আদর্শভিত্তিক রাজনীতি দেশে সৎ , যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরীর জন্য অত্যন্ত জরুরী একটা বিষয়। আর, ব্যাক্তির চরিত্র গঠনে ইসলামের সঠিক শিক্ষা গ্রহণ ও তার বাস্তব প্রয়োগ আজকের সময়ের দাবী। শুধু আইন করে ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব একটা বিষয়। ব্যাক্তির নিজের বিবেক যদি জাগ্রত না হয়, তাহলে ১৫ কোটি মানুষকে পাহারা দিতে ১৫ কোটি পুলিশ লাগবে, ১৫ কোটি পুলিশকে পাহারা দিতে ১৫ কোটি সৈন্য লাগবে, এভাবে এটা অসীম পর্যন্ত পৌঁছাবে, কিন্তু কোন সমাধান পাওয়া যাবেনা। কিন্তু ব্যাক্তির নিজের মধ্যে যদি পাহারাদার তৈরী করা যায়, সে নিজেই নিজেকে চেক দেবে যে কাজটি সে করছে বা করার পরিকল্পণা করছে, এটা বিবেকের দৃষ্টিতে সঠিক কিনা; স্রষ্টা এ কাজে খুশি হবেন, নাকি রুষ্ট হবেন। এই বিশ্বাস যদি তার মধ্যে দৃঢ় ভাবে জন্মায় যে, একদিন তাকে মহান রবের কাছে তার কৃত কর্মের জন্য হিসাব দিতে হবে, তাহলে সে যে কোন অন্যায় কাজ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। এরপরও অনিচ্ছাকৃত ভুলত্রুটি হয়ে গেলে মহান রব নিজগুনে ক্ষমা করবেন, যদি তা ক্ষমাযোগ্য হয়ে থাকে।
এইজন্য ইসলাম ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু থাকা অতীব প্রয়োজন। কারণ, ইসলাম শুধু একটা ধর্মই নয়, কম্প্লিট কোড্ অফ লাইফ। এখানে, ব্যাক্তি জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রিয় জীবন, অর্থনীতি, বিচার ব্যাবস্থা, মানবাধিকার সব ব্যাপারে মুলনীতিগুলো দেয়া আছে। সময়ের দাবী অনুসারে, ফকীহ্গন মুলনীতি ঠিক রেখে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করবেন, যাতে ইসলামকে মানুষ পুরোণ ও অচল বলতে না পারে। ইসলাম কায়েম হলে, সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে। অমুসলিম ভাইবোনদের এতে বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই। ইসলাম অত্যন্ত সহনশীল ধর্ম, কিন্ত যারা সঠিক শিক্ষা থেকে দুরে, তারাই উগ্রপন্থী।
ধর্মভিত্তিক দলগুলো ছিলো, আছে, থাকবে। দেশের কল্যাণে জন্য তাদের রাজনৈতিক অধিকার দিতে হবে। অন্যথায়, জংগীবাদের উত্থান হতে পারে। কারণ, মানুষ যখন স্বাভাবিক ভাবে অধিকার পায়না, তখন সে তার অধিকার আদায়ের জন্য উগ্রপন্থা বেছে নেয়। তবে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে যাতে ইসলামের সঠিক চর্চা থাকে, তাদের মাধ্যমে যাতে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব বের হয়ে আসে, এটা এই দলগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে। তারা এমন কিছু করতে পারবেনা, যা দেশের জন্য, ইসলামের জন্য ক্ষতিকর।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৩