল এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু বিএনপি জামাতে ইসলামীর সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির ওপর চাপ সৃষ্টি করে সরকার গঠন করে। ক্ষমতায় আসার পর পরই এ সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ন স্বৈরাচারী চরিত্রের নগ্ন চিত্র উন্মোচিত হতে থাকে। বিএনপি সরকার ক্ষমতার দর্পে অন্ধ হয়ে ন্যায়-নীতি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে পদদলিত করে চলে। তাদের মুখের গণতন্ত্রের বুলে ফাঁকা বুলিতে পর্যুবসিত হতে থাকে। জাতীয় সংসদের ৫টি আসনে বিজয়ী সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদকে মুক্তি দিয়ে সংসদ অধিবেশনে যোগ দেয়ার সুযোগ দানের পরিবর্তে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক সাজানো মামলা দায়ের করা শুরু করে। এরশাদের বিরুদ্ধে মামলার চাঞ্চল্যকর সংযোজন হচ্ছে প্রেসিডেন্ট জিয়া হত্যার নায়ক মঞ্জুর হত্যা মামলা। ১৪ বছর পর রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে এ মামলা দায়ের করা হয় শুধু এরশাদকে অপদস্ত করার জন্য। অথচ ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকারই এই মঞ্জুরকে জীবিত অথবা মৃত ধরিয়ে দেবার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পুরষ্কার ঘোষনা করেছিলো। বিএনপি শুধু জেল-জুলুমই নয়, স্বৈরাচারী বিএনপি সরকারের আমলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পার্টি জনসভা করার অধিকারও ভোগ করতে পারেনি। হয় সরকারি প্রশাসন, নাহয় সন্ত্রাসী বাহিনী সকল জনসভা ও সমাবেশে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে তা ভণ্ডুল করে দেয়। এদেশে যারা একদিন বাকশাল গঠন করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিলো, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলো, তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে তারা যে সুযোগ সুবিধা পায়, গণতন্ত্রের স্বার্থে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা হস্তান্তরকারী বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এবং ইসলামী মূল্যবোধ ও উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী জাতীয় পার্টি যে সুযোগ পায়নি।

শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, এ সরকারের বিরুদ্ধে জনতার আদালতে আরো যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তার মধ্যে দুর্নীতি, অদক্ষতা, ব্যর্থতা ও প্রশাসনের সর্ব ক্ষেত্রে দলীয়করণ, উপ-নির্বাচনে ভোট ডাকাতি অন্যতম। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, তাঁর পুত্র, ভাই, প্রায় সকল মন্ত্রী ও এমপির বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদ সহ বিভিন্ন ফোরামে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জনের অভিযোগ ওঠে। মিরপুর ও মাগুরা সহ সংসদের বিভিন্ন উপ-নির্বাচনে বিএনপি সরকারের ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ কারো অজানা নেই। এসব নির্বাচনের পর বিএনপি সরকার ‘ভোট ডাকাত’ আখ্যা লাভ করে।

শুধু এই সব ব্যর্থতার খতিয়ানই শেষ কথা নয়। এদের বিরুদ্ধে ওয়াদা ভঙ্গের অভিযোগও জনগণেরই অভিযোগ। এ সরকার নির্বাচনের আগে প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা আইন তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। বরং বিরোধী দলের প্রবল আপত্তির মুখে ‘সন্ত্রাস দমন আইন’ নামক একটি কালো আইন চালু করে। সরকার রেডিও টেলিভিশনকে দলীয়করণ করে। বিরোধী দলীয় কর্মকাণ্ডের ছিটেফোটা প্রচারতো করেইনি, এমনকি ৩ জোটের ঘোষনায় স্বারকারী হিসেবে রেডিও-টিভির স্বায়ত্বশাসন প্রদাণের ওয়াদাও পালন করেনি। এ সরকার শ্রমিক কর্মচারী ঐক্যপরিষদের সাথে একাটি একাধিকবার সম্পাদিত চুক্তিও বাস্তবায়ন করেনি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পরিবর্তে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ টাইমস, দৈনিক বার্তার উপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন বজায় রাখার ক্ষেত্রে সরকারের আমলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। শুধুমাত্র ’৯৪ সালেই ক্যাম্পাসগুলোতে ৩২১৩টি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে। খুন হয় ২৮ জন ছাত্র। এ সরকারের শাসনামলে ৫ বছরে একমাত্র ক্যাম্পাসগুলোতেই সন্ত্রাসী ঘটনায় নিহত হয় ৫৭ জন। ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়। ’৯৩ থেকে ’৯৫-এর এপ্রিল পর্যন্তই খুন হয় ৫২৯৩ জন। সাধারণ মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিলো না। চাঁদাবাজির দৌরাত্মে ব্যবসায়ী মহলকে সর্বন উৎকণ্ঠিত থাকতে হয়। এ সময়ে ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে ৬৬ জন।

বিএনপি সরকারের আমলে কৃষি খাতের ওপর থেকে ভর্তুকি তুলে নেয়া হয়। দলীয় লোকদের স্বার্থে সার বিতরণ ব্যবস্থাকে কুগিত করায় দেশব্যাপী এক পর্যায়ে নজীরবিহীন সার সংকট সৃষ্টি হয়। সরকার সারের দাবিতে আন্দোলনকারী ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করে। ন্যায্য দাবি দাওয়ার সমর্থনে অবরোধকারী অসংখ্য শ্রমিককে হত্যা করা হয়। ’৯৪ সালে ঈদের আগে বেতন ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত ১৭ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে। এমনকি ’৯৬-এর ১৫ই ফেব্রুয়ারীর প্রহসনের নির্বাচন প্রতিরোধ আন্দোলনে রংপুরে ১৮ জন সহ সারা দেশে ১২০ জনকে হত্যা করা হয়। এক কথায় বিএনপি সরকার সারা দেশে সৃষ্টি করে এক চরম নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি। ফলশ্রুতিতে দেশের আমলারা হয় বিক্ষুব্ধ, চিকিৎসক, নার্স, শ্রমিক, কৃষক, ব্যবসায়ী তথা সকল শ্রেনী ও পেশার জনগোষ্ঠী বিুব্ধ হয়ে ওঠে। ঘুঁনে ধরা ঔপনিবেশিক প্রশাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে এরশাদ প্রবর্তিত জনকল্যানধর্মী উপজেলা ব্যবস্থা, ঔষধনীতি, ভূমি সংষ্কার কর্মসূচী, বিচার ব্যবস্থার সংষ্কার, দুঃস্থ শিশু পুনর্বাসন প্রকল্প, পথকলি ট্রাস্টের মতো এমনি আরো অনেক জনকল্যানধর্মী ব্যবস্থা বিএনপি সরকার কলমের খোঁচায় বাতিল করে দেয়। উপজেলা ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়ায় উপজেলা কেন্দ্রিক গ্রাম উন্নয়নের সকল কর্মকাণ্ড স্তব্ধ হয়ে যায়। উপজেলা আদালত তুলে দেয়ায় বিচার প্রার্থী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে।

গণতন্ত্রের মর্মবাণীকে নিশ্চিত করতে এরশাদ প্রশাসনের সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত জবাবদিহিতা, তথা জনপ্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু বিএনপি সরকার উপজেলা ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে সাবেক ঔপনিবেশিক আমলের ‘থানা’ ব্যবস্থা কায়েম করে। এমনকি উপজেলা নামটি পর্যন্ত এরা বাদ দিয়ে দেয়। নির্বাচিত চেয়ারম্যানের পরিবর্তে সরকারি আমলা টি.এন.ও.-কে দিয়ে ঔপনিবেশিক আমলের ‘সিও’ স্টাইলে থানা প্রশাসন চালু করে। উপজেলা ব্যবস্থা বাতিল করার পর একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘থানা’ পর্যায়ে প্রশাসনের গণপ্রতিনিধিত্ব কায়েম করার বিষয়ে সুপারিশ প্রনয়ণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। ৫ বছরেও সে কমিটি কোনো সুপারিশ দেয়াতো দূরের কথা, নিয়মিত বৈঠকেও বসতে পারেনি। মতার শেষ দিনটি পর্যন্ত এ সরকার জেলা পরিষদের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ কায়েম করতে পারেনি। আড়াই বছর পর্যন্ত পৌরসভাসমুহ এবং ৩ বছর পর্যন্ত মিউনিসিপাল ও সিটি কর্পোরেশনসমুহ মনোনীত চেয়ারম্যান/প্রশাসক বা মেয়র দিয়ে চালানো হয়।

