হলিউডের কল্যাণে আমরা কমবেশি সবাই-ই থরকে চিনি। যারা মুভির স্ক্রিনের রঙ্গিন দুনিয়ার খবর রাখেন আরকি। এই সিনেমার পর্দার পেছনের কাহিনী জানতে সম্ভবত অনেকেরই ইচ্ছে আছে। গ্রীক, রোমান এমনকি আরব্য পুরাণের কাহিনীর মতই সমৃদ্ধ নর্স পুরাণও। তাদেরও আছে নিজস্ব পরাক্রমশালী দেবতা কিংবা রূপসী দেবী। এই নর্স মিথোলজিরই একটা অংশ ‘দ্য মাইটি থর অ্যান্ড হিজ হ্যামার’। চলুন সংক্ষেপে ঘুরে আসি তাদের জগত থেকে।
সৃষ্টির শুরুর কথাঃ
নর্স মিথ অনুযায়ী সৃষ্টির শুরুতে কিছুই ছিলো না। ছিলো শুধু কুয়াশায় নিমজ্জিত এক জগত আর নারকীয় আগুন জ্বলতে থাকা এক জগতের উপস্থিতি। উত্তরে নিফেলহেইম; কুয়াশাচ্ছন্ন দেশ। আর দক্ষিণে মুস্পেল। নিফেলহেইমের উলটো হলো মুস্পেল। সেখানে জ্বলে শুধু আগুন, লাভা; নারকীয় তাপে পূর্ণ মুস্পেল। আর এই দুই জগতের মাঝে ছিলো এক গহবর। সময় গড়ানোর সাথে সাথে এই শূন্য স্থানে তৈরি হলো এক হিমবাহ। কিন্তু আগুন আর বরফ তো একসাথে থাকতে পারে না। ফলে বরফ গলেই একসময় উদ্ভব ঘটল প্রাণের। কে সে? সে না নারী না পুরুষ। জন্ম নিলো ইমির(Ymir) নামক ভীষন এক প্রাণীর। নারী-পুরুষের উভয় বৈশিষ্ট্যই ছিলো তার মধ্যে। শুধু ইমির-ই না, জন্ম নিলো শিং বিহীন এক গাই- আধুমলা। এই আধুমলার দুধ খেয়ে বেড়ে উঠতে লাগলো ইমির। আর আধুমলা বরফ চেটে চেটে বরফপিন্ড থেকেই তিনদিনে বের করে আনলো মানুষের অবয়ব। তার নাম বুরি- সমস্ত দেবতার পূর্বপুরুষ। আর অন্যদিকে ইমির জন্ম দিলো দৈত্যদের। পরবর্তীতে এই দৈত্যদের থেকেই নিজের জীবন সঙ্গী বেছে নিলো বুরি আর জন্ম দিলো বোরের, যে কিনা ওডিনের পিতা। তবে বোর জন্ম দিয়েছিলো আরো দুই সন্তানের- ভিলি আর ভে। তারপর থেকেই আমাদের চেনা জানা জগতের কিছুটা শুরু।
তিন সন্তান ধীরে ধীরে বড় হলো কিন্তু তখনো শূন্যতা বিরাজ করতো নিফেলহেইম আর মুস্পেলের চারিদিকে। যেনো সব কিছু থমকে আছে কিছু একটা শুরুর অপেক্ষায়; প্রাণের অপেক্ষায়। তিন ভাই মিলে ভাবতে লাগলেন কি করা যায়।
বোরের তিন সন্তানেরা মিলে খুন করে ইমিরকে আর তার মাংস দিয়ে তৈরি করে মাটি, হাড় দিয়ে করে পাহাড়-পর্বত আর রক্ত-ঘাম দিয়ে তৈরি হয় সমুদ্র। আর আমরা আকাশে তাকালে দেখতে পারি গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘ; ওগুলো আসলে ইমিরের মগজের টুকরো। ইতিমধ্যে ইমিরের রক্তে ডুবে মারা গেলো সমস্ত দৈত্যরা; বেঁচে ছিলো শুধু ইমিরের নাতি দৈত্য