তিউনেশিয়ার তরুনী আদিবা রোমাঞ্চের নেশায় ও স্বদেশী আইএস ফেরত বন্ধুর প্ররোচনায় আইএসে যোগ দেয়ার জন্য সিরিয়ায় যায়।কিন্তু সে রোমাঞ্চের নেশার স্বাদ না পেলেও ভয়াবহ যৌন ও শারীরিক নির্মমতার স্বীকার হতে খুব একটা সময় লাগেনি।দিনে চব্বিশ ঘন্টায় ২০ থেকে ২৫ বার যোদ্ধাদের মুখোমুখি হওয়া ছিল নৈমিত্তক ঘটনা।সংখ্যাটা ৩০ এর কোটা পার হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না।তার মত অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন, আদিদা ভাগ্যগুনে আইএসের ভয়াবহ গর্ভপাত এড়িয়ে গর্ভে অযাচিত সন্তান নিয়ে স্বদেশে ফিরে আসেন।
স্বাভাবিক ভাবেই আইএসের মগজ ধোলাইয়ের সময়ই জান্নাতের স্বপ্নে বিভোর করে,মাদকের তালে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে রাখার চেষ্টা সহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।কিন্তু নারীদের দলভূক্তির পদ্ধতিটা সম্পূর্ন ভিন্ন। সাম্প্রতিক সময়ের বিশ্বের নৃসংশ তান্ডবগুলোতে আইএসের নারী সদস্যদের সংশ্লীষ্টতা সামনে আসায় আমার মত অনেকেই চেষ্টা করছেন নারীদের অর্ন্তভূক্তি কি করে সম্ভব তা জানার।
আইএস নারীদের যেভাবে দলে ভেড়ানোর সবচেয়ে বড় মাধ্যম অনলাইন প্রচারনা।অনলাইনে চটকদার সব কৌশল ব্যবহার করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আইএস পশ্চিমা তরুণীদের আকৃষ্ট করে।আইএস নারী সদস্য সংগ্রহে অন্তত ৪০ হাজার টুইট চালাচালি হয়।টুইটার, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের টার্গেটকৃত নারীদের কাছে পৌঁছায়। এরপর তাদের সঙ্গে তারা যে ভাষা বোঝেন সে ভাষায় কথা বলে। এছাড়া জনপ্রিয় হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেও আইএস তাদের বার্তা ছড়িয়ে দেয়।আর ইন্টারনেটে বুদ হয়ে থাকা তরুনীরা সহজেই জড়িয়ে পড়ে।জার্মানি থেকে ইরাকে গিয়ে এক নারী নিয়মিত ব্লগ লিখছেন। ২০১৩ সালে জার্মানি ছাড়েন তিনি। ইরাকে থেকেই তিনি এখন ব্লগ লিখছেন ‘মুহাজিরা` নামে। মুহাজিরা শব্দের অর্থ অভিবাসী বা শরণার্থী। নিজের ব্লগে তিনি ইরাকে কেমন সময় কাটছে তা তো লিখে জানাচ্ছেন, সেই সঙ্গে অন্যদের প্রতি রাখছেন ইরাকে চলে যাওয়ার আহ্বানও।মুহাজিরাই তাদের বলে দেন- কখন, কোথায়, কী করতে হবে। মুজাহিরা নারীদের সবসময় খোলাখুলিই বলেন, ‘আমি আইএস-এর হয়ে নারী সংগ্রহের চেষ্টা করি, কেননা, এখানে অনেক অবিবাহিত মুজাহিদিন আছে ।
তিউনেশিয়ার তরুনী আদিদার মত রোমাঞ্চ লাভের নেশা বিশ্বের তরুনীদের কাছে এটা আংকাখিত বিষয়।উচ্চ মান সম্পন্ন নির্মাণ কৌশল ব্যবহার করে তাদের নিষ্ঠুর কার্যকলাপের ভিডিও ধারণ করে তা প্রচার করে যা অনেকটা টর্চার মুভির মত। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে অনলাইনে প্রচারকৃত একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ দেখলে বুঝা যায় হলিউডের অ্যাকশন সিনেমার ট্রেইলারের মতো। এতে স্লো-মোশনে বিস্ফোরণ এবং মার্কিন সেনাদের আগুনে পুড়িয়ে মারার দৃশ্য প্রচার করা হয়।
আইএস নারী সদস্য সংগ্রাহকরা সুকৌশলে পশ্চিমা মেয়েদের আকৃষ্ট করে। তারা মেয়েদের সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখায়। সুন্দর পারিবারিক জীবনের স্বপ্ন।পশ্চিমা বিশ্বে পরিবারের বন্ধন বেশি শক্ত নয় বলে অনেকের মনে এক ধরণের হতাশা কাজ করে। আইএস নারী সদস্য সংগ্রাহকরা তারই সুযোগ নেয়।জীবন-যাপনের ধরণ থেকে সৃষ্ট জীবন নিয়ে হতাশা থেকে মুক্তির যে আকাঙ্খা কাজ করে তা পুঁজি করেই আইএস তাদের মগজ ধোলাই করে।পশ্চিমা দেশ থেকে আইএস এ যোগ দিয়েছে এমন একশ জনের মতো নারী সিরিয়া বা ইরাকে গিয়েছেন এমন মেয়েদের তথ্য বিশ্লেশনে দেখা যায় শতকরা ৪০ ভাগের বয়সই ২৫ বছর বা তারও কম!
খেলাফত ও ইসলামি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখায়। আর এ উদ্দেশ্যে পরিচালিত এক রোমাঞ্চকর যুদ্ধযাত্রার মোহে আবিষ্ট করে বিভ্রান্ত তরুণীদের নিজেদের দলে টেনে নেয় আইএস। আর আনুগত্যের প্রতিদান স্বরুপ আইএস সদস্যদের জন্য রয়েছে আল্লাহর কাছ থেকে প্রাপ্ত পুরস্কার, যার মধ্যে বিনামূল্যের বিদ্যুৎ ও পানি এবং আবাসন ব্যবস্থা যা খেলাফত বা রাষ্ট্র থেকে সরবরাহ করা হবে।নারীদেরকে আশ্বস্ত করে,তোমরা সেখানে শ্যাম্পু, সাবান এবং নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সব ধরনের প্রসাধন সামগ্রী বিনামূল্যে পাবে। সূতরাং ঘাবড়ানোর কিছুই নেই। এমনটা ভেবোনা যে সেখানে তোমাদেরকে গুহা মানবীর মতো জীবন-যাপন করতে হবে। আর তরুনীরা যারা আইএস এর প্রচারে আসক্ত হয়ে যায় তারা ভুলভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করে যে, আইএস বুঝি লোককে মানবিক সহায়তা করতে যাচ্ছে।বাস্তবে আইএস তাদের অধীনে জীবন যাত্রার ধরণ নিয়ে যে চটকদার চিত্র হাজির করে তা পুরোটাই ভুয়া।
ইতিমধ্যেই আইএসে যোগ দিয়েছে দক্ষ,বাকপটু এমন জঙ্গি সদস্যদের নিজ দেশ বা প্রচারনার জন্য সুবিধাজনক দেশে ফেরত পাঠানো হয় নতুন সদস্য সংগ্রহে।তারা সরাসরি বা সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহার করে সদস্য সংগ্রহের কাজ করতে থাকে।ধারণা করা হয় ইরাক, সিরিয়া ও তুরস্ক থেকে আইএস এর সদস্যসংগ্রহকারীরা অনলাইনে কাজ করে।সম্প্রতি আইএস এর নারী সদস্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করার পরও তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। কারণ এদের বেশিরভাগেরই অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আওতার বাইরে।
বাংলাদেশ সহ দক্ষিন এশিয়ার আইএসের নারী সদস্য সংগ্রহের ইতিবৃত্ত যতটুকুই পাওয়া যায় তাতে আইএস ফেরত দক্ষ,বাকপটু এমন জঙ্গি সদস্যদের নতুন সদস্য সংগ্রহ মিশনেরই প্রমান মিলে।
আইএসের নারী সদস্য অর্ন্তভূক্তির একটা বড় সংখ্যা আসে তাদের দখলকৃত এলাকা সমূহ থেকে।পাশাপাশি তারা ছোট ছোট গোত্র প্রধানদের তাদের দলে ভিড়িয়ে সেই গোত্রকে তাদের দলভূক্ত করেও নারী সদস্য অর্ন্তভূক্ত করে।
সিরিয়া ও ইরাকে আইএস নিয়ন্ত্রণাধীন জায়গাগুলোতে আটক নারীদের যৌন দাসি হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়টি ন্যায্য করতেই বহু প্রাচীন রাসূল(সা কতৃক রহিত হয়ে যাওয়া বিষয় কে নতুন করে ভ্রান্ত ব্যাখ্যা করছে আইএস। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে ইহুদীদের বিকৃত তাওরাত নামক ধর্ম গ্রন্থে নারীদের যৌন দাসি হিসেবে ব্যবহার এর বিষয়িক বৈধতা রয়েছে!!! মিসরের হাজার বছর পুরনো আল-আজহার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আবদেল ফাত্তাহ আলাওয়ারির মতে, আইএসের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। শত শত বছরের পুরোনো কোরআনের আয়াতের তারা ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে। অথচ আসলে এসব আয়াতে মূলত দাসব্যবস্থা অবসানের কথা বলা হয়েছে।২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বের ১২০ জন ইসলামিক স্কলার আইএস নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি বরাবর খোলা চিঠি লেখেন। এতে জঙ্গি সংগঠনটির কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। পণ্ডিতরা বলেন, ‘দাসব্যবস্থার পুনর্বহাল ইসলামে নিষিদ্ধ।’
