somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

টিস্যু
টিস্যু.. টিস্যু পেপার... প্রয়োজনের সময় সবাই তাকে বুক পকেটে আগলে রাখে..প্রয়োজন শেষে ছুড়ে ফেলে দেয়।তো তাতে কি রিসাইক্লিং এর যুগ তো !!! টিস্যুরা বারবার অন্যের প্রয়োজন মিটানোর তাগিদে ফিরে আসে।.....ব্যাতিক্রমতার নেশায় সত্যের পিছু ছোটাটা আমার একটা বাত

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি তাহলে জঙ্গীদের আতুরঘর!!

১০ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



চারদিকে বারুদের গন্ধ,থেমে থেমে চলছে একপক্ষীয় গুলির আওয়াজ। ঘন্টাখানেক পর পুলিশ বের করে আনলো দুই কিশোরের লাশ ও গ্রেফতার করা হলো জীবিত ৭ জনকে।তারা দূধর্ষ জঙ্গী! উদ্ধার করা হলো লাল টেপে প্যাচানো বোমা সদৃশ্য কৌটা,বেশ কিছু লোহার পাইপ,লম্বা ছুরি!!! এক সাংবাদিক বলে উঠলো শা** একি জিনিস আবার আনছে!! ঘটনাটি বাংলাদেশের কোন এক মাদ্রাসার জঙ্গী অভিযানের চিত্র। রাজনীতিতে জঙ্গী নাটকের ব্যাবহার অনেক পুরনো। বিশ্বের জঙ্গীদের চোখে বাংলাদেশ কে আকৃষ্ট করার পেছনে রাজনীতিতে জঙ্গী নাটকের জুজুর ব্যাবহার অনেকাংশেই দায়ী।

জঙ্গী বলতে বাংলাদেশের জনগনের মানসপটে জুব্বাদারী শ্মুশ্রমন্ডিত এক মাদ্রাসায় পড়ুয়া মিডিয়ার কল্যানে ভেসে সহজেই ভেসে উঠে।অনেকটা লাদেনের আলকায়েদার মত!!! সময়ের আবর্তনে জঙ্গীবাদের জুজুই বাস্তবে ভয়াবহ রূপে আর্বিভূত হয়েছে বলে আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে।যদিও আমাদের দেশের দায়িত্বশীলরা এখনো রাজনৈতিক রং ঢালায় ব্যাস্ত!!!!

এ ধরনের লেখা বিপদজনক সবসময়ই ।নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিকে ও এর সংশ্লিষ্ট কাউকে আঘাত করা বা মাদ্রাসা-বিশ্ববিদ্যালয়কে জঙ্গীবাদের নীরিখের বির্তকের হালে পানি ঢালা,কাউকে হেয় করা আমার উদে্দশ্য নয়। সর্বশেষ শোলাকিয়ায় নিহত হামলাকারী নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বর্তমান ছাত্র হওয়ায় !! নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ভূমিকা অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ।



নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির নাম অফিসিয়াললি আর্ন্তজাতিকভাবে জড়ায় ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি তরুণ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিসকে দিয়ে।মুক্তমনা ব্লগার রাজীব হায়দারের হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রখ্যাত এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন ছাত্র ফয়সাল বিন নাইম, মাকসুদুল হাসান অনিক, এহসানুর রেজা রোমান, নাঈম সিকদার ও নাফিস ইমতিয়াজকে আটকের ঘটনা অনেক পুরনো।



