সফলতা প্রচারের জন্য বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের নিরপরধিকে বলির পাঠা বানানোর ইতিহাস অতি পুরনো।বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ভয়াবহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় জজ মিয়া নাটকের কথা কেউ ভুলেনি ।খোদ আওয়ামী সরকার ২০০৮ এ ক্ষমতায় এসেই নাটকের মুখোশ উম্মোচন করেছিল।কিন্তু পরবর্তী কালে বিরোধী মতকে দমনের জন্য জঙ্গী ট্যাগ ব্যাবহার করে যে নাটকগুলোর পুনরাবৃতি ঘটায় তা জজ মিয়া নাটক কে ও হার মানায়।
এ সব নাটকের দরুন মাথাচাড়া দিয়ে উঠে জঙ্গীবাদ,যার বলি হতে হয় মুক্তমনা ব্লগার, প্রকাশক,লেখক,নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে।যার সবচেয়ে নৃশংস ভয়াবহ রক্তিম সংস্করণ গুলশানের হোটেল হলি আর্টিজানের তান্ডব।এমনকি এ নারকীয় ঘটনার পরও সরকার নাটক মঞ্চায়ন ও বিরোধী মতের ঘাড়ে জোয়াল ঠেলে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে চাইছে.......যেখানে মালয়েশিয়া পর্যন্ত ২৮ জুন তাদের দেশে ঘটে যাওয়া গ্রেনেড হামলা আইএসের কাজ বলে স্বীকার করে নিয়েছে যদিও তাদের দেশে আমাদের মত স্থানীয় জঙ্গীদের উপদ্রব সহ নারাদেশে সিরিয়াললি জঙ্গী অপারেশন হয়না ।
গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে বন্দুকধারীদের হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবককে আটক করা পুলিশ। যার খোজে ট্রাজেডীর দিন থেকেই এক নারী নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা (মাকসুদা বেগম) গুলশানে এসে অবস্থান করছিলেন।তিনি একটি ছেলের ছবি দেখিয়ে তিনি দাবি করছিলেন, ওই যুবকের নাম শাওন।পএর সাংবাদিকরা ছবি দেখালে তিনি ও ওই রেস্তোরাঁর এক কর্মচারী আটক যুবককে জাকির হোসেন শাওন বলে শনাক্ত করেন।অনেক খোঁজাখুজির পর সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছেলে জাকির হোসেন শাওনকে (২২) খুঁজে পান তিনি।সাদা পোশাকে পুলিশ প্রহরা রয়েছেন সেখানে। তারা কোনোভাবেই কাউকে শাওনের কাছে যেতে দিচ্ছেনা। এমনকি শাওনের মাকেও যেতে দেয়া হয়নি সন্তানের কাছে।
দূর থেকে সন্তানকে দেখে কান্নায় ভেঙে পরেন মা মাসুদা বেগম। জানান, অনেক খুঁজেও ছেলের খোঁজ পাচ্ছিলেন না। তার ছেলেকে বেদম প্রহার করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।নিবার সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে জিম্মি সঙ্কটের অবসানের পর দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আইএসপিআর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উদ্ধার অভিযানে ছয় হামলাকারী নিহত হয়েছেন, একজন ধরা পড়েছেন।পুলিম নিম্চিত করে শাওনই সেই ধৃত জঙ্গী!!!!
যেখানে বিশ্ব মিডিয়া নিশ্চিত করছে গুলশানের হোটেল হলি আর্টিজানের তান্ডব ছিল সুইসাইডাল হামলা এবং জঙ্গীরা আর্টিজানের শেফদের এবং জিম্মিদের লাশগুলোকে উদ্দেশ্য করে যা বলেছিল তা থেকে পরিষ্কার হয় এটা সুইসাইডাল হামলা!! সেক্ষেত্রে শাওনকে জঙ্গী হিসেবে আখ্যা দেয়াটা নিছকই নতুন কোন জজ মিয়া নাটকের অপ্রকাশিত দৃশ্য বলে মনে হচ্ছে।আইএসপিআরের সংবাদ সম্মেলন এ মৃত জঙ্গীদের সংখ্যা নিয়ে ধোয়াশা ও আর্টিজানের পিত্জা শেফকে জঙ্গী বলে পুলিশের ছবি প্রকাশের কথা আর নাই বললাম।
জঙ্গীদের হামলা,কারণ,ধরন প্রকৃতি,পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যানে তা এখন ভাইরাল।কাঁদতে কাঁদতে শাওনের মা মাহমুদা বলেন, "ছেলে বাপরে ভাই ডাকতেছে। সে বাঁচবে তো! এইভাবে নির্যাতন করে পুলিশ বড় বড় পুরস্কার পাবে সন্ত্রাসী ধরার জন্য।".....আর নাটক মঞ্চায়ন করে জঙ্গীদের প্রলুদ্ধ করা বা সুযোগ না দেয়াটাই দেশ মাতৃকাকে রক্ষার স্বার্থে দেশের দায়িত্বশীল মহলের উচিত।
জঙ্গীবাদের করাল গ্রাসের শিকার যের আর কোন মুক্তমনা ব্লগার, প্রকাশক,লেখক,বিদেশী,নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে না হকত হয়..........
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৫