দাসী কিনবেন যৌন দাসী!!! বয়স মাত্র ১২ বছর ! এখনও ভার্জিন! আর দাম মাত্র ৮০০ ডলার! এভাবেই হোয়াটসঅ্যাপ-টেলিগ্রামের মাধ্যমে ১২ বছরের মালিথার মত শিশুদের বিজ্ঞাপন দিয়ে যৌন দাসী বিক্রি করছে আইএস।একদিকে যেমন পৈশাচিক হিংস্রতার নির্মমতায় বিশ্বের মানবতাকে পদধূলিত করছে ঠিক অপর দিকে বিশ্বের মোড়ল নামক প্রেতাত্মা গুলোর আর্শিবাদে অাইএস দিন দিন অস্ত্রে-অর্থে বিত্তশালী হচ্ছে।যাদের রক্তাক্ত ললাট নারকীয় গুলশান ট্রাজেডী দিয়ে সবুজ শ্যামল বাংলাদেশকে শোকার্ত স্তম্ভিত করে দিয়েছে।
কারা তাদের জিঘাংসা বাস্তবায়নের জন্য আইএসকে অর্থ ও অস্ত্রের যোগান দেয় তা নিয়ে শুরু থেকেই ধোয়াশা ছিল আজ ও কিছটিা আছে।তবে তাদের করা নির্মমতায় বিশ্বের অনেক মোড়লদের যে লাভবান করেছে তা এখন দূরবীন ছাড়াই দেখা যায়।মোড়লদের খুশি করার অর্থ দারুন ভাবে আইএস পেয়েছে বা পাচ্ছে। অর্থনৈতিক সংস্থানের পথ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি আইএস সেনাদের যুদ্ধ কৌশল শিখিয়েছিল ইসরাইল, ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।আর ইসরাইল ভারতসহ তার অন্যান্য বন্ধুদের স্বার্থের পথের কাটা গুলোকে সরাতেও তাদের আইএস নামক এজেন্টকে খুব ভালভাবে ব্যাবহার করে।গুলশান ট্রাজেডীর নারকীয় তান্ডবে লাভবান হয়েছে কারা সেদিকে দৃষ্টিপাত করলে সহজেই তা প্রতীয়মান।
আইএস তাদের নিজস্ব মুদ্রা প্রচলনের সময় অধিকৃত এলাকার রাজস্ব ও তেল বিক্রির মাধ্যমে অর্থ সংস্থানের কথা বলে। কিন্তু বিশ্লেষণে দেখা যায়, তাদের অর্থ যোগানের বিষয়টি সন্দেহজনক।১৬০টি কম্পিউটার ফ্লাশ স্টিক থেকে আইএসের অর্থ সংগ্রহের যে তথ্য পাওয়া গেছে তা একেবারে নতুন।ইরাকের মসুল অধিকার করার আগে তাদের মোট সম্পদ ছিল ৮৭৫ মিলিয়ন ডলার। এরপর তাদের নগদ অর্থ প্রবাহ (ক্যাশ ফ্লো) বাড়তে থাকে। সিরিয়ার তেলক্ষেত্র ও সামরিক সরবরাহ লুটের মাধ্যমে ২০১২ সালের পর তাদের সম্পদ ১.৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।আইএস সিরিয়ার অধিকাংশ তেলক্ষেত্র দখলে নিয়েছেখবরটা পুরনো। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে তেল বিক্রি হচ্ছে কোথায়?
মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের একটি ট্যাংকার উত্তর ইরাকের কুর্দিশ অঞ্চল দিয়ে মেক্সিকোর টেক্সাস উপদ্বীপে পৌঁছে। সেখানে সেটা যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর জন্য জাহাজীকরণ করা হয়। কারণ, ইরাক থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে আমেরিকার আদালতের নিষেধাজ্ঞা ছিল।তাহলে আইএসের তেলের গোপন প্রধান ক্রেতা তাহলে যুক্তরাষ্ট্র!!!ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত জ্যান্যা হেব্যাসকোভা তো বলেই ফেলেছিলেন, অনেক ইইউ রাষ্ট্র আইএস এর কাছ থেকে তেল কিনছে।যুক্তরাষ্ট্র যে ইরাক ও সিরিয়া থেকে আইএসের তেল কিনে স্বীকার করেছে খোদ ইসরাইল ন্যাশনাল নিউজ! গত বছরের মে মাসে রয়টার্স নিজে আবিষ্কার করে যে, ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো নিয়মিত কুর্দিস্তানে আইএস থেকে বিতর্কিত তেল কিনছে।
আইএসের আয়ের অন্যতম উৎস ধনীদাতাদের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে পাওয়া অর্থ। আইএস প্রাথমিকভাবে ধনীদাতাদের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে অর্থ পেয়ে থাকে। ইসরাইল,যুক্তরাষ্ট্র,মধ্যপ্রাচ্য সহ ইহুদী বড়লোক ব্যবসায়ীরা আই এসকে অর্থ দান করে।ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী এসব দেশের ধনী ব্যবসায়ীরা ২০১৩-১৪ সালে প্রায় চার কোটি ডলার আইএসকে প্রদান করেছে!
বিভিন্ন বিদেশী নাগরিকদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় আইএসের আয়ের অন্যতম একটি বড় উৎস।২০১৪ সালে এই খাত থেকে দুই কোটি মার্কিন ডলার আয় হয়। সাবেক আইএস যোদ্ধা সিএনএনে বলেন, অপহরণ-বাণিজ্যের জন্য আইএসের আলাদা বিভাগই আছে।জাতিসংঘের ২০১৪ সালের অক্টোবরে এক হিসাবে বলেছে, আইএস ২০১৪ সালে অপহরণের পর মুক্তিপণের মাধ্যমে তিন কোটি ৫০ লাখ ডলার থেকে চার কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করে।
ইরাক ও সিরিয়ার দখলকৃত এলাকার অপরিশোধিত তেল বিক্রি করে বিপুল অর্থ জোগাড় করছে আইএস। ইকোনমিকস এর তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০১৪ সালে আইএসের তেল বিক্রি থেকে আয় ছিল ১০ কোটি মার্কিন ডলার।কূপ থেকে তেল তুলে তারা কালোবাজারে বিক্রি করে। এই বিকিকিনি চলে তুরস্ক সীমান্তে। তেল কিনতে সেখানে আগে থেকে অপেক্ষায় থাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কিছু ব্যবসায়ী। যেহেতু এগুলো চুরি বা অবৈধভাবে তোলা হয়, তাই দামেও বেশ কম। এসব তেল পরে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। যোগাযোগের জন্য হোয়াটসএ্যাপ ব্যবহার করে চোরাকারবারিরা।সম্প্রতি বোমা হামলায় আইএস দখলকৃত অঞ্চলের অনেক তেলক্ষেত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই এই খাত থেকে আইএসের আয় কমে গেছে।
বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে সিরিয়াও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জন্য বিখ্যাত। এগুলো চুরি করে বিক্রি করে বহু অর্থ নিজেদের তহবিলে জমা করে। সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহর পালমিরার মতো অন্য শহরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো বিক্রি করাও আইএসের অর্থের একটি উৎস।হাফিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বিক্রি করে আইএস বছরে ১০ কোটি ডলার আয় করে।অনেকের মতে এটা আইএসের আয়ের দ্বিতীয় উৎস।
দখলকৃত এলাকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর জিজিয়া নামে বিশেষ কর আরোপ করেছে আইএস। সংখ্যালঘুদের এই কর দিতে বাধ্য করে আইএসকে। কর ছাড়া কোনো সংখ্যালঘু আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় থাকলে সাধারনত হত্যা করেআইএস।আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় দুই ধরনের নিয়ম চালু আছে। যারা আইএস যোদ্ধা, তাদের পরিবার চিকিৎসাসহ অন্যান্য খাতে বিনামূল্যে সেবা পায়। এর বাইরের যারা থাকে, তাদের কর দিয়েই থাকতে হয়।