বিএনপি সরকারের সবচেয়ে অমার্জনীয় ব্যর্থতা হচ্ছে অর্থনৈতিক েেত্র এক চরম নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি। ব্যবসা বানিজ্যে মন্দাভাব, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, পাইকারী হারে শ্রমিক-কর্মচারী ছাটাই, একে একে শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া, লাভজনক শিল্প প্রতিষ্ঠানসমুহ নামমাত্র মূল্যে নিজেদের মধ্যে নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়া এ সবই ছিলো বিএনপি সরকারের ৫ বছরের শাসনকালের বৈশিষ্ট্য। জাতীয় পার্টির আমলে নেয়া যমুনা সেতু প্রকল্পটি সে সময়ে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে। মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে এরা দেশে এক বেনিয়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কায়েম করে। অবাধ আমদানি নির্ভর এই ব্যবস্থায় দেশীয় শিল্পায়ন বন্ধ হয়ে যায়। নতুন বিনিয়োগ কাগুজে সাফল্যের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়। নতুন করে কোনো বিদেশী পুঁজি আসাতো দূরের কথা, যারা ছিলো তারাও একে একে দেশ ছেড়ে চলে যেতে থাকেন। এদের এই সর্বনাশা ভ্রান্তনীতির কারণে দেশটা ভারতীয় বেনিয়া ও মাড়োয়ারী গোষ্ঠীর অবাধ পণ্যবাজারে পরিণত হয়। বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী অর্থনৈতিক অবকাঠামো নির্মান করার নামে স্বাধীন জাতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ডটিই ভেঙ্গে দেয়া হয়। ফলশ্র“তিতে স্বনির্ভর জাতীয় অর্থনীতির অবকাঠামো গড়ে তোলার প্রয়াস হয় সুদূর পরাহত। একদিকে সীমাহীন দূর্নীতি, সরকারি অর্থের অবাধ লুটপাট, পাশাপাশি রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে ভ্যাটের যথেচ্ছ অপপ্রয়োগে জনগণের নাভিশ্বাস ওঠে। এক কথায় দেশের অর্থনীতিকে বন্ধক দিয়ে, সকল েেত্র স্থবিরতা, হতাশা, সমাজ জীবন সন্ত্রাস, সহিংসতা এবং স্বগোত্রীয় লোকদের সীমাহীন দূর্নীতি লুটপাটে ফলশ্র“তিতে ৫ বছরে বিএনপি সরকার দেশকে এক অনিবার্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনিত করে।

রাষ্ট্র পরিচালনায় বিগত ২০ বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে দেশবাসীর সামনে এখন কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। বিগত ২০ বছরে দেশ ও জাতি হারিয়েছে অনেক কিছু- দেশ চলে গেছে অনেক পিছনে। কিন্তু দেশবাসী একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। আর তা হচ্ছে- দেশ পরিচালনার কোন দল সক্ষম, সফল দক্ষ এবং অভিজ্ঞ জনগণ সেটা বুঝতে পেরেছে। রাজনীতি ও রাষ্ট্রপরিচালানার সফলতার সকল পরীক্ষায় যে জাতীয় পার্টি উত্তীর্ন হতে পেরেছে সে কথা এরশাদের এক কালের চরম শত্রুরাও আজ স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে। রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার জন্যে যে দক্ষতা এবং দুরদর্শীতার প্রয়োজন হয় তার প্রমাণ করে দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এখানে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে ’৮৮ সালের বন্যার কথা। ওই সময় রাষ্ট্রপতি এরশাদ উপলব্ধী করেছিলেন- ভবিষ্যতে এ ধরনের বন্যা মোকাবেলার জন্য অন্ততঃ রাজধানী শহর রার জন্য প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রয়োজন। সেই প্রয়োজীয়তার আলোকে মাত্র এক বছরের মধ্যে তিনি ঢাকা প্রতিরা বাঁধ প্রায় সম্পন্ন করেছিলেন এবং ডিএনডি বাঁধ বরাবর কংক্রিটের দেয়াল তুলে দিয়েছিলেন। তখন এটা নিয়ে তৎকালীন বিরোধী দলের সমালোচনার শেষ ছিলো না। কিন্তু পরবর্তীকালে ’৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় ওই প্রতিরক্ষা বাঁধ এবং ডিএনডি বাঁধের দেয়াল ঢাকার বৃহৎ অংশ রক্ষা করেছিলো। পরবর্তী সরকার যদি বাঁধের বাকি অংশের কাজ শেষ করতো তাহলে ঢাকা বন্যামুক্ত থাকতো। নেতা এরশাদের যে দূরদর্শীতা ছিলো তা পরবর্তী সরকার প্রধানদের মাঝে থাকলে ঢাকা বন্যার কবলে পড়তো না। তাই রাজধানীকে বন্যাসহ বিদ্যুৎ ও পানির সংকটমুক্ত রাখতে হলে এরশাদের মতো নেতার আর কোনো বিকল্প নেই। এভাবেই রাষ্ট্র পরিচালনায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকার ৯ বছরে যেভাবে সফলভাবে দেশ চালিয়েছে তা অন্য কোনো সরকার পারেনি। এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির অর্জিত সাফল্যের কথা ইতিপূর্বে কিছু তুলে ধরা হয়েছে। এবার হাসিনা সরকারের ব্যর্থতার কিছু নজির তুলে ধরতে চাই।

