somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

টিস্যু
টিস্যু.. টিস্যু পেপার... প্রয়োজনের সময় সবাই তাকে বুক পকেটে আগলে রাখে..প্রয়োজন শেষে ছুড়ে ফেলে দেয়।তো তাতে কি রিসাইক্লিং এর যুগ তো !!! টিস্যুরা বারবার অন্যের প্রয়োজন মিটানোর তাগিদে ফিরে আসে।.....ব্যাতিক্রমতার নেশায় সত্যের পিছু ছোটাটা আমার একটা বাত

সংকটের দিনে জজ মিয়া না বানালেই কি নয়!........

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সফলতা প্রচারের জন্য বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের নিরপরধিকে বলির পাঠা বানানোর ইতিহাস অতি পুরনো।বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ভয়াবহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় জজ মিয়া নাটকের কথা কেউ ভুলেনি ।খোদ আওয়ামী সরকার ২০০৮ এ ক্ষমতায় এসেই নাটকের মুখোশ উম্মোচন করেছিল।কিন্তু পরবর্তী কালে বিরোধী মতকে দমনের জন্য জঙ্গী ট্যাগ ব্যাবহার করে যে নাটকগুলোর পুনরাবৃতি ঘটায় তা জজ মিয়া নাটক কে ও হার মানায়।

এ সব নাটকের দরুন মাথাচাড়া দিয়ে উঠে জঙ্গীবাদ,যার বলি হতে হয় মুক্তমনা ব্লগার, প্রকাশক,লেখক,নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে।যার সবচেয়ে নৃশংস ভয়াবহ রক্তিম সংস্করণ গুলশানের হোটেল হলি আর্টিজানের তান্ডব।এমনকি এ নারকীয় ঘটনার পরও সরকার নাটক মঞ্চায়ন ও বিরোধী মতের ঘাড়ে জোয়াল ঠেলে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে চাইছে.......যেখানে মালয়েশিয়া পর্যন্ত ২৮ জুন তাদের দেশে ঘটে যাওয়া গ্রেনেড হামলা আইএসের কাজ বলে স্বীকার করে নিয়েছে যদিও তাদের দেশে আমাদের মত স্থানীয় জঙ্গীদের উপদ্রব সহ নারাদেশে সিরিয়াললি জঙ্গী অপারেশন হয়না ।

গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে বন্দুকধারীদের হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবককে আটক করা পুলিশ। যার খোজে ট্রাজেডীর দিন থেকেই এক নারী নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা (মাকসুদা বেগম) গুলশানে এসে অবস্থান করছিলেন।তিনি একটি ছেলের ছবি দেখিয়ে তিনি দাবি করছিলেন, ওই যুবকের নাম শাওন।পএর সাংবাদিকরা ছবি দেখালে তিনি ও ওই রেস্তোরাঁর এক কর্মচারী আটক যুবককে জাকির হোসেন শাওন বলে শনাক্ত করেন।অনেক খোঁজাখুজির পর সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছেলে জাকির হোসেন শাওনকে (২২) খুঁজে পান তিনি।সাদা পোশাকে পুলিশ প্রহরা রয়েছেন সেখানে। তারা কোনোভাবেই কাউকে শাওনের কাছে যেতে দিচ্ছেনা। এমনকি শাওনের মাকেও যেতে দেয়া হয়নি সন্তানের কাছে।

দূর থেকে সন্তানকে দেখে কান্নায় ভেঙে পরেন মা মাসুদা বেগম। জানান, অনেক খুঁজেও ছেলের খোঁজ পাচ্ছিলেন না। তার ছেলেকে বেদম প্রহার করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।নিবার সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে জিম্মি সঙ্কটের অবসানের পর দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আইএসপিআর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উদ্ধার অভিযানে ছয় হামলাকারী নিহত হয়েছেন, একজন ধরা পড়েছেন।পুলিম নিম্চিত করে শাওনই সেই ধৃত জঙ্গী!!!!

যেখানে বিশ্ব মিডিয়া নিশ্চিত করছে গুলশানের হোটেল হলি আর্টিজানের তান্ডব ছিল সুইসাইডাল হামলা এবং জঙ্গীরা আর্টিজানের শেফদের এবং জিম্মিদের লাশগুলোকে উদ্দেশ্য করে যা বলেছিল তা থেকে পরিষ্কার হয় এটা সুইসাইডাল হামলা!! সেক্ষেত্রে শাওনকে জঙ্গী হিসেবে আখ্যা দেয়াটা নিছকই নতুন কোন জজ মিয়া নাটকের অপ্রকাশিত দৃশ্য বলে মনে হচ্ছে।আইএসপিআরের সংবাদ সম্মেলন এ মৃত জঙ্গীদের সংখ্যা নিয়ে ধোয়াশা ও আর্টিজানের পিত্জা শেফকে জঙ্গী বলে পুলিশের ছবি প্রকাশের কথা আর নাই বললাম।

জঙ্গীদের হামলা,কারণ,ধরন প্রকৃতি,পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যানে তা এখন ভাইরাল।কাঁদতে কাঁদতে শাওনের মা মাহমুদা বলেন, "ছেলে বাপরে ভাই ডাকতেছে। সে বাঁচবে তো! এইভাবে নির্যাতন করে পুলিশ বড় বড় পুরস্কার পাবে সন্ত্রাসী ধরার জন্য।".....আর নাটক মঞ্চায়ন করে জঙ্গীদের প্রলুদ্ধ করা বা সুযোগ না দেয়াটাই দেশ মাতৃকাকে রক্ষার স্বার্থে দেশের দায়িত্বশীল মহলের উচিত।

জঙ্গীবাদের করাল গ্রাসের শিকার যের আর কোন মুক্তমনা ব্লগার, প্রকাশক,লেখক,বিদেশী,নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে না হকত হয়..........









সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×