দ্য মেইলের তথ্য অনুযায়ী,দখলকৃত এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আইএস। এই খাত থেকে তাদের লাখ লাখ মার্কিন ডলার আয় হয়। শুধু এলাকার বাসিন্দাই নয়, ওই এলাকায় ব্যবসা করতে আসা ব্যক্তিদের কাছ থেকেও আইএস চাঁদা তোলে।পণ্য বিক্রি, টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি, ব্যাংকের হিসাব থেকে নগদ টাকা তোলা, বিভিন্ন কর্মচারীর বেতন, নিয়ন্ত্রিত এলাকার তল্লাশি চৌকি দিয়ে ট্রাক ঢুকলে, বিদ্যুত ও পানি ব্যবহারের জন্য আইএসকে কর দিতে হয়।ব্যবহারকারীরা অবশ্য দিনে মাত্র এক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুত পান।যারা আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকা দিয়ে যাতায়াত করে, সেখানে ব্যবসা করে এবং বসবাস করে তাদের ‘নিরাপত্তা’ দেয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে চাঁদা আদায় করে আইএস।
বর্তমানে অনলাইনে আইএসের বিজ্ঞাপন দিয়ে দাস বিক্রির খবর ভাইরাল।সভ্য পৃথিবীর সবচেয়ে পৈশাচিক এই দাস ব্যবসা থেকে প্রচুর আয় করে আইএস। বালিকা ও নারীদের অপহরণ করে যৌন দাস হিসেবে বিক্রি করে অর্থ আয় করে।। ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের তথ্যের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ইরাকের সিনজার শহর দখল করে কয়েক হাজার ইয়াজিদি নারীকে বন্দি করে আইএস। পরে তাদের দাস হিসেবে বিক্রি করা হয়।হান্নান নামের একজন ইয়াজিদি নারী বলেন, তিনি আইএসের হাত থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তিনি বিবিসিকে বলেন, তাকে আইএসেরা আরো ২০০ নারী ও মেয়ের সঙ্গে একটি ক্রীতদাসদের হাটে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে আইএস ও অন্যান্যরা এসে নিজের পছন্দ মতো মেয়ে নিয়ে যেত।
মার্কিন অর্থ বিভাগের হিসাবে, ২০১৪ সালে ইরাকের উত্তর ও পশ্চিম দিকে কয়েকটি রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি করে আইএস পাঁচ লাখ ডলার অর্থ নিজের তহবিলের জমা করে।
ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুলের পূর্বদিকে দজলা নদীর ওপারে বাব আল তুব এলাকায় অটোমান আমলে নির্মিত ঐতিহাসিক একটি পুলিশ চৌকিকে এখন মার্কেট বানিয়েছে আইএস। চৌকিটি ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত। ৬০টি স্টল করে সেখানে এখন ফল ও শাক-সবজির বাজার বসানো হয়েছে। দোকানগুলো বার্ষিক ভাড়া প্রায় আড়াই হাজার ডলারের মতো। এসব তথ্য পাওয়া গেছে যোগাযোগ নেটওয়ার্কে আড়িপেতে এবং দলছুট আইএস সদস্যদের কাছ থেকে। আইএস নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার জটিল অর্থনৈতিক নেটওয়ার্কের পুরো চিত্রটি পাওয়া বেশ কঠিন।
যে কোনো দেশের সুশৃঙ্খল বাহিনীর সঙ্গে লড়তে যে অস্ত্রের প্রয়োজন, তা কোথা থেকে পাচ্ছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা!! আইএসের অর্থ সংস্থানের মত অস্ত্রের যোগান নিয়েও প্রচুর ধোয়াশা রয়েছে।আইএস যোদ্ধারা ২১টি দেশে উৎপাদিত অস্ত্র ব্যবহার করছে, যার মধ্যে বেশিরভাগের প্রস্তুতকারী দেশই আমেরিকা ও ইসরাইল।ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরাক ও সিরিয়ায় সংঘর্ষ চালু রাখতে আইএসের প্রচুর অস্ত্রের জোগান পেতে তেমন বেগ পেতে হয় না।আই্এস তাদের বিপুল উপার্জিত অর্থ থেকে তারা সরাসরিও অস্ত্রের ডিলার বা অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অস্ত্র কিনছে। এসব প্রতিষ্ঠানই মধ্যপ্রাচ্যে সংঘর্ষ থেকে নিয়মমাফিক লাভবান হয়ে আসছে।