দেশের প্রথম ও স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ তার গৌরবময় পথচলার ইতিমধ্যেই দুই যুগ পূর্ণ করেছে। এই সময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি উচ্চ শিক্ষায় অনন্য শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২৫ বছরে যেমন পরিচিতি লাভ করেছে তেমনি জঙ্গীবাদের সাথে জড়িয়ে এই কয়েক বছরে ততটাই ম্লান হয়েছে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি তৈরি হচ্ছে খোদ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকের বক্তব্যের পর কর্তা ব্যাক্তিরা নড়েচড়ে বসেছেন।বর্তমানে রীতিমতো কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে পড়ার দশা। এতদিন ইমেজ নষ্ট হওয়ার ভয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন হিজবুত তাহরীরের কর্মকান্ড দারুণ ভাবে গোপন রেখেছিল কর্তৃপক্ষ! সর্বশেষ শোলাকিয়ায় নিহত হামলাকারী নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বর্তমান ছাত্র হওয়ায় নর্থ সাউথ কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়ে বিবৃতি দানে বাধ্য হলেন।যদিও নারকীয় গুলশান ট্রাজেডীর পর তারা এক প্রকার দায় এড়িয়েই গিয়েছিলেন।



জঙ্গি তৈরি হচ্ছে এমন অভিযোগের শিকড় খুজতে নর্থ সাউথের জন্মলগ্নে তাকালে দেখা যায় বাইরে থেকে আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বজায় রেখে চললেও দিনের পর দিন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ট্রাস্টি বোর্ডের দুই সদস্যের ব্যাপারে গো্য়েন্দাদের অভিযোগ ছিল বরাবরই।কিছুদিন আগেই গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, একাট অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিযবুত তাহরীর লালনকারী হিসেবে পরিচিত একজন শিক্ষককে ২০ লাখ টাকা বেতনে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের চেষ্টা চালায় (বাংলাদেশ প্রতিদিনে ২০১০ সালে প্রকাশিত ‘নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজবুত তাহরীর’ শিরোনামের প্রতিবেদন দ্রষ্টব্য)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা ভিসি ছিলেন বিএনপি মতাদর্শী অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল আহাদ। উদ্যোক্তা হিসেবে আরও ছিলেন শায়েস্তা আহমদ, ব্যবসায়ী নুরুল এইচ খান, মাহবুব হোসেন ও জামায়াতের নীতিনির্ধারক সাবেক সচিব শাহ আবদুল হান্নান।শায়েস্তা আহমদ, নুরুল এইচ খান, মাহবুব হোসেন ও শাহ আবদুল হান্নানের সুপারিশে এবং প্রভাবে প্রথম থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের একটি বড় অংশ বিএনপি-জামায়াত মতাদর্শের নিয়োগ লাভ করে। প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক হাফিজ জিএ সিদ্দিকী রাজনৈতিকভাবে জামায়াত মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন বলে পত্রিকায় এসেছে (পরে গত বছর অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার)।এক সময়ে খবর এসেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী কর্মকর্তারা জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের ভাগ্নে ও সাবেক ইসলামী ছাত্রসংঘের কেন্দ্রীয় নেতাকে উপচার্য বানাতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু নাফিসের ঘটনার পর সাধারণ শিক্ষকদের চাপে সেটা তাদের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।



ঘটনার কালক্রমে রাজনৈতিকভাবে জামায়াত কোনঠাসা হওয়ায় এবং সরকারী চাপে বিএনপি-জামায়াত মতাদর্শের বাহকরা কিছুটা নির্বিকার হয়ে যায় যা অনেকটা নিষ্ক্রিয়তার মতই।বর্তমানে ২০ হাজার শিক্ষার্থীর অধিকাংশই উচ্চবিত্ত,আধুনিক মর্ডান জীবন যাপনে অভ্যস্ত।হিজবুত তাহরীর,আনসার আল ইসলাম,জেএমবি এমনকি আইএস ও এ ধরনের অবাধ বিচরনের নিশ্ছিদ্র সুযোগ লুফে নেয়।যার ফলশ্রুতি বর্তমান।



