ভালবাসা,
ভালবাসা সে তো এক অদ্ভুত আসক্তি, সমার্পন বিভক্তি, অভক্তি, অযুক্তিযুক্ত বিসর্জন।
আহারে, কার ভালবাসা কে পায়,
যে হাজার রজনী স্রষ্টা সমীপেষু দিব্যলোক অশ্রু রচিছে, সে স্রষ্টার আশাবাদীদের তালিকার তলানিতেই পড়ে জাতকের প্রান যায়।
ওদিকে দেবীকে পূজিতে ব্যস্ত দুর্জন দু বাহু দুনয়ন!
কি বৈষম্যের বিচার, কি হাস্যকর,
তবুও বিধাতা তুমি নিশ্চুপ আমরন।
কি অদ্ভুত এই কাঙালপনা হৃদ, আমৃত্যু এক অভিশাপগ্রস্ত বিষাদিত ক্রন্দন মুখর চারিপাশ,
তোমার চারপাশে চলতে থাকে আমি নামক জীবন্ত লাশ,
যে লাশের অভিব্যক্তি, এক অভুক্ত আত্মা,
খুজেছি, বুঝেছি, জপেছি, মেপেছি, কি চায় স্বত্বা।
কৃতজ্ঞতা স্রষ্টা সমীপেষু,
অদৃশ্য তলানিতে পড়ে আছি, ছুটে ছুটে সাফল্য নামক পাপের পিছু।
না শুনেছি তাহার চাহুনী না, না শুনেছি পিঞ্জরের ডাক,
ওহে পরমেশ্বরী, এ আত্মা মুক্তি পাক!
তাহারো আবর্তন, সময়ের ব্যাপ্তিকালে,
আমার আবর্তন, জীবনের সন্ধিক্ষণে,
অনিশ্চয়তার মগ ডালে।
আহারে, সেই ভালবাসা,
পরম সুখ আর পরিতৃপ্তির আশা,
পাইনি কিছুই, পেয়েছি যাতনা, কুমন্ত্রণাতে এক বুক নিলর্জ্জ হতাশা।
ক্ষোভ, ঘৃনা, মিথ্যে, প্রতারনা আর মুখোশ,
সত্য থেকে মাহরুম করেছে চম্পকরাগ ক্রোশ,
তুমি সুখ অভিলাষী,
আমি ঠিকানা হীন অভিবাসী।
আমার ঠিকানা ধূলিকণা আর এ রক্ত, সিক্ত পথ,
সুখে থাকো হে প্রিয়দর্শিনী,
চলকু তোমার সাফল্য,সৌন্দর্য, স্নিগ্ধতার রথ।
অযাচিত সব শঙ্কায় কাটে প্রতিটা রাত,
বিনিদ্র সে সব রাতের তারাও শুনেছে এ কাঙালের আর্তনাদ।
ভালবাসা,
সে তো অপাত্রে দান করিতেই সৃষ্টি,
মহাকাল জানিবে, এ ক্ষরনের বরন,
ফুরিয়ে যাবার কৃষ্টি,
না বলে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার কারন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১