আওয়ামী লীগে জন্ম থেকেই উপদলের ছড়াছড়ি। একেকটা উপদল আঞ্চলিক ইস্যুতে রীতিমতো একেকটা দলের মতো আচরণ করে থাকে। সম্ভবত সেই জন্যই আওয়ামী লীগে আনুষ্ঠানিক ভাঙ্গন অতটা জরুরি নয়। ১৯৮৩ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে বাকশালের জন্ম থেকে এরশাদের স্বৈরশাসন যথেষ্ট লাভবান হয়েছিল ঠিক। কিন্তু এই মুহুর্তে সেধরণের ভাঙনের তুলনায় শতাধিক উপদলকে সক্রিয় রাখা আওয়ামী লীগকে অকার্যকর দল হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকতে সহায়তা করবে। ১৯৯৬-২০০১ ক্ষমতায় থাকার সময়ে উপদলের সংখ্যা আর তাদের বিরোধীতার মাত্রা বেড়েছে অনেকগুণ। আওয়ামী লীগ এবার ভাঙবে না সেটা বলছি না, বলতে চাচ্ছি না ভাঙলেও তারা ভাঙাদলের দূর্বলতা ধারণ করে এবং করবে।
বিএনপি ভাংতে শুরু করেছে ২০০২এ। এই ভাঙন কোন আদর্শের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে এমনটা ভাবতে গেলে যথেষ্ট কল্পনার আশ্রয় নিতে হবে। একই কথা প্রযোজ্য ২০০৬ এর অক্টোবরের ভাঙন সম্পর্কে। জেনারেল জিয়ার পুত্রের উপর সিনিয়ার নেতারা নাখোশ এটা ১৯৯৮-৯৯ থেকে শোনা যাচ্ছিল। ক্ষমতায় থাকার সময় আরো স্পষ্ট হয়েছে। খালেদা জিয়া বিষয়টাকে ব্যালেন্স করার চেষ্টা না করে একতরফা পুত্রের পক্ষ নিয়েছেন। মান্নান ভুইয়াদের দলত্যাগ সেকারণে কোন কাকতালীয় ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না। সামরিক তত্ত্বাবধানে দল ভেঙে তেলেজলে মেশানোর এক্সপেরিমেন্টে জেনারেল জিয়া সফল বলেই মনে হচ্ছিল আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে ২০০১ পর্যন্ত। এখন আবারো মনে হচ্ছে পুরনো বাংলা প্রবচন, তেলে জলে মেশে না। তবে মানি ইজ নো প্রবলেম তার কাজ করে যাচ্ছে। তার জোরে অনেক কিছুই হয়। নিজামীও দেখা যাবে শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু বলছেন!
১. ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫৮ ০