ইউনুস সাহেব মেহমান। উনি এসেছেন স্বল্প সময়ের জন্য।
নির্বাচনের পরে উনি টাটা বায় বায় খতম। উপদেষ্টাদের থাকার নিয়ম তিন থেকে ছয় মাস। ৯০ দিনের মধ্যে তারা একটা নির্বাচন দেবেন। তারপর নির্বাচনে যে দল জয়ী হবে তারা ক্ষমতায় আসবেন। ইউনুস সাহেব কোন রকমে ভারসাম্য ঠিক রাখতে চেস্টা করছেন। ইদের জামাতে কে বা কারা ৫ বছর, ৫ বছর জিকির তুলেছিলেন। এরপর হয়তো তার স্বাদ হয়েছে যতটা সময় পারি, থাকি ক্ষমতায়। উনি ক্ষমতায় আসার পর গর্তে থাকা জামাত হাতির পাচ পা দেখেছে।
আমাদের দেশে সাধারণত সরকার পরিবর্তন হলে অনেক কিছু বদলে যায়।
অনেক নিয়ম কানুন বদলে যায়। এবং রাজনৈতিক দল গুলো ক্ষমতায় আসার জন্য অনেক ভালো ভালো কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বললেন, ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান করবেন। তাও আবার ১৮ মাসের মধ্যে। শেখ হাসিনা বলেছিলেন ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন। আসলে রাজনীতিবিদরা কথা বলার জন্য কথা বলেন। তাদের কথা সত্য বলে ধরে নিলে ঠকতে হবে। ক্ষমতা মানুষকে বদলে দেয়। লোভী করে তোলে। যদিও শেষ পরিনতি হয় ভয়ংকর।
ইউনুস সাহেব সফল না বিফল সেটা কোনো কথা নয়।
উনি রাজনীতিবিদ নন। আগামী ৮ থেকে ১২ মাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন হবে। এই কয়েক মাস উনি ভারপ্রাপ্ত হবে সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের ভুলের কারণে, আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। তড়িঘড়ি করে তখন তাকে উপদেষ্টা করা হয়েছে। যদি উপদেষ্টারা ভুল করেন, অন্যায় করেন, তাহলে তাদের শাস্তি পেতে হবে। এখন যেমন আওয়ামী লীগ পাচ্ছে। বিএনপিও শাস্তি পেয়েছে। পুরো বিএনপিকে তছনছ করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। হাসিনা না থাকাতে বিএনপি আশার আলো দেখতে পেয়েছে।
দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ মনে করছেন,
ইউনুস সাহেব কে দিয়ে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। উনি ভালো কথা জানেন। বর্হি বিশ্বে উনার কদর আছে। যারা বলছেন ৫ বছর। ৫ বছর। ইউনুস সাহেব ৫ বছর থাকলে দেশের উন্নয়ন হবে? দূর্নীতি বন্ধ হবে? বেকারত্বের হার কমবে? সরকারি আমলারা সঠিক পথে থাকবেন? দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমবে? ইউনুস সাহেব জামাতকে আশকারা দিয়েছেন। জামাত এখন ক্ষমতায় যেতে চায়। জামাত কঠিন এক নীল নকশা একেছে। ধীরে ধীরে জামাত তাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা পিনাকি সাহেবকে কিনে ফেলেছেন। পিনাকি বিএনপিকে ডুবানোর চেস্টা অব্যহত রেখেছে।
অন্তবর্তী সরকার হিসাবে ইউনুস সাহেব ব্যর্থ। পুরোপুরি ব্যর্থ।
ব্যর্থতা ঢাকার জন্য উনি বলেই দিয়েছেন, আমি রাজনীতির মানুষ না। উনি অন্তবর্তী সরকারের প্রধান হয়ে, এখন পর্যন্ত একটা কাজও সুন্দর ভাবে করতে পারেন নাই। আওয়ামী লীগের আমলে দেশ যেভাবে চলছিলো এখন তার চেয়েও খারাপ ভালো চলছে দেশ। ইউনুস সাহেবের উচিৎ ছিলো ক্ষমতায় বসার পর, যারা পুলিশ হত্যা করেছে, থানায় আগুন দিয়েছে, অস্ত্র লুট করেছে, শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভেঙেছে, গণভবন লুট করেছে, মেট্রোরেল ভাংচুর করেছে তাদের গ্রেফতার করা। উনি এই জরুরী কাজ গুলো করেন নাই। ফলাফল দেশে অন্যায়, চুরী, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ এবং দূর্নীতি তিন গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চেয়েছে বলেই, আজ শেখ হাসিনার পতন হয়েছে।
সেনাবাহিনী নিশ্চয়ই অন্যের ইচ্ছায় (আমেরিকা) শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে। সেনাবাহিনী যদি না চায় তাহলে আগামীকাল থেকে ইউনুস সাহেব ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। সেনাবাহিনী আমেরিকান দূতাবাসকে প্রভু মনে করে। তারা শুধু প্রভুর আদেশ পালন করেন। দেখুন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন দেশে চাঁদাবাজি হতো, দূর্নীতি হতো, অন্যায় হতো। সরকারি হাসপাতালে দালাল, ফুটপাত দখল, ছাত্রলীগের বাড়াবাড়ি, বেকারত্ব সহ নানান সমস্যা। এখন আওয়ামী লীগ নাই, তবু্ও দেশের একই অবস্থা। বিনা দ্বিধায় বলা যায় আরো খারাপ অবস্থা হয়েছেল। অর্থাৎ ইউনুস সাহেব গত ৮/৯ মাসে কিচ্ছু ভালো করে দেখাতে পারেন নাই।
ইউনুস সরকার ক্ষমতা হাতে নেওয়ার পর দেশের অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়েছে।
আওয়ামী লীগ যতই খারাপ হোক, তখন দেশে কেউ পাকিস্তানের পতাকা হাতে নিতে সাহস করে নাই। ভাবা যায় আমাদের দেশে পাকিস্তানি পতাকা বিক্রি হচ্ছে! পাকিস্তান থেকে চাল আটা আনা হচ্ছে। পাকিস্তানি শিল্পী এসে গান গাইছে। বাংলাদেশের ইউটুবাররা পাকিস্তান যাচ্ছে। ব্লগ বানাচ্ছে। আমাদের দেশের হুজুররা উর্দু ভাষায় মিটিং করছে। জামাত দেশটা শেষ করে দিতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকেরা হতবাক। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অনেক বড় পাওয়া। জামাতের জন্য ৭১ এ মানুষ হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘরে আগুন এবং লুটপাট দশ গুন বেশি হয়েছে।
বিএনপি জামায়াত নির্বাচনের জন্য অস্থির হয়ে পড়েছে।
একটা নির্বাচন হলেই কি দেশে সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসবে? বিএনপি পনের বছরের ক্ষুধার্ত। দূর্নীতি করার জন্য মুখিয়ে আছে। অলরেডি তারা দখল এবং চাঁদাবাজি শুরু করে দিয়েছে। এদিকে ইউনুস সাহেব ক্ষমতার মজা পেয়ে গেছেন। জোর করলে তিনি আরো পাচ বছর থেকে যাবেন হাসিমুখে। সত্যি কথা বলতে দেশের এখন গজব অবস্থা। একটা পরিবারে বাবা মা না থাকলে যে অবস্থা হয়, ঠিক দেশের সেই অবস্থা এখন। সর্ব্বোপরি জামাত শিবির মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সারজিস, হাসনাত, নাহিদ এই সমস্ত বালছাল ছাগলের মতো লাফাচ্ছে। ইউনুস সাহেব তাদের আশকারা দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের দূর্নীতিকে ছাড়িয়ে যাবে এই সমস্ত এনসিপি, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী এবং বিএনপি। বিএনপির দূর্নীতির ইতিহাস নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। পরপর পাচবার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন।
সরকারি আমলারা এখন খুব সুখে আছে।
চাটুকারিতার জন্য আমলাদের তুলনা হয় না। বিটিভি আর সরকারি আমলা একই সুত্রে গাথা। যাইহোক, বিএনপি আওয়ামী লীগ কে সরাতে পারেনি। জামাত পেরেছে। তারা এক কঠিন নীল নকশা করেছিলো। এখন পর্যন্ত জামাত অর্ধেক সফল হয়েছে। এখন ক্ষমতায় এলেই তাদের আর কোনো চাওয়া পাওয়া থাকবে না। আর জামাত একবার ক্ষমতায় এলে দেশ ওদের বাপের হাতে তুলে দিবে। তারপর পাকিস্তান আমাদের সাথে খেলবে। ৭১ এর পরাজিত শক্তি আজও ভয়ংকর। সব মিলিয়ে ইউনুস সাহেব ব্যর্থ। উনি উনার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করেন নাই। দেশের মানুষ উনার উপর ভরসা করেছিল। বিশ্বাস করেছিলো। দেশের মানুষ আজ বড় হতাশ। তারা অপেক্ষায় আছে কালো মেঘ কেটে যাবে। ঝলমলে আলো আসবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৯