গত ২০ এপ্রিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আইএসের কবল থেকে পালিয়ে আসা ২০ নারীর সাক্ষাৎকার নেয়। তারা জানায়, দখলকৃত এলাকা থেকে পুরুষ ও বৃদ্ধ নারীদের কাছ থেকে তরুণী ও কিশোরীদের আলাদা করে আইএস। এরপর তাদের সৃশৃঙ্খলভাবে সিরিয়া ও ইরাকের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়। পরে বিক্রি করে বা উপহার হিসেবে অন্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর তাদের বার বার ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার শিকার হতে হয়।
ব্যাপকভাবে বিস্তৃত কিন্তু দক্ষ আইএসের নারী সংগ্রহের নেটওয়ার্ক। আইএসে যোগ দিতে যাওয়া তিন ব্রিটিশ তরুণীর ঘটনা থেকে দেখা যায়,তারা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে লন্ডনের কেন্দ্রস্থল থেকে তুরস্কে গিয়ে পৌঁছায়। এরপর সেখান থেকে আইএস এ যোগ দেয় তারা। এক্ষেত্রে তরুণীদের সঙ্গে ইরাক ও সিরিয়ার আইএস জঙ্গিদের যোগাযোগ ঘটিয়ে দেওয়ার জন্য মধ্যস্থতাকারী একজন নারী বা পুরুষ উপস্থিতি থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীরা দেশটির কলোরাডো অঙ্গরাজ্য থেকে ২০১৪ সালে তিন কিশোরীর আইএস-এ যোগদান ঘটনাটি নিয়ে এই গবেষণা করেন।
বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের মত অনেক দেশের নারী যারা শ্রমিক হিসেবে বিদেশে পাড়ি দেয় দালালের মাধ্যমে যৌনদাসি হিসেবে কিনে নিয়েও আইএস নারীদের সংখ্যা বাড়ায়!! আরব দেশগুলোতে গৃহকর্মী ও নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে যান এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীকে জর্ডান ও লেবাননের মতো দেশগুলোতে পাঠানোর কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় নেওয়া হয়,এসব নারী সিরিয়ায় পৌঁছানোর পাচার চক্রের দালালের হাত ধরে আইএসের হাতে পৌছায়।এমনই তথ্য বার্তা সংস্থা রয়টারর্সের।র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) এর এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, গত বছর দুবাইয়ে নেয়ার নাম করে যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়ায় পাচার হয়েছেন এমন ৪৫টি অভিযোগ র্যাব পেয়েছে!!!
আইএস ধর্মতত্ত্বের ভূল দোহাই দিয়ে ফতোয়া দেয়া হয়, ইসলামী জিহাদে নারীদের ‘জিহাদ আল নিকাহ’ বা যৌন জিহাদ শাস্ত্রসম্মত বৈধ।সে ফতোয়ায় ১৪ বছর বা তার বেশি বয়েসী নারীদের যৌন জিহাদে রীতিমতো উৎসাহ প্রদান করা হয়। সে সময়ে তিউনেশিয়া থেকে প্রচুর তরুণী এ তত্ত্বে আস্থা স্থাপন করে সিরিয়া গমন করেন।আইএস গত বছরের জুন মাসে ইরাকী শহর মসুল দখলের পর খেলাফত প্রতিষ্ঠা করে এবং আন্দোলন চলাকালে স্থানীয় নারীদের ওপর যৌন জিহাদ চাপিয়ে দেয়া হয়। জানা যায়, রাস্তার দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাঁটিয়ে স্থানীয় পরিবারগুলোর কাছে অবিবাহিতা মেয়েদের যৌন জিহাদে যোগ দিতে পাঠিয়ে ‘জিহাদী দায়িত্ব’ পালন করার নির্দেশ দেয়া হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট পরিবারটিকে শরীয়াহভিত্তিক কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে।