আন্তর্জাতিক মানের জঙ্গী সংগঠন হিসেবে হিযবুত তাহরীর বিশ্বে স্বীকৃত।হিযবুত তাহরীর নামে জঙ্গীবাদের বিস্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গোয়েন্দা নজরদারিতেছিলেন একাধিক শিক্ষককে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে হিযবুত তাহরীরের বীজ ঢুকিয়ে দেয়ার একাধিক শিক্ষককেরই।নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছিলেন নির্বিকার।উপাচার্য মো. আবদুস সাত্তারও স্বীকার করেছিলেন শিক্ষক ও কর্মকর্তা কতিপয় শিক্ষার্থীকে জঙ্গিবাদে জড়াতে ‘মগজধোলাই’ করতেন।সরেজমিনে গিয়ে নর্থসাউথের লাইব্রেরিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীরের জঙ্গিবাদী বইপত্র পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্তকারী দল।গুলশান ট্রাজেডীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সন্দেহের তালিকায় থাকা প্রকৌশলী আবুল হাসানাত রেজা করিমও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিজনেস ফ্যাকাল্টির সদ্য সাবেক শিক্ষক! যে কিনা হিযবুত তাহরীরের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ১১ তম বারের অভিযোগে গুলশান ট্রাজেডীর দুইমাস আগে বহিষ্কৃত হন! বাংলাদেশে হিযবুত তাহরীরের বড় অপারেশন এর অধিকাংশই নর্থ সাউথের এমনকি হিযবুত তহিরীর হিসেবে গ্রেফতার হওয়া আশি ভাগই নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী।

পরবর্তীতে হিযবুত তাহরীরের মাধ্যমেই গড়ে উঠে আনসারউল্লাহ বাংলা টিম নামের তাদের আরেকটি ইউনিট।গোয়েন্দা সংস্থার সর্বশেষ তথ্য মতে হিযবুত তাহরীরের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম মাওলা, মজার ব্যাপার তিনি নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির অতিথী শিক্ষক ছিলেন। নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক শেখ তৌফিক হিযবুত তাহরীরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতেন।



জামায়াত-শিবিরের কোনঠাসা অবস্থাতেও নর্থসাউথে শিবিরের কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত সাথী শাখা বিদ্যমান আছে, যা কিনা বাংলাদেশে ৮৯ টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে একমাত্র শিবিরের কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত সাথী শাখা (ইত্তেফাকের তথ্যমতে)।

এমনকি আনসার ইসলামের নামে টুইটকারী সন্দেহে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র ও আইটি শাখার কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী!!

দীর্ঘদিন ধরেই এখানকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর একাংশের মধ্যে ঘাপটি মেরে রয়েছে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্তরা। এ অভিযোগে এর আগে কয়েকজনকে ইউনিভার্সিটি থেকে বহিষ্কারও করা হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে জঙ্গিবাদমুক্ত করতে এর আগে উচ্চ আদালত বেশ কিছু নির্দেশনাও দিয়েছিলেন। এর পরও নানা সহিংস ঘটনায় এনএসইউর শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের ভূমিকা প্রশ্ন উঠেছে খোদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে।

সম্প্রতি বড় দুটি হামলাসহ নিকট অতীতে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। সর্বশেষ ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে পুলিশ ও হামলাকারীদের গোলাগুলির মধ্যে নিহত সন্দেহভাজন যুবক আবীর রহমান এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই বিবিএর শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি চার মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নারকীয় গুলশান ট্রাজেডীতে হলি আর্টিসান বেকারিতে নিহত জঙ্গি নিরবাস ইসলামও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টির শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১১ সালের সামার সেমিস্টারে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও ২০১২ সালের স্প্রিং সেমিস্টার পর্যন্ত শেষ করেন। এর পর থেকে বিনা নোটিশেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। এ ছাড়া একই দিন জিম্মি থেকে ছাড়া পাওয়া প্রকৌশলী আবুল হাসানাত রেজা করিমও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিজনেস ফ্যাকাল্টির সাবেক শিক্ষক। তিনিও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন।