আমেরিকার মিসৌরিতে অবস্থিত যুদ্ধ-উপকরণ তৈরির কারখানার অস্ত্র অহরহ পাওয়া যাচ্ছে আইএসের হাতে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণার সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানা যায়, ইরাক ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে জুলাই ও আগস্টে এক হাজার ৭০০ কার্তুজের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। চারটি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে উদ্ধার করা এই কার্তুজগুলো মেশিনগান, সাব-মেশিনগান, রাইফেল ও পিস্তলের। এগুলোর মধ্যে ৪৯২টি কার্তুজ ১৯৪৫ সালের সোভিয়েতে তৈরি।আইএসের অস্ত্রের একটি বড় অংশের প্রস্তুতকারী দেশ ভারত ও চীন। দেখা গেছে, উদ্ধার করা কার্তুজগুলোর ৪৪৫টিই ভারত ও চীনে তৈরি। আমেরিকায় তৈরি কার্তুজ সংখ্যা ৩২৩টি। আইএসের ব্যবহৃত অস্ত্রের মধ্যে এম-১৬ এর প্রস্তুতকারী দেশও আমেরিকা। এর বুলেট সিরিয়ায় সহজলভ্য নয়। সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত আরেকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, কুর্দি সামরিক বাহিনী আইএসের কাছ থেকে বেশ কিছু ইসরাইলের তৈরি এম-১৬ অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার করেছে।
আমেরিকার মিসৌরিতে চার হাজার একরজুড়ে প্রতিষ্ঠিত এক যুদ্ধাস্ত্র তৈরির কারখানায় প্রতিদিন ৪০ লাখ রাউন্ড বুলেট উৎপাদন হয়। 'কনফ্লিক্ট আরমামেন্ট রিসার্চের' দেয়া তথ্য অনুসারে আইএসের ব্যবহৃত অনেক শেলের ওপর ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান 'স্পোর্টিং সাপ্লাইস ইন্টারন্যাশনাল ইনকরপোরেশনের' নামও পাওয়া গেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি দুটির কোনো প্রকাশ্য ওয়েবসাইট নেই। ২০০৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে এটি আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের কাছে এরা ১৪ বার অস্ত্র বিক্রি করেছে!
টেলিগ্রাফের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামিক স্টেটের কাছে ২০টি দেশ থেকে বিস্ফোরক এবং নানা ধরনের সামরিক রসদ যায়। এসব রসদ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি রয়েছে ইসরাইল,যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে।যদিও ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিষয়টি সম্পূর্ন অস্বীকার করেছে।
সিএআর এর মতে, ২০টি দেশের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানই ৭ টি। আর আইএস-কে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রসদ সরবরাহ করার সঙ্গে জড়িত তুরস্কের প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৩ টি। সরবরাহ করা রসদগুলো লেবানন বা তুরস্ক হয়ে আইএস-এর কাছে যায়।যার মধ্যে অন্তত ৭০০ এমন ধরনের উপাদান রয়েছে যেসব ‘ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ বা আইইডি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশ করেছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এরপরই দেশটিতে এ নিয়ে শুরু হয়েছিলো তোলপাড়। পত্রিকাটি ওইসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে চারটি প্রতিষ্ঠান তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছিল।তারা বলেছিল,তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো বিস্ফোরক বা বিস্ফোরক তৈরির উপযোগী দ্রব্য আইএসকে সরবরাহ করার তথ্যটি সম্পূর্ণ অসত্য। অবশ্য দুটি প্রতিষ্ঠান স্বীকার করেছে, তারা কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ‘ফিউজ’ বা ডেটোনেটিং কর্ড-এর মতো কিছু জিনিস সরবরাহ করে থাকে যারা হযতো আইএসকে দিয়ে থাকতে পারে!! তবে তাদের দাবি, সরবরাহকৃত রসদ শেষ পর্যন্ত কোথায় যায়, কে বা কারা সেগুলো ব্যবহার করে তা তাদের জানা নেই!
ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী ‘হাসিদ শাবি’ দেখতে পেয়েছে যে, আইএস ইসরাইলের তৈরী অস্ত্র ব্যবহার করছে। ইরাকের আনবার প্রদেশে অস্ত্র মজুদের সময় হাসিদ শাবির সদস্যরা তা প্রত্যক্ষ করেন। ঘটনাটি আল-মায়েদিন টেলিভিশন ও ফারস নিউজ এজেন্সি প্রচার করেছে ২৩ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে।তার আগের মাসে এ খবরও প্রচারিত হয়, ইরাকের সন্ত্রাস দমন বাহিনী চার বিদেশিকে গ্রেফতার করে যারা যুক্তরাষ্ট ও ইসরাইল থেকে সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে ইরাকে গিয়েছিল। যারা আইএসএর সঙ্গেও যুক্ত ছিল।ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইরাকের প্রবীণ আইন কর্মকর্তা ওয়াহাব আল তাঈয়ি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন, ইসরাইলী মিলিটারি আইএসকে ট্রেনিং দিচ্ছিল সিনাই উপদ্বীপে মিশরে সন্ত্রাসী আক্রমণের জন্য।
সোরায়া সেপাহপুওর নামক মার্কিন-ইরান সংক্রান্ত সাংবাদিক বলেন যুক্তরাষ্ট্র,ইসরাইল ও তার বন্ধুরা সিরিয়া-ইরাক সহ বিশ্বে আইএসকে কেন অস্ত্রসজ্জিত করেছে একদম পরিষ্কার।যুক্তরাষ্ট্র,ইসরাইল ও তার বন্ধুদের স্বার্থের আঘাত হানে এমন স্থানে যেকোনো সময় যেন অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে তারা যাতে প্রবেশ করতে পারে সেজন্য ইস্যু প্রস্তুত রাখা।আর আইএস এই ধারাবাহিকতার ইস্যু প্রস্তুত কারক সহযোগী! ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে খোদ ইসরাইলের সংবাদমাধ্যম ডব্লিউএনডি এর খবর অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইএসে যোগদানকারীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে! জর্ডানের কয়েকজন কর্মকর্তার বরাতে ডব্লিউএনডির সংবাদে বলা হয়, সিরিয়ার বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য কয়েক ডজন ভবিষ্যৎ আইএস সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছে মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছে। আর এসব প্রশিক্ষিত আইএস সদস্যরা ইরাকে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযানে যাবে না বলে নিশ্চিত করে!
জার্মান সাপ্তাহিক ডের স্পিজেল ইন্টারন্যাশাল সংবাদ প্রকাশ করেছিল যে, আমেরিকানরা সিরিয়ান আইএসদের জর্ডানে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। যাদের বেশিরভাগ রাশিয়ান ট্যাংক বিধ্বংস করার জন্য প্রস্তুত।পত্রিকাটি সংবাদ প্রকাশ করে, তিন মাসে ২০০ সিরিয়ান আইএস সদস্য প্রশিক্ষণ নিয়েছে। যেখানে মার্কিন বাহিনী ১,২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল! ব্রিটিশ গার্ডিয়ানও এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, মার্কিন প্রশিক্ষকরা সিরিয়ার আইএসদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যেখানে সহায়তা করছে ব্রিটিশ ও ফ্রান্সের প্রশিক্ষকরা। এরা পরবর্তীতে আইএসের হয়ে রাশিয়ার বিপক্ষে লড়েছে।জার্মান সাপ্তাহিকের প্রতিবেদন সম্পর্কে রয়টার্স জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যায় মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর। একইসঙ্গে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও মন্তব্য করতে অস্বীকার করে!
২০১৪ সালের ১৬ আগস্ট খোদ টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সিরিয়ার অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কমান্ডার ইসলামপন্থি আল-নূসরা ফ্রন্টের হাতে ধরা পড়েন। ওই সময় শরীফ আসসাফাওরি স্বীকার করেন, তিনি ইসরাইলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইউটিউবে রয়েছে। শরীফ বলেন, তিনি পাঁচবার ইসরাইলে গেছেন। সেখান থেকে রাশিয়ান ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র নিয়ে এসেছেন। এখানে উল্লেখ্য, সিরিয়ায় রাশিয়ার বিপক্ষে লড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার বন্ধুরা। যারা চাইছে না বাসার আল-আসাদ ক্ষমতায় থাকুক। আর সিরিয়ায় তাদের উদ্দেশ্য ও আইএসের উদ্দেশ্য একই!
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএস এস যখন মারাত্মক রসদ ও অস্ত্র সংকটে তখন ইরাকে মার্কিনসেনা পাইলটরা তদের সেনা সদস্যদের জন্য ত্রাণ, অস্ত্র ও গোলা-বারুদ নিয়ে যান। কিন্তু ভুল করে আইএস সদস্যদের দখল করা অঞ্চলে ফেলে আসেন তারা। বিষয়টি ওই অঞ্চলের অনেক সামরিক বিশেষজ্ঞ সর্বকালের সেরা কৌতুক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
গুলশান ট্রাজেডির ঘটনার অবসানের পর হামলাকারীদের কাছ থেকে একাধিক পিস্তল,ফোল্ডেট বাট একে-২২ রাইফেল,অবিস্ফোরিত আইইডি ধারাল অস্ত্রউদ্ধার করা হয়।এর মাঝে ছিল "একে ২২ এই রাইফেল" ।যা পাওয়া যায় একমাত্র আমেরিকা এবং ফিলিপাইনে।
গুলশানে আইএস সদষ্যদের বহনকৃত অস্ত্র গুলোর মাঝেও ছিল ইসরায়েলি উজি বা টিপিক্যাল আইএস এর অস্ত্র। আর এই অঞ্চলে অর্থাৎ উপমহাদেশে ইসরায়েলি উজির সবচেয়ে বড় গ্রাহক হল ভারত।ইসরায়েলি উজি কাশ্মিরে ভারতের সেনারা ব্যাবহার করে।
গুলশান ট্রাজেডীর ফলে বাংলাদেশে অথবা বিশ্বের যেকোন স্থানে আইএসের করা হামলার দিকে তাকিয়ে, কারা এর ফলে লাভবান হচ্ছে বিবেচনা করলে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র,ইসরাঈল বা তার ভারতের মত বন্ধুরা! বাংলাদেশে জঙ্গীরা হিসু করলেও নিশা দেশাই এর মাথা নেশায় বুদ হয়ে যায় অথচ নিজ দেশের সামান্য বর্ণবাদের ডালাস কান্ড যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃংখলা ব্যাবস্থাকে প্রশ্নবিধ্য করে।অনেকেই বলেন ভ্রান্ত বিপথগামী আইএস হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে হামলা চালাতে বাংলাদেশে আসতে পারে আর রাসূল(সা: ) স্বীকৃত ফেতনাবাজ ইহুদীরা যারা ফিলিস্তিনে মানবতা পায়ে ঠেলছে সেই নাসারাদের হাতের কাছে পেয়ে ওই ইসরাইলে থুতুও ফেলে না।আমাদের দেশের কর্তাদের উচিত যুক্তরাষ্ট্র,ইসরাঈল বা তাদের বন্ধু দাদাদের কাছ থেকে পারত: পক্ষে দুরে থাকা।অমাদের প্রয়োজন ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী ভ্রান্ত যুক্তরাষ্ট্র,ইসরাঈলের জন্ম দেয়া আইএস নামক বর্বর জিঘাংসু নরকীয় কীট সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিজে সচেতন হয়ে নিরাপদ থাকা এবং অন্যকে সচেতন করে নিরাপদ রাখা।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