এই সরকার দেশের ধ্বংসযজ্ঞ চূড়ান্ত করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশ এক সন্ত্রাসী ও অরাজক রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এই সরকার রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতিই শুধু ধ্বংস করেনি দেশের স্বার্থ বলি দিয়েছে ভারতের কাছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আর অখণ্ডতাকে হুমকির সম্মুখিন করেছে। কার্যতঃ পূর্ববর্তী সরকারের আমলে যদি জনগণ দুশাসনের সাগরে পতিত হয়ে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা মহা সাগরে পড়েছে।

হাসিনা সরকারের আমলে সন্ত্রাস সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করে। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা নিশ্চিহ্ন হয়। এই সরকারের আমলের প্রতিদিনের চিত্র হচ্ছে খুন-ডাকাতি-চাঁদাবাজি-ছিনতাই-ধর্ষন-রাহাজানি। এই সরকারের আমলে শিশু ধর্ষনের ঘটনাবলী সমাজ জীবনকে কলুষিত করেছে। এই সরকারের অস্তিত্ব শুধু রাজধানী কেন্দ্রীক। তাও বিরোধীদল দমন করার ক্ষেত্রে। দেশের আর কোথাও সরকারের অস্তিত্ব ছিলো বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রাজত্ব করেছে সন্ত্রাসী আর সমাজবিরোধীরা।

এই সরকারের আমলে গণতন্ত্র সবচেয়ে বেশী বিপর্যস্ত হয়েছে। অতীতে এরা একদলীয় বাকশাল প্রবর্তন করেছিলো। তারই আদলে এরা সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের অপচেষ্টা চালিয়েছে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মধ্যে ঐক্যমতের সরকারের নামে জনপ্রতিনিধিদের খরিদযোগ্য পণ্যে পরিণত করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার জন্য পুলিশকে ব্যবহার করেছে। দলীয় ক্যাডারদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। সমাজ বিরোধী এবং সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের সরকারি দলে পুনর্বাসিত করে তাদের বিরোধীদল মোকাবেলার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এদের প্রতি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার কারণে আইন তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারেনি। এই সরকারের আমলে সরকারের ভাবমূতি ধ্বংস হয়েছে। সংসদ হয়েছে অশ্লীল গালাগালির অভয়ারণ্য।

পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে আওয়ামী সরকারের আমলে। শিক্ষা ব্যবস্থা অনিশ্চিত করে ভারতের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সমুহে বাংলাদেশের ছাত্রদের পড়াশোনার ক্ষেত্র তৈরী করা হয়েছে। এখানে শুধু বিত্তবানরাই তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করানোর সুযোগ পায়। এতে করে বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে যারা এক সময় দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে তাদের মধ্যে ভারতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি ভারতমুখী মন-মানষিকতার জন্ম নেবে। অপরদিকে দেশের শিক্ষাঙ্গনে চলে সন্ত্রাস। কলেজ-ইউনিভার্সিটি, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, কারিগরি কলেজ সন্ত্রাসের কারণে বন্ধ থাকে। পড়াশোনায় থাকে সেশনজট, পরীক্ষায় চলে নকলের মহোৎসব। যাতে করে দেশ শিক্ষা-দীক্ষায় পেছনে পড়ে, জাতির মেরুদণ্ড যাতে ভেঙ্গে পড়ে তার জন্যই বাইরের শক্তির পরিকল্পনা তাবেদার একটি সরকারকে দিয়ে বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।

দেশের সংস্কৃতি এখন বিদেশী আগ্রাসনের কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে। ভাষা-শিক্ষা-সংস্কৃতি-হিন্দি বলয়ের মধ্যে আবদ্ধ হয়েছে। দেশের সাংস্কৃতিক মাধ্যম বিপর্যস্ত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। যে চেতনা নিয়ে ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন হয়েছিলো, সেই চেতনা বর্তমান সরকারের আমলে ভুলুণ্ঠিত হয়েছে।

দেশের সাফল্যের ব্যারোমিটার নিহিত অর্থনীতির মাধ্যমে। পূর্ববর্তী সরকারের মতো এই সরকারের চরম ব্যর্থতা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। মূলতঃ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্থনীতির যেটুকু ধ্বংসাবশেষ ছিলো তাও শেষ হয়ে গেছে। দেশের শিল্প কারখানা একের পর এক বন্ধ করা হয়েছে। শ্রমিকরা বেকার হয়ে গেছে। দেশ ভারতের পন্য বাজারে পরিণত হয়েছে। যাদের স্বার্থ রার জন্যে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসেছে, ৫ বছরে তাদের স্বার্থই রক্ষা করেছে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ৩ মাসের মধ্যেই বুঝতে পেরেছে এরা দেশের অর্থনীতির শেষ বিন্দুটি পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছে। সে কথা বুঝতে পেরেই কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারমূল্য বৃদ্ধি করে তাদের বিনিয়োগের কয়েকগুন লাভ করে পুঁজি তুলে নিয়ে চলে গেছে। অদ আওয়ামী লীগ সরকার সেই বিস্ফোরণকে অর্থনীতির সাফল্য হিসেবে মনে করেছিলো। এখন দেশের শেয়ার বাজারে প্রেতাত্মা ছাড়া আর কিছুই নেই। দেশের হাজার হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে। এই সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে কিন্তু উৎপাদন বাড়েনি। বিদ্যুতের অভাবে শিল্প কলকারখানা লোকসান দিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে।

খাবার পানির অভাবও এই সরকার দূর করতে পারেনি। রাজধানী ঢাকার মানুষ পানির অভাবে হাহাকার করেছে।

কুটনৈতিক ব্যর্থতাঃ ফারাক্কা পানি চুক্তি করে সরকার পানি আনতে পারেনি। উপরন্ত ৩০ বছরের জন্য ফারাক্কা নিয়ে আলোচনার পথও বন্ধ করে দিয়েছে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের সাথে যত চুক্তি হয়েছে তাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা হয়নি। বরং বাংলাদেশকে ভারতের বাজার তৈরীর পথ আরো উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

স্বার্বভৌমত্বঃ পার্বত্য শান্তি চুক্তি করে দেশের অখন্ডতাকে বিপন্ন করেছে। দেশের এক দশমাংশ ভূমির উপর দেশের কর্র্তৃত্ত উঠে গেছে। পার্বত্য অঞ্চল দৃশ্যতঃ দেশের মধ্যে থাকলেও কার্যতঃ তা বিচ্ছিন্ন।

উন্নয়ন বন্ধঃ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়নে নতুন কিছু করতে পারেনি। পুরানো যা ছিলো তার নাম পরিবর্তন করেছে। আর শুধু অতীতের স্বপ্নের কথা বলেছে।

ওয়াদাভঙ্গের সরকারঃ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ওয়াদাভঙ্গের
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাত্রিজাগর রজনীগন্ধা, করবী রূপসীর অলকানন্দা.....

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬



আমাদের দেশে নানান ধরনের ও রং এর অলকানন্দা দেখা যায়। এরা আমাদের দেশীয় ফুল না। তবে বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশ 'Allamanda'-র সাথে মিল রেখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা নামকরণ করেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধ হোক এই ফ্যসিবাদী ব্যক্তিপুজার রেওয়াজ

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে এক দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেওয়াজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিক্ষিত ভারতীয়রা হতাশ, কমশিক্ষিত ভারতীয়রা রাগান্বিত।

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:০৬






অমর্ত্য সেন বাংগালী মানুষ, ব্লগিং'এ তেমন ভালো নন; কিন্তু বাংগালীদের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈ্তিক অবস্হা বুঝেন ও বাংলাদেশের জন্য চিন্তিত ও বর্তমান অবস্হা নিয়ে হতাশ। আসলে, উনি মহাজাগতিক ও যেকোন ভুয়া বাংগালী থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিবিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাবেন না।

লিখেছেন জাদিদ, ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:১১

সাম্প্রতিক সময়ে শিবির নিয়ে অনেক মিথ্যাচার হচ্ছে। ইসলাম রক্ষা এবং দ্বীনের প্রচারে যে দায়িত্ব শিবির পালন করে যাচ্ছে সেটা অতুলনীয়। অতীতেও আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লগ্নে ইসলামী ছাত্র সংঘ তথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি যদি বিয়ে না করি, তাহলে সন্তান হবে না। এখনই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বৃদ্ধ অবস্থায় কি হবে? তখন আমাকে সেবা করবে কে?

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:০২

একাকীত্ব, অসুস্থতা ও রোবটের প্রয়োজনীয়তা


আগে আমি আমার নানা-নানীর সাথে থাকতাম। কেন থাকতাম, সে গল্প আপনারা জানেন। সময় বদলায়, জীবনও নতুন মোড় নেয়। বিয়ের পর আমি, আব্বু, আম্মু ও স্ত্রী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×