পরিবর্তন হবার চেষ্টাই আমার কাছে মুখ্য মনে হয়, একদম দমেই পরিবর্তন হয়ে সব কিছুতেই সেরা হয়ে যাবে সেরা সার্ভিস দিবে এটা সম্ভব নয়, অনেক সময়ের দরকার। গতকাল পল্টন মডেল থানায় একটা জিডি করতে (ছোট একটা প্রতারনায় পড়েছি, পরে লিখবো, এত অভিজ্ঞতার পরেও) গিয়ে দেখলাম একদম ভিন্ন চিত্র, অফিসার আমার কাগজ পড়ে ভুল গুলো ধরিয়ে দিলেন এবং জানালেন, এই গুলো পরিবর্তন করতে হবে, করে নিয়ে যাবার পরে নিয়ে নিলেন। দৃশ্যটা একদম আগের তুলনায় ঝকঝকে, কোন টাকা কড়ির চাহনিও নেই, সময় নষ্ট, টেবিলে টেবিলে ফেরা নেই, কারো পরিচয় দিতে হল না।
পরে ভাবলাম, এটা কি শুধু আমার সাথে নাকি অন্যদের সাথেও। দূরে সোফায় বসে কিছুক্ষন দেখলাম, যারাই আসছে, ঠিক থাকলে নিয়ে নিচ্ছে, ভুল হলে শুদ্ধ করে লিখে আনতে বলছেন, একজন বৃদ্ধকে যেভাবে বুঝিয়ে বললেন, তা দেখে আমি আনন্দিত হয়েছি। বৃদ্ধের জিডি সিরিয়াস, মমলা হবার মত কিন্তু বৃদ্ধ মামলা করবেন না, জিডি করেই যেতে চান, সেখানে বৃদ্ধকে না ঘুরিয়ে হাতে লিখিয়েই কাজ হয়ে গেল। পাশে আরেক মহিলা স্বামীর খোঁজ নেই কয়েক সপ্তাহ, তিন বছরের সংসার, ঘটনা কানে শুনলাম, মুলত স্বামী এখন আর সংসার করতে রাজী নয়, কার কাছে যেতে হবে বলে দিলেন।
রামগতি থেকে এক ভাই বাসে উঠার পরে আর কোন যোগাযোগ নেই, ফোন বন্ধ, ছোট ভাই থেকে হারানো ভাইয়ের পরিচয় পত্র রাখলেন, কোথায় যেয়ে জিডি করতে হবে জানিয়ে দিলেন। একদম পরিস্কার, কাউন্টার থেকেই। জিডি গুলো সাথে সাথে দেখলাম কম্পিউটার এন্ট্রি হয়ে যাচ্ছে, পাশের মনিটরে সিসিটিভিতে চোখ পড়লো, থানা হাজত আরামসে ঘুমাচ্ছে চার কায়েদি, মনে হচ্ছে অহেতুক মার খাবার টেনশনে নেই তারা, বেশ পরিস্কার রুম।
আজ সকাল ১১টায় দায়িত্বপাপ্ত অফিসার ফোন দিলেন, আমি রাস্তায়, কথা হল। জিডির প্রতি এত খেয়াল রাখবে এই ধারনা ছিলো না, যাই হোক, জিডি গুলো যে দেখছেন বা তদারকি করছেন এটাও অনেক বড় বিষয়, যা আগে হত না।
(আমি এই থানায় বহু বছর আগে আরেকবার গিয়েছিলাম, সেই অভিজ্ঞতার কাছে এটা অনেক সুন্দর, যদিও আচরণগত বচনে কিছু সমস্যা রয়েই গেছে, তবুও এটাও কম পরিবর্তন নয়। সরকারী অফিস গুলোতে এখন পরিবর্তন হচ্ছে, যা চোখে পড়ে, ভালকে ভাল বলতেই হয়।) ধন্যবাদ পল্টন মডেল থানা। ছবিঃ মানব জমিন পত্রিকা থেকে নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৩