গুলশান ট্রাজেডীর দগদগে ক্ষতের মাঝেই বাঙ্গালীর মানসপটে আইএসের বাংলাভাষায় ওয়েবসাইট চালানোর খবর শেলের মত আঘাত হানলো।ইউটিউবে বাংলাভাষী আইএস সদস্যদের শপথের ভিডিও প্রকাশ,আইএসের প্রকাশিত দাবিক ম্যাগাজিনের এপ্রিল-২০১৬ সংখ্যার ৫৮ পৃষ্ঠায় বাংলাদেশ শাখার প্রধানের সাক্ষাত্কার সহ ফিচার ছাপা হওয়া এগুলো পুরনো খবর।
সম্প্রতি দৃষ্টি ঘোচর হয় রাজধানীর গুলশানে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার বিভিন্ন আপডেট বাংলাভাষায় জানানো এই আত-তামকীন নামে একটি ওয়েবসাইটির।যারা এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডকে ইসলামি জিহাদ হিসেবে প্রচার করছে । সাইটটির বিভিন্ন পোস্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে তারা নিজেদের ইসলামিক স্টেট-এর (আইএস) বাংলাভাষায় প্রচারপত্র হিসেবে দাবি করছে।
বর্তমানে সাইটটিতে প্রায় ব্যানার হেড হিসেবে যে সংবাদটি রয়েছে তা হলো- 'বাংলাদেশের ঢাকা শহরে বিভিন্ন দেশের ক্রুসেডারদের সমাবেশে হামলাকারী ইনগ্বিমাসি ভাইগণের ছবি'। পোস্টটির নিচে প্রকাশের তারিখ রয়েছে ২ জুলাই, ২০১৬। অর্থাৎ গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলার পরদিন, শনিবারে, এটি পোস্ট করা হয়। তবে এতে কোনো সময় উল্লেখ নেই। লেখক হিসেবে নাম রয়েছে আবুল মিক্বদাদ আল-বাঙ্গালী।
পোস্টটিতে ঢুকলে দেখা যায় এরইমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত হিসেবে নিহতদের যে ছবিগুলো এসেছে সেগুলো পর্যায়ক্রমে দেওয়া। ছবির নিচে তাদের নাম, প্রত্যেকটি নামের শুরুতে আবু এবং শেষে বাঙ্গালী যুক্ত। এ থেকে ধারণা করা যায়, এই পাঁচজনের পরিবারের দেওয়া নামের বাইরে নতুন করে বিশেষ এই নামকরণ করা হতে পারে। 'ইনগ্বিমাসি' ভাই হিসেবে উল্লেখ করা এই নামগুলো হলো-আবু উমায়ের আল-বাঙ্গালী, আবু সালামাহ আল-বাঙ্গালী, আবু রাহিক আল-বাঙ্গালী, আবু মুসলিম আল-বাঙ্গালী ও আবু মুহারিব আল-বাঙ্গালী। সবক'টি নামের শেষে বন্ধনিবদ্ধভাবে লেখা - 'আল্লাহ তাঁকে কবুল করুন'।
এছাড়াও আরেকটি পোস্টে এ হামলায় নিহত বিদেশিদের ছবি হিসেবে রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবি দেওয়া হয়েছে। এই ছবিগুলোও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে এরইমধ্যে ভাইরাল।
সাইটটিতে দেখা যায়, হলি আর্টিসানে জিম্মি সংকটের সময় থেকেই এ সংক্রান্ত সর্বশেষ অগ্রগতি জানিয়ে পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল। যেমন- দাওয়াতুল ইসলামের ইনগ্বিমাসি যোদ্ধারা বাংলাদেশের ঢাকা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়েছে, এই রেস্টুরেন্টে বিদেশিরা নিয়মিত যাতায়াত করতো, ইনগ্বিমাসিগণ জিম্মিদের আটকে রেখেছেন, পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধ চলছে ইত্যাদি।এই ব্রেকিং নিউজ দেওয়ার সময় তারা নিজেদের 'আমাক এজেন্সি বাংলা' হিসেবেও উল্লেখ করছে। 'আমাক' আইএস-এর স্বঘোষিত মুখপত্র হিসেবে পরিচিত।শুধু গুলশান হত্যাকাণ্ড নয়, সাইটটিতে রয়েছে ইরাকসহ বিভিন্ন দেশে আইএসের হামলার বিভিন্ন সর্বশেষ সংবাদ।
https://atmkn.pw ঠিকানার এই সাইটটির আইপি পরিচালিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা ও ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য থেকে।আইএসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী জিহাদি দুই প্রকার। একদলকে তারা বলছে ইসতিশাদি; এরা মূলত আত্মঘাতী হামলাকারী, হামলা সম্পন্ন করে নিজেদেরও বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেয়। দ্বিতীয় প্রকারটি হলো ইনগ্বিমাসি। এরা শহীদ হওয়ার ব্রত নিয়ে প্রাণ না যাওয়া পর্যন্ত অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ লড়তে থাকে।গুলশানের হলি আর্টিসানে এই দ্বিতীয় ধরনের হামলাই চালানো হয়। আত-তামকীন নামের সাইটটিও এই হামলাকারীদের ইনগ্বিমাসি হিসেবেই উল্লেখ করেছে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আসা যাক....শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ঘোষনা দিয়ে আসছে বাংলাদেশে আইএসের কোন অস্তিত্ব নেই..তারা গুলশান ট্রাজেডীর সব দোষ স্থানীয় জঙ্গীদের ঘাড়ে ফেলার চেষ্টায় রত। কেউ কেউ তো রাজনৈতিক মোড়ক ইতিমধ্যেই পড়িয়ে ফেলেছেন।কিন্তু সামগ্রিক বিবেচনায় তার অন্যটা প্রতিলক্ষিত হচ্ছে... বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আইটি উপদেষ্টা সব সময় অনলাইনে বিরোধি দল ও দেশে জঙ্গী তত্পরতা নিয়ে অতি সরব থাকলে ও গুলশান ট্রাজেডীর পর তার কার্যকর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি যায়নি।বাংলাদেশে জঙ্গীদের প্রান্তিক উথান ২০০১-০৬ বিএনপি শাসনামলে হলে ও তথাকথিত জেএমবির শীর্ষ কর্তাদের ধৃত ও সাজা কার্যকর করাটা অনেকটাই সফলতা বলা যায়। কিন্তু ২০০৮ পরবর্তী আওয়ামী আমলে একের পর পর এক লাগামহীন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ডানা মেলতে থাকে।বিদ্যমান জঙ্গি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ঢাকার ওপর অনেক পশ্চিমা দেশগুলো থেকেও চাপ আসার পর ও সরকার এই পরিস্থিতি থেকে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে সচেষ্ট ছিল। তারা উল্টো তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করতে ব্যাস্ত ছিল।
নিষিদ্ধ কোন জিনিসকে চালাচালির মাত্রাহীন সীমায় নিয়ে গেলে সেটা এক ধরনের প্রচারে পরিণত হয় এবং সেটা দ্রুত দৃষ্টি গোচর হয়। খাতা কলমে সরকারের বিরোধীদল দমনের নামে জঙ্গী দমনের লম্বা ফিরিস্তি থাকলেও বাস্তবতা সাম্প্রতিক ঘটনাবলী ও গুলশান ট্রাজেডী!!
প্রত্যেক অভিভাবকই চায় তার বখে যাওয়া ছেলেটাকে গোপনে শুধরে নিতে।কিন্তু বিশ্বে মাথা চাড়া দিয়ে বর্বর সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে গুরুতর সময়ে খোদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আইটি উপদেষ্টা নিজেই বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশের অভন্তরীন জঙ্গীবাদ নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় নিবন্ধ লিখেন গর্ব ভরে কেবল মাত্র বিশ্বের দরবারে দেশীয় বিরোধী দলীয় মতার্দশকে খাটো করে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচিত সরকারের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে।দেশের কর্তারা পান থেকে চুন খসলেই বিরোধী দলকে জঙ্গী বানিয়ে ছাড়েন।ক্রসফায়ারে জঙ্গী দমনের নামে সাধারন ও বিরোধী দলের কর্মীদের বলি বনানোর ঘটনা অহরহই ঘটছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে জঙ্গীরা সরকারের রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টার সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে নিজেদের সংগঠিত করেছে!!!বিশ্লেষকদের মতে আইএস সাম্প্রতিক সময়ে ইরাক সিরিয়া সহ সারা বিশ্বে তাদের অধিকৃত অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে নতুন ভূখন্ডের খোজে ছিল।আর বৈশ্বিক ভৈাগলিক অনেক কারনেই বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূখন্ড।
আইএস প্রসঙ্গে আলোকপাত করি.....আইএসের প্রতিষ্ঠাতার নাম আবু বকর বাগদাদী।প্রচলিত আইএস এর উত্থানকারী এই বাগদাদী মোসাদ এজেন্ট সিমন এলিয়টের যার নতুন নাম হয় আবু বকর বাগদাদী । এই জঙ্গি আমেরিকায় বন্দি ছিল বহুবছর। ২০১৪ সালে আইএসের আবির্ভাবের কিছুদিন আগে বাগদাদীকে বেকসুর খালাস দেয় আমেরিকা। লাদেনকে হত্যা করার সময় তার ঘর থেকে অনেক কিছু জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ছিল একটা থিসিস। সেই থিসিসে লাদেন তার অনুসারীদের উদ্দেশে লিখেছে, হিংস্র বাগদাদীর গ্রুপ থেকে সাবধান!
তথাকথিত আইএসের সংবাদ সংগ্রাহক ও পরিবেশক সাইট ইন্টেলিজেন্সের মালিক রিতার জন্মধনাঢ্য ইহুদি ব্যবসায়ী পরিবারে,এমনকি ইসরায়েলের পক্ষে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে ইরাকের সামরিক আদালতে রিতার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়া হয় । রিতা নিজে ইসরায়েল আর্মির সাবেক এক সদস্য এবং সাইট ইন্টেলিজেন্স আমেরিকা থেকেই চালিত।বিশ্বে পেন্টাগন হামলার পর বিশ্বের রাজনীতিতে লাদেন উথান ,ইরাক,আফগানিস্থান হামলার পর অনেক মার্কিনিই এ্খন বিশ্বাস করেন এ হামলার পেছনে ইহুদী তথা ইসরাইলের হাত রয়েছে!!...মার্কিনিরা সংখ্যায় খ্রিষ্টান বেশি হলেও ইহুদীদের সংখ্যা মার্কিন মূলুকে কম নয়! মার্কিন আমলা থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ন পদে ইহুদীদের অবস্থান।আইএসের নিজস্ব আমাক নিউজ ও বাংলাভাষায় আত-তামকীন নামীয় ওয়েবসাইটিসহ সকল সাইটের আইপি আমেরিকা থেকেই ব্যাবহার করা হয়।
সিরিয়ার একটি ভাইরাল ঘটনা আইএস জঙ্গিরা রাস্তায় একটা গাড়ি থামিয়েছে... গাড়ির ভিতরে এক খ্রিষ্টান দম্পতি ছিলেন জঙ্গি তাদের গাড়ি থেকে টেনে বের করে জিজ্ঞেস করলেন,“মুসলমান নাকি?ভদ্রলোক উত্তর দিলেন... ‘হ্যাঁ’
জঙ্গিরা জিজ্ঞেস করলেন, “কোরআনের একটা আয়াত বলো তো” ভদ্রলোক চোখ বন্ধ করে, বাইবেলের একটা বড় প্যারাগ্রাফ বলে গেলেন.... জঙ্গি খুশি হয়ে বললেন...“আলহামদুলিল্লাহ্... তোমরা যেতে পারো”............বাস্তবিক অর্থে ইসলামী শরীয়তের সঠিক আকিদাগত দিক দিয়ে আইএসের মতাদর্শের সাথে ইসলামের মতাদর্শের দূরতম কোন সম্পর্কই নেই।
হাজারটা উদহরন আছে...ছোট কয়েকটা আলোকপাত করি...
*নিরীহ নারী ও শিশু সহ মানুষ হত্যা ইসলামী শরীয়তের মতে জঘন্যতম হারাম কাজ, আর হারাম কাজ দিয়ে জিহাদ তথা আল্লাহর পথে সংগ্রাম হবে না।
* ইসলামী শরীয়তের মতে প্রমাণিত অপরাধীকে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের ঘাড় থেকে বিছিন্ন করার।কিন্তু আইএসের জঙ্গীরা মানুষ হত্যায় গলা কাটার পদ্ধতি ব্যাবহার করে যা কিনা মূছা (আ:.) সময়ের বনী ঈসরাঈলদের বিশেষ খন্ডকালীন সময়ের তওবা কবুলের জন্য কতলের পদ্ধতি ছিল যা পরে ভ্রান্ত ইহুদীরা ধর্মীয় রীতিতে অর্ন্তভূক্ত করে।[অর্থাত্ত ইহুদীদের পদ্ধতি]
*জিহাদী বিয়ে নামক কোন বিয়ের অস্তিত্ব বা অনুমোদন ইসলামী শরীয়তে নেই কিন্তু ভ্রান্ত ইহুদীদের ধর্মীয় গ্রন্থে এর উল্ল্যেখ রয়েছে।
*ধর্ম কবুল না করলে ইসলামে ইসলামী শরীয়তে হত্যা বা নির্যাতনের কোন বিধানন নেই।
*মদ পান করার আগে বিসমিল্লাহ বললে যেমন মদ হালাল হয় না তেমনি নিরীহ নারী ও শিশু সহ মানুষ হত্যার আগে আল্লাহু আকবার বললেই সে মুসলিম হয়ে যায় না..................
গুলশান ট্রাজেডির ঘটনার অবসানের পর হামলাকারীদের কাছ থেকে একাধিক পিস্তল,ফোল্ডেট বাট একে-২২ রাইফেল,অবিস্ফোরিত আইইডি ধারাল অস্ত্রউদ্ধার করা হয়।এর মাঝে একটা অস্ত্র দৃষ্টি কেড়েছে "একে ২২ এই রাইফেল" ।বর্তমানে এর ব্যাবহার নেই বললেই চলে। কারন একে ৪৭ এর উদ্ভব এবং এর এমুনিশনের দুস্প্রাপ্যতা। এই AK22 একটি ব্লোব্যাক রাইফেল যার ক্যালিবার .22, এটা ফায়ার করার পর ঝাঁকি দেয় পিছনের দিকে।বর্তমানে এর ব্যাবহার হয় শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশের সেনাবাহীনির ক্যাডেট দের মাঝে। তবে সবচেয়ে বেশী পাওয়া যায় এটা একমাত্র আমেরিকা এবং ফিলিপাইনে।
তাদের বহনকৃত অস্ত্র গুলো ছিল ছোট এবং ম্যাগাজিন লম্বা। সেই হিসেবে লম্বা ম্যাগাজিনের একমাত্র পারফেক্ট হল ইসরায়েলি উজি। অর্থাৎ টিপিক্যাল আইএসআইএস এর অস্ত্র। কারন এটা দেখতে ছোট এবং সহজে বহন যোগ্য। আর এই অঞ্চলে অর্থাৎ উপমহাদেশে ইসরায়েলি উজির সবচেয়ে বড় গ্রাহক হল ল।
আজ অবধি আইএস বিশ্বে যত জায়গায় হামলা করেছে হামলা করেছে তাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ইসরাঈল বা তার বন্ধু কোন রাষ্ট্রের স্বার্থ জড়িত ছিলো।ইতিহাস সাক্ষী দেয় ইহুদীদের কু-পরিকল্পনা গুলো পরিকল্পনা মাফিক,সূক্ষ ও সূদুরপ্রসারী ফলদায়ক ছিলো।
বর্তমানে ইসরাঈলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কুটনৈতিক,বানিজ্যিক,সামরিক বন্ধু রাষ্ট্র এখন ভারত,যা কিনা খোদ আমেরিকা-ঈসরাইল বন্ধুত্বের মাত্রাকে ও ছাড়িয়ে গেছে।বৈশ্বিক ভৈাগলিক অনেক কারনেই বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতির মত ভারতের কাছেও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূখন্ড।ভারতের অনেক স্বার্থের কাটা বাংলাদেশ....তৈরি পোষাক,ক্রিকেট বানিজ্য ও খ্যাতি,সমরাস্ত্র বানিজ্য, উন্নয়ন প্রকল্প হস্তগতকরন আর ও হাজারটা !!
বাংলাদেশের ইতিহাসে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র'য়ের কালো পদচারনা কারো অজানা নয়।র ও মোসাদের বন্ধুত্বের গল্পটাও পুরনো।বাংলাদেশে হিন্দু , বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ধর্মীয় গুরু ও সাধারন মানুষদের ন্যাক্কার জনক হত্যাকান্ড গুলো সিকিমে রাজনৈতিক স্থবিরতা তৈরির জন্য র কতৃক সংখ্যালঘু স্ব-ধর্মাবলম্বীদের নানা মোড়কে গুপ্ত হত্যার ইতিহাসকে মনে করিয়ে।
লক্ষ-লক্ষ প্রানের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা সংগ্রামের সহযোগী বন্ধু হিসেবে বন্ধুত্বের মর্যাদা দিতে যেয়ে তালপট্টি,মৃত পদ্মা,ফ্রি ট্রানজিট-বন্দর সহ অনেক কিছু দিয়েছি এবং অনবরত দিচ্ছি!...... বিনিময়ে ষড়যন্ত্রের ভেলায় আমাদের সাগরে ভাসিয়ে নিজেদের ফায়দা উঠানো বন্ধুত্বের উপহার হতে পারে না!!!
রাজনৈতিক কাদাছোড়াছুড়ি,ধর্মীয় ভেদাভেদ,আস্তিক নাস্তিক লড়াইয়ে না নেমে দেশ রক্ষায় আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।দেশের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিয়ে নতুন করে সরকারকে ভাবা দরকার।আমাদের দেশ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।একতা,দেশপ্রেমের ভেলায় চড়ে ষড়যন্ত্রের সাগর পারি দেয়া সম্ভবপর...........
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