শ্রীলঙ্কার এই সময়ের ঘটনা প্রবাহ দেখেও দেখি অনেক সরকার সমর্থক দাঁত কেলিয়ে হাসছে, এদের জন্য আফসোস হচ্ছে! যাই হোক, আমরা যেহেতু একদম সরাসরি গণ মানুষের সাথে যুক্ত, পথে ঘাটে মানুষের মুখ দেখি, আমরা বুঝি, মানুষ কেমন কষ্টে আছে। অন্যদিকে আবার নিজের কথা, নিজের ইনকাম, নিজের ব্যবসা, চারিদিক তো বসে বসে দেখছি, সাধারন মানুষ খুব একটা ভাল আছে বলাই যায় না!
আমি করোনার আগে নিজকে উচ্চ মধ্যবিত্ত ভাবতাম, এখন নিন্ম মধ্যবিত্তও ভাবতে পারি না, আমার ইনকাম আগে যা ছিল এখনো তাই, তা হলেও আমি কেন হারিয়ে যাচ্ছি বা নিন্মে পতিত হচ্ছি! এর কারন এখন আমার আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি (ফলে সঞ্চিত অর্থ হারিয়ে যাচ্ছে চোখের সামনেই), এই ব্যয় বেড়েছে অথচ কামাই কমেছেই! পারিবারিক খরচ, সন্তানদের খরচ, থাকা খাওয়া, বিল বাল (ব্যাংক বুঙ্ক সবাই কেটেই নিচ্ছে, দিচ্ছে না কেহ), ভ্যাট বুট সব কিছুই কয়েক গুন বেড়েছে!
আগে যেখানে কয়েক পদের তরকারী নিয়ে খেতে বস্তাম এখন এক তরকারী দিয়ে চুপচাপ খেয়ে উঠি, প্রিয়তমা স্ত্রী আর আমি খাবার টেবিলে হাসি! ফলত আমার চেয়ে নিন্মে যারা আছেন তাদের অবস্থা কল্পনাই করা যাচ্ছে।
হ্যাঁ, সরকারের সুবিধায় ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে মাত্র, অথচ সরকারের কাজ তাদের কিছুটা হলেও লাগাম ধরা, গরিবদের টেনে তোলা, নানান স্থানে ভাল থাকার সু্যোগ দেয়া! ধনীরা তাদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে গত কয়েক বছরে এমপ্লেইদের কত বেতন বাড়িয়েছে, সরকারের তা দেখা উচিত, এক টাকাও বাড়ায় নাই, উপরন্তু তারা অঘোষিত নোটিশ দিয়ে রাখছে, এই বেতনে কাজ না করলে চলে যাও! ফলত দেশের পুরা মধ্যবিত্ত থেকে নিন্মবিত্ত, সৎ পরিবার গুলো মোটেই ভাল নেই, বলা চলে বিপর্যন্ত, কোন আশাও আর করতে পারছে না! ইঙ্কামের সামান্য অংশও যদি সঞ্চয় না করা যায় তবে কে ভাল থাকে? বেসরকারী লোকেরা বৃদ্ধ বা কর্মহীন হলে চলে কি করে?
যাই হোক, আমি মনে করি বাংলাদেশের এখনো অনেক সময় আছে, 'কঠোর সুশাসন' চালু করা দরকার, অন্যায় করলেই কঠোর শাস্তি, যারা হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের বিচার এখুনি, যে কোন মুল্যে সরকারের সমস্ত প্রতিষ্ঠান ঝকঝকে করে ফেলতেই হবে, মন্ত্রী মেয়র এম্পিদের এখুনি হাটে মাঠে জনতার কাতারে নেমে যেতে হবে, তাদের বুঝতে হবে, নাইলে এই জনতা সেই জনতা হতে সময় নিবে না!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪০