একদিন এক বন্ধুর বাসায় যেয়ে দেখলাম "নোভা" নামের একটা ব্যান্ডের এ্যলবাম। কভার প্রচ্ছদে দেখা যাচ্ছে ৪টা ছেলে সমুদ্রের পাশে চারটা পাথরের পাশে বসে আছে। যেহেতু তখন যা পাই তাই শুনি, তাই খুব একটা আগ্রহ না হলেও ওই ক্যাসেটটা বাসায় নিয়ে আসলাম। চালালাম আর রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে পড়লাম ফজল আহমেদের "স্কুল পলাতক মেয়ে" শুনে।
ওই এ্যালবামে আরেকটা মাথা খারাপ করে দেওয়া রোমান্টিক গান ছিল। অনেকেই শুনে থাকবেন হয়ত, আরেকবার ঝালাই দিয়ে দেখেননা। "সপ্নরানী"-কে কি মনে পড়ছে?
মোটামুটি নোভার ফ্যান হয়ে গেলাম। নোভার অনেকগুলো ভালো ভালো গান শুনেছিলাম সেইসময়। তার মধ্যে আরেকটার নাম না নিলেই নয়।
শুনে দেখেন, "বালুচরের মেলায়" হারিয়ে যাবেন আপনিও।
সেই সময় আরেকটা ব্যান্ড বেশ নড়েচড়ে উঠেছিল। বলতে ভালই লাগছে, ব্যান্ডটা ছিল আমাদের খুলনার, "ডিফরেন্ট টাচ"। নামটা শুনেছেন? অনেককেই হয়ত বলবেন, না, শুনিনি তো! ঠিক আছে, ব্যান্ডের নামটা না শুনলেও ওই ব্যান্টটার এই সুপার হিট গানটা নিশ্চয় শুনেছেন। শ্রাবনের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে.............
ডিফরেন্ট টাচের আরও ১টা গান খুব ভালো লাগতো। অনেকেই গেয়েছে গানটা। ১ম যে কে গেয়েছে, কে জানে।
"মন কিযে চায় বলো"
এবার আসা যাক "অবসকিওর" এর কথায়। হাত তোলেন তো কে কে এই অসাধারন ব্যান্ডটাকে চিনেন? না চিনলেও টিপুর এই মাথা খারাপ করে দেওয়া রোমান্টিক গানটা শোনেন। মাঝরাতে চাঁদ যখন আকাশে থাকবে, তখন শুনলে হয়তো বেশী মজা পাবেন।
"অবসকিওর" এর আরও ২টা গান খুব ভালো লাগতো। শুনে দেখেন, অবশ্যই ভালো লাগবে।
নিঝুম রাতের আঁধারে।
ছাইড়া গেলাম মাটির পৃথিবী (এই গানটা আমার জীবনের ১ম স্টেজ পারফরমেন্স)
একটু বড় হওয়ার পর মাকসুদের এই গানটা হৃদয় ছুয়ে গেল। "নিজের দেশ, হতে পারে এই গরীবের দেশ, হতে পারে অবহেলীদের দেশ, তবু এ আমার বাংলাদেশ"
অলস মানুষ আমি। বেশীক্ষন ধৈর্য রেখে আমার পক্ষে লেখা সম্ভব না। তবু একটা উর্দু গানের কথা না বলে পারছিনা। এ গানটা যখন বাংলাদেশে বাম্পার হিট তখন আমি স্কুলেও ভর্তি হইনি। ছেলে-বুড়ো কে না এই গানটা শুনেছে, সবাই সবাই! বিয়ে বাড়ি থেকে চায়ের দোকান সবজায়গা মাতিয়ে রাখতো, তখন এই গানটা। কোন গান? শুনেই দেখেন না।
আরও অনেক অনেক গান মাতিয়ে রাখতো আমাকে সারাদিন। সব লিখতে গেলে মহাকাব্য হয়ে যাবে, লিংক দিতে গেলে ইউটিউব ফকির হয়ে যাবে । তাই আজ এ পর্যন্তই।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৮