সে সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অসংখ্য নারী ভয়াবহ অমানবিক যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।তিউনিসিয়া ছাড়াও ফ্রান্স, জার্মানি, চেচনিয়া, মিশর ও ইরাক থেকে অনেক মুসলিম-অমুসলিম নারী স্বেচ্ছায় যৌন জিহাদে গিয়েছিলেন অথবা তাদের পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন, অনেকে গর্ভে অযাচিত সন্তান নিয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন, কেউ কেউ থেকে গেছেন সিরিয়াতেই, স্বদেশে আর ফেরেননি।তারা যে প্রক্রিয়ায় নারীদের কাছ থেকে যৌন জিহাদ আদায় করে, সে প্রক্রিয়ায় ধর্ষণ ব্যাপারটির গায়ে ‘মুতাহ বিয়ে’ বা শাস্ত্রসম্মত অস্থায়ী বিয়ের পোশাক পরানো হয়,কিন্তু তা ধর্ষণ, এবং ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের আওতাভূক্ত এবং প্রত্যেকেই কোরআনে ঘোষিত জেনাকারীর অর্ন্তভূক্ত হবেন এমনটাই বলেন ইসলামিক স্কলাররা।
আইএস জঙ্গীরা আটকৃত নারী দাসীদের বিক্রি পর্যন্ত করছে!!! সম্প্রতি আইএস একটি ফেসবুক পোস্ট দেয় যা অনলাইনে ভাইরাল হয়। সে ছবিটি এক মধ্য এশীয় তরুণীর। সুন্দরী না বললে মিথ্যা বলা হয়। মুখে স্বাভাবিক হাসি নেই।একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় জোর করে হাসতে হয়েছে বছর আঠেরোর তরুণীকে।কিন্তু ক্যামেরার দিকে তাকায়নি একবারও। মুখটা নীচের দিকে।রোজ দিনে, রাতে, যখনই সময় পেয়েছে যৌন দাসী রূপে ধর্ষণ করেছে। এখন টাকার দরকার খুব। তাই বিক্রি করে দিচ্ছে।যদিও যৌনদাসী বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে ফেসবুকে, এমনটা বুঝতে পেরেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরিয়ে দিয়েছে বিজ্ঞাপনগুলি। কিন্তু তাতে ইরাক আর সিরিয়ায় শত শত আইএস তাঁবুতে বন্দি থাকা ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের তরুণীদের দুর্দশা খুব একটা কমছে না। খোলা বাজারে দর হাঁকার ঢঙে ইয়াজিদি যৌনদাসীদের বিক্রি করছে তারা।
উপসাগরীয় অঞ্চলের আইএস যোদ্ধারা একত্রে ৩-৪ টি যৌনদাসী রাখতে পারে।স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে যৌনদাসী তাদের বয়স সর্বনিম্ম কত হতে পারে!! ভ্রান্ত বর্বর আইএসদের মতে রজ:প্রাপ্ত হওয়া নয় বরং শরীর উপযুক্ত হলেই যৌনদাসী হতে পারবে।ফাদিদা (ছদ্মনাম) আট বছরের মেয়েকে চল্লিশোর্ধ এক আইএস যোদ্ধা কিনে নিয়ে গিয়েছিল,ঠিক মেয়ের মত হাত ধরে বাসায় এনে খাইয়ে দাইয়ে ঘুম পাড়ায়।রাতে পাষন্ডটা কি জানি কি করেছিল! ফাদিদার খুব কষ্ট হচ্ছিল।সকালবেলা ফাদিদার উরু বেয়ে রক্ত পড়ছিল,সারা শরীর খুব কষ্ট হচ্ছিল।এভাবে বেশ কিছুদিন কাটে।একদিন বর্বর আইএস যোদ্ধার অনুপস্থিতিতে ফাদিদা আনমনে হাটতে হাটতে এক পরিবারের কাছে এসে পৌছে।পরবর্তীতে পরিবারটি বর্বর আইএস যোদ্ধাকে চড়া মূল্য দিয়ে ফাদিদাকে নিয়ে নেয়।টানা দুই মাস সে কোন কথা বলতে পারেনি! ঘটনাটি রাক্কা শহরের কোন এক জায়গার।ওয়াশিংটন পোষ্টে রাক্কা শহরের এক সেচ্ছাসেবীর বরাত দিয়ে এই মর্মস্পর্শী ঘটনা প্রকাশ করে।
আদিবাদের মত রোমাঞ্চের নেশায় বা আইএসের প্ররোচনায় না পড়ে বাস্তবতায় ফিরে বাস্তব সত্যটা সকলের জন্য অপরিহার্য।তরুনীদের উচিত আকাশ সংস্কৃতির গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে আইএস নামক নব্য জাহেলিয়াতের আপাদ-মস্তক জেনে তাদের প্রেতাত্মাদের থেকে নিজে বাচা এবং অন্যদের সচেতন করা।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৯