বার্গেলমির আর তার স্ত্রী। এভাবেই সৃষ্টি হলো সব কিছুর ইমিরের খুনের মাধ্যমেই। কিন্তু তখনো শেষ হয়নি সৃষ্টির খেলা। ওডিনরা জানতেন মানুষের দেখা না পেলে ব্যর্থ হবে সমস্ত সৃষ্টি। মিডগার্ডের অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখার কেউ নেই। অবশেষে সমুদ্রের কিনারে পেলেন দুটো গাছের গুড়ি। একটা অ্যাশ গাছের আরেকটা এলম। তিন দেবতা সেখান থেকেই তৈরি করলেন সর্বপ্রথম নর-নারীকে। অ্যাশ গাছে থেকে পুরুষের রূপান্তর হলো ‘অ্যাস্ক’ আর এলম গাছ থেকে নারীতে রূপ পেলো ‘এম্বলা’।
নয় জগতের কথাঃ
নর্স মিথের বক্তব্য অনুযায়ী ইগড্রাসিল নামক এক অ্যাশ গাছ মহাবিশ্বের সবচাইতে বড় আর সবচাইতে সুন্দর গাছ যার চূড়ায় বসে আছে বিজ্ঞ এক ঈগল যে সব কিছু দেখে। আর এই গাছটি স্পর্শ করে আছে নয়-নয়টি বিশ্বের সবকয়টিকেই আর এই মহিরুহের শিকড় ছড়িয়ে আছে তিনটি বিশ্বে। এই গাছ বলতে গেলে সম্পর্ক সৃষ্টি করে রেখেছে এক বিশ্বের সাথে অন্য বিশ্বের। আসুন ঘুরে আসি সেই নয়টি দুনিয়া থেকে-
অ্যাসগার্ড- এখানেই বাস করেন সর্ব পিতা একচোখো ওডিন। যিনি জ্ঞানের পিপাসা মেটাতে উৎসর্গ করেছিলেন নিজের এক চোখ। এটা এসিরদের বাসস্থল।
আলফহেইম- এখানে থাকে বামনরা যারা লাইট এলফস নামেও পরিচিত।
মিডগার্ড- মরণশীল মানুষদের আবাসভূমি।
মুস্পেলহেইম- আগুনের দুনিয়া।
ভ্যানাহেইম- ভ্যানিরদের বাসস্থান। এসিরদের মত ভ্যানিররাও দেবতা।
নিডাভেলির- কারিগর বামনরা বাস করে। এমন কোন জিনিস নেই যা এরা তৈরি করতে পারে না। নিপুন কামার আর হস্তশিল্পীদের বাস।
জতুনহেইম- দৈত্যদের ঘরবাড়ি।
নিফেলহেইম- আগেই বলা হয়েছে যে এখানে কেবল মৃত্যুপুরীর মত শীতলতা আর কুয়াশা ছাড়া আর কিছুই নেই।
হেলহেইম- বলতে গেলে জাহান্নাম। যুদ্ধে বীরত্বপ্রদর্শনে ব্যর্থ সৈনিক আর কাপুরুষদের জায়গা। নিয়ন্ত্রন করে লোকির সন্তান ‘হেল’।
মহাপরাক্রমশালী থরঃ
সবার পিতা ওডিনের বীর পুত্র থর। যার বীরত্ব আর সাফল্যের খবর নয় দুনিয়াতে পৌঁছাতে বাকি নেই। যুদ্ধে থরের মত বিধ্বংসী আর একজনও নেই আবার খাবার টেবিলে তাকে পেছনে ফেলার মতও কাউকে খুঁজে পাওয়া ভার। তবে বুদ্ধির চাইতে থরের পেশীর জোরটাই বেশি। আর থরের হাতুড়ি ‘মিওলনির’কে ভয় পায় না এমন ট্রল কিংবা দৈত্য নয় দুনিয়ার কোন দুনিয়াতেই নেই। তবে এই দিগ্বিজয়ি হাতুড়ির জন্য থর ধন্যবাদ জানাতেই পারে লোকির কুটবুদ্ধিকে।
কিভাবে এলো মিওলনির?
থরের স্ত্রী সিফ। একদিন ঘুম থেকে উঠে থর দেখে সুন্দরী সিফের মাথার স্বর্ণালী চুল নেই! সিফ টেকো! এমন অবস্থার জন্য দায়ী করতে চাইলে সবার আগে একটাই নাম মাথায় আসে- গড অফ ট্রিক্স অ্যান্ড মাস্টার অফ মিসচিফ সোজা কথা কুটবুদ্ধির রাজা লোকির। থরের শক্তিশালী বাহুর প্যাঁচে আটকা পড়াতে মুখ খুলে স্বীকার করলো সে- হ্যা! অকাজটা তারই। আর এমনভাবে করেছে যে সিফের চুল আর গজাবেই না। এখন কি করা? থরের অগ্নিশর্মা রূপ দেখে লোকি ভয় পেয়ে কথা দিলো যে যেভাবেই হোক সিফের জন্য নকল চুল এনে দেবে যেটা আসল চুলের চাইতে কোন অংশে কম সুন্দর নয়।
পাঠক! মনে আছে তো কামার বামনদের কথা? যারা হেন জিনিস নেই বানাতে পারে না।
লোকি উড়ে গেলো বামনদের কামারশালায়। কিন্তু বললেই বা বামনরা বানিয়ে দেবে কেন পরচুলা? লোকিকে পছন্দ করে না কেউই। কিন্তু চাল চালতে ভুল হয়না কখনো লোকি। সে সোজা গেলো ইভাল্ডি নামক এক বামনের সন্তাদের কাছে; তিনভাই তারা। কামার হিসেবে তারাই সেরা বামনজগতে। গিয়েই বললো ব্রক আর ইত্রি নামক দুই বামন নাকি এসিরদের দেবতাদের জন্য সেরা উপহার বানাচ্ছে। অহমে আঘাত লাগলো তিন ভাইয়ের; রেগে গেলো তারা। তারা বললো ব্রক আর ইত্রি নাকি ঘোড়ার নালও বানাতে পারে না, ইভাল্ডির সন্তানদের কাছে তো দুগ্ধপোষ্য শিশু। তিন ভাই-ই বানাবে দেবতাদের জন্য সেরা উপহার। কাজ অর্ধেক শেষ। অবশ্য প্রস্থানের আগে মনে করিয়ে দিলো উপহারের মধ্যে সোনালী রঙের চুলও থাকতে হবে।
এবার লোকি গেলো ব্রক আর ইত্রির কাছে। গিয়ে বললো উলটো কথা। ইভাল্ডির সন্তানদের ধারে কাছে নাকি নেই কেউ। তারাই দেবতাদের অনুগ্রহ পেয়ে যাবে উপহার দিয়ে। ব্রক-ইত্রি কিছুই করতে পারবে না। কিন্তু ব্রক একেবারে বোকা না, সে সন্দেহ করেছিলো লোকির কোন বদমতলব থাকতে পারে। সে প্রস্তাব দিলো যে তার বানানো উপহার যদি সেরা মনোনীত না হয় তাহলে ক্ষতিপূরন হিসেবে সে লোকির মাথা কেটে নেবে। আত্নরম্ভী-অহংকারী আত্নবিশ্বাসী লোকি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে। কিন্তু মনে মনে এঁটে নেয় ব্রকের কাজে বাধা দেয়ার অশুভ চিন্তা। আর তা কাজেও রূপ দেয় সে। ব্রক কাজ করা কালীন পোকার বেশ ধরে তাকে কামড়ে কামড়ে অস্থির করে দেয়। যার ফলে ব্রক দুটো উপহার ঠিকঠাক মত বানাