বঙ্গবন্ধুর হিমালয় সমান ভাবমুর্তিকে ধুলায় লুটিয়ে দেবার জন্য অন্তত ৫০ ভাগ দায়ি ফজলুল হক মনির ছেলে, ফজলে নুর তাপসের উপর কে বা কারা বোমা হামলা করেছে। ক্রিমিনাল বাপের সুযোগ্য ক্রিমিনাল পুত্রের উপর হামলার পেছনে অনেক রকম কারণ থাকতে পারে। যার মধ্যে একটাই, ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বাইরে থাকতে বলে বিশ্বাস করি। সেটা হলো, ভারতের কথামত বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার অন্যতম শক্তি সেনাবাহিনী ও বি ডি আরকে ধবংস করে দেয়ায় নিযুক্ত ক্রিমিনালদের পালিয়ে যেতে দেবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাপসের উপর দেশপ্রেমিক কেউ এই কান্ড ঘটিয়েছে। যেহেতু এই ষড়যন্ত্র জড়িত বাকি ক্রিমিনালগুলির (নানক-আযম-সাহারা খাতুন) কেশ্রাগ্রও কেউ স্পর্শ করতে পারেনি, তাই এই তত্ত্বটি চলে না।
পাঠকরা হয়তো অনেকেই জানেন যে, এই বিডি আর বিদ্রোহের ব্যাপারে কিছুদিন আগে সি আই ডি, তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তার ফলাফল এই সরকারের বিপক্ষ্যে যাবার কোন সম্ভাবনা না থাকা সত্ত্বেও, সেখান থেকে দৃস্টি ফেরাবার জন্যই তাপসের উপর বোমা হামলার নাটক করা হয়েছে।
আর সেই নাটকে আরো মশলা যোগ করতে মঞ্চে এসেছে, আঃ লিগের তিন কন্যা। একটা কাউয়া, একটা ভোদরমুখি আর একটা দজ্জালনি। তিনজনের মধ্যেই একটা বিশেষত্ব আছে। সেটা হলো, মিথ্যা আর চোয়ালের জোরে দিনকে রাত আর রাতকে দিন বানানো। এর পর ধরা খেলে কিছুদিন মুখ ঢেকে লুকিয়ে থাকা। এর পর আবার ওই একই মিথ্যার বেসাতি।
মিস হেকেল আর জেকেল বলেছেন, সারা দেশে "দেশদ্রোহি আর সন্ত্রাস কাজ পরিচালনার জন্য হিজবুত তাহিরিকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।"
বিডি আর বিদ্রোহে ভারতীয় এবং আঃ লিগের প্রত্যক্ষ প্রমানের লিফলেট ছড়িয়েই এই সংগঠনটি আলোচনায় চলে এসেছিল। এর আগে কেউ তেমন চিনতোও না জানতোও না। হ্যা এদের নীতিতে ইসলামভিত্তিক শাসন ব্যাবস্থা চালু করার একটা কথা আছে। কিন্ত সে কথা তো রাজাকার জামাতি থেকে শুরু করে চোর মেসবাহের ( বঙ্গবন্ধুর নামে খুতবা প্রচারের কথা বলে কুখ্যাত) ইসলামি শাসন আন্দোলনের উদ্দেশ্যতেও লেখা আছে। তাহলে জামাত আর মেজবাহের সংগঠন আগে নিষিদ্ধ করা হলো না কেন?
তাছাড়া সারা দেশে সন্ত্রাস-ধর্ষন-লুঠ তরাজ-খুন-জখম করে মাৎসন্যায় সৃস্টি করেছে তো ছাত্র লীগ আর যুব লীগ। ওদের চেয়ে বড় সন্ত্রাসি আর কেউ আছে? একারণে তো হাসিনা লোক দেখানো ছাত্র লীগের উপদেস্টার পদ থেকেও পদত্যাগ করলেন। তাহলে ছাত্র লীগ ও যুবলীগকে কেন নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হলো না?
আসলে বিডি আর বিদ্রোহের নেপথ্যের ঘসেটি আর মীর জাফরদের মুখোশ উন্মোচন করে দেবার কারণেই হিজবুত তাহরির উপর প্রতিশোধ নিলো আঃ লিগ। কিন্ত সত্য কোনদিন চাপা থাকে না।
এই ভোদরমুখিটা কিছুদিন আগেই বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জিয়াউর রহমানের নামে কুৎসা গাইতে, মেজর হাফিজের লেখা বইয়ের ২৪৭ নং পাতা থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছিল। যখন মেজর হাফিজ স্বয়ং বই বের করে দেখালেন যে ওই বইটা দুশো পৃষ্ঠারও কম, তখন এই মাতারি একটি কথাও না বলে মুখ লুকিয়ে ছিল।
তাপসের উপর বোমা হামলার পর, এই বেটি আবারো স্বমুর্তিতে মিডিয়া গরম করার হাস্যকর চেস্টা করেছে। এ সব নাকি বি এন পির কাজ ইত্যাদি ইত্যাদি। আরে বেটি, তাপস কে? তাপসের চেয়ে কোটি কোটি গুণ গুরুত্বপুর্ণ খোদ বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্নে তোর গলা কই থাকে? কোনদিন তো বলিসনি যে, টিপাইমুখ বাধ হলে বাংলাদেশের চরম সর্বনাশ হবে। কোনদিন তো বলিসনি, ইন্ডিয়ান হাইওয়ে দিলে বাংলাদেশকে সেখানকার স্বাধীনতাকামি আর ইন্ডিয়ানদের রণক্ষেত্র বানানো হবে। কোনদিন কি বলেছিস যে, ভারতের সাথে অমিমাংসিত বিষয়গুলি অবশ্যই আগে নিষ্পত্তি করতে হবে?
তৃতীয় দজ্জাল বেটি আরেক কাঠি সরেস। শেখের গুস্টির নিরাপত্তার সাথে নাকি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অঙ্গাঅঙ্গি জড়িত। যেদিন থেকে প্রগতিশীল রাজনীতি বাদ দিয়ে আঃ লিগের পদতলে মাথা দিয়েছে, সেদিন থেকে চরিত্র খুইয়ে এই বেটি নিকৃস্ট চামচার ভুমিকায় নেমেছে।
শেখের গুস্টির সবই তো বিদেশি নাগরিক। আর বিদেশি নাগরিকদের সাথে কোন আক্কেলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব যুক্ত থাকে?
এক কাঠি বাড়িয়ে এই দজ্জালনি বলে কিনা, পিলখানা হত্যাকান্ড হলো বি এন পির ষড়যন্ত্র। আর সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় নাকি তাপসের উপর বোমা হামলা হয়েছে ! বলি নানক কি বি এন পির? সাহারা? তাপস? আযম? মইন?
সব সময় একটা কথাই বলি। যা অনেকের ভালো লাগে অনেকের লাগে না। সেটা হলো, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বের প্রতি একমাত্র হুমকি আওয়ামী লিগ। মীর জাফর যেমন নবাবির লোভে ক্লাইভের ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছিল, তেমন প্রধানমন্ত্রিত্বের লোভে হাসিনা চার শয়তানের অক্ষশক্তির কাছে মাথা বিক্রি করেছিল। জলিল সাহেব তো সবই ফাস করে দিয়েছেন। এর পর সন্দেহের কোন কারণ থাকতে পারে না।
আর একারণেই দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে দেশবাসির নজর ঘুরিয়ে রাখতেই, আঃ লিগের নেতা কর্মী থেকে শুরু করে তাবেদার মিডিয়া, লেখক সাংবাদিক, কবি, বুদ্ধিজীবি দিনরাত মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে।
তবে আশার কথা হলো, দেশবাসির পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে এই তাবেদার দালালদের একটারও পিঠ অক্ষত থাকবে না।