২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি তরুণ কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিস ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী। গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ব্লগার রাজীব হায়দারকে হত্যার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই পাঁচ শিক্ষার্থী। নাফিসসহ এই ছয়জন ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইইই) ছাত্র। ফলে এ দুই বিভাগের দিকে ছিল সবার সন্দেহের তীর এবং আইএস উথানের পর নিরবাস ও আবিরের ঘটনায় বিবিএ বিভাগ পুরোদমে সন্দহের তুঙ্গে। অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের দায়ে এখন পর্যন্ত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন পাঁচ শিক্ষকসহ ৩৪ শিক্ষার্থী।



ভারতীয় মিডিয়া বরাবরই বাংলাদেশের এসকল বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত সরব ছিল। আই্এস কান্ডের পর "প্রতিদিন" নামক একটি ভারতীয় মিডিয়া অসমর্থিত সূত্র উল্লেখ পূর্বক নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বর্তমান ছাত্র প্রশিক্ষিত ৭০ পুরুষ ও ৩০ সুন্দরী স্মার্ট জঙ্গীর তথ্য প্রকাশ করে, যদিও দুই দিন পর "প্রতিদিন" তাদের অনলাইন সংস্করণ থেকে এ তথ্য মুছে দেয়।ঈদের পর দিন টাঙ্গাইলে তিন সুন্দরী মহিলা জঙ্গী ধরা পড়লে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ৩০ সুন্দরী স্মার্ট জঙ্গীর বিষয়টি আবার সামনে আসে।গুলশান ট্রাজেডীর পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আহবানে যে সকল অভিবাবক তাদের নিখোজ সন্তানদের ব্যাপারে জিডি করেছেন তার মাঝে ১৬ জনই নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির!! নারকীয় গুলশান ট্রাজেডীর কারণে অফটপিক হয়ে যাওয়া নর্থ সাউথের হিজবুত তাহরীরের ইফতার মাহফিলের মাহফিল ও অনেক কিছুরই ইঙ্গিত দেয়।

জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা থাকলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা : শিক্ষামন্ত্রী (০৭.০৩.২০১৩) এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি তৈরি হচ্ছে:আইজিপি শহীদুল হক(০৪.১৮.২০১৬)ও নর্থ সাউথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম (০৮.১০.২০১৬)।দেশের দায়িত্বশীল কর্তাদের তাজা ঘটনার প্রেক্ষিতে এমন বক্তব্য অতীতে ফাইলেই সীমাবদ্ধ ছিল।আবার কর্তাদের নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের শাকের মোকাবেলায় মাছের উপস্থাপনে সন্তুষ্ট হয়ে সমাবর্তন পরবর্তী ভূরিভোজ শেষে তৃপ্ত ঢেকুর তুলে সাংবাদিকদের শাসানো বক্তব্যগুলো নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গী উত্পাদনে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেছে কিনা তাও দেখার বিষয়।[নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের চলাচল পর্যবেক্ষণ এবং ক্লাসে ঢোকার সময় তল্লাশির ব্যবস্থা নিয়েছে:শিক্ষামন্ত্রী]।

প্রতিষ্ঠান কখনো কারো কর্মকান্ডে দায়ী নয় অবশ্যই!! কিন্তু জঙ্গীদের জন্য উর্বর মাঠ তৈরির সুযোগ দিয়ে বিশাল সংখ্যার জঙ্গী মদদ পুষ্ট মতাদর্শের পর্ষদ ও ফ্যাকাল্টি নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচলিনা করা! সুশীলদের সর্তকতা ও ইউজিসির নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বানিজ্যিক চিন্তা মাথায় এনে হঠা্ত হারিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর ব্যাপারে খোজ না নিয়ে খালি আসন পুন:ভর্তির ধান্ধা!!! এরকম হাজারটা !!! সে প্রতিষ্ঠান কখনো দায় এড়াতে পারে না।

যদিও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বলতে বাধ্য হয়েছেন 'সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে তারাও খুব বিব্রত।' তিনি বলেন, 'পুরো সপ্তাহের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা থাকে। বাকি সময়টা সে পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কাটায়। তাই সব দায়-দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরে চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না।' তিনি আরও বলেন, 'তাদের কাজ শিক্ষা প্রদান করা। বাউন্ডারির বাইরে গোয়েন্দাবৃত্তি তাদের দায়িত্ব নয়।' ....... দেশের ভাবমূর্তি ক্ষূন্ন করার হাতিয়ার আঘাতে দেশ মাতৃকা ক্ষত-বিক্ষত হবার পর তাদের এ বক্তব্য অর্বাচীনের প্রলাপ!!!

বরাবরের মত এবার ও ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে তৎপর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।শিক্ষার্থী ও বহিরাগতের উগ্র মৌলবাদী জঙ্গী তৎপরতার অপবাদ ঘুচিয়ে উজ্জল ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপের আবারও ফুলঝুড়ি ছোটাচ্ছে কতৃপক্ষ।তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ থেকে শুরু করে বের হওয়া পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে কঠোর নজরদারি।কঠোর শৃঙ্খলার সজরদারীর মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পুরো কার্যক্রম।প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মেনে চলতে হবে সকল নিয়ম। উগ্রবাদীদের অপতৎরতা বন্ধে অধ্যাপকদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে জঙ্গীবাদবিরোধী ‘সার্ভিলেন্স কমিটি।’ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের মাধ্যমে নিয়মিত মনিটরিং করছে এ কমিটি। অনুমতিপত্র ছাড়া কোন অভিভাবক প্রবেশ করতে পারছে না ক্যাম্পাসে। কোন শিক্ষার্থী এখন আর নর্থ সাউথ থেকে দেয়া ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র ছাড়া ক্যাম্পাসে আসতে পারবে না। প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো আছে মেটাল ডিটেকটর।

এসবের সবগুলোই পুরাতন নির্দেশনার পুনরাবৃত্তি। শুধু যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হবে তাদের জীবনবৃত্তান্ত সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে নিবে।এটাই নতুন।



সুশীলদের মতে বাংলাদেশের ইতিহাসে মাদ্রাসা গুলো যদি জঙ্গীবাদের জন্য দায়ী হয়ে থাকে তাহলে নর্থ সাউথ,ব্রাক,স্কলাসটিকা তারাও সমানভাবে দায়ী!!!



কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষই জঙ্গীবাদের বিকাশ হোক তা চাইতে পারেন না।আমরা একদিন একদিন অবশ্যই সক্ষম হব ইসলামের ভূল ব্যাখ্যাকারী সমস্ত ভ্রান্ত বিশ্বাস-নির্ভর ‘প্যারাসাইটিক’ ধ্যান ধারণাগুলোকে দূর করে জঙ্গীবাদ রূখতে। আর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কেও দেখতে হবে তাদের এই সুপরিচিত স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন দেশ জাতির ধ্বংসকারী ‘জঙ্গিবাদের উৎস’ হিসেবে জনমানসে মাদ্রাসা গুলোর মত পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়ে না যায়। এ জন্য দরকার বিশ্ববিদ্যালয়টির কাঠামো আমূল পরিবর্তনের। ছাত্ররা যাতে জঙ্গী সংগঠনের সাথে জড়িত হতে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা তরুণ মননকে যারাই জঙ্গিবাদের দিকে উস্কে দিচ্ছেন, তাদের সনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া জরুরী।এখনই দমন করতে পারলে জঙ্গীবাদের মারাত্মক ভাইরাস আক্রান্ত এ মননগুলো দেশকে বারবার ক্ষতবিক্ষত করার হাতিয়ার রূপে ব্যাবহৃত হবে।





কিছু তথ্যসূত্র:

1. Click This Link

2. http://www.priyo.com/2014/09/30/110119.html

3. Click This Link

4. http://purboposhchimbd.news/2016/04/18

5. http://bdn24x7.com

6. http://www.poriborton.com/national/8986

7. http://bangla.samakal.net/2016/07/10/223073

8. http://bangla.samakal.net/2016/07/10/223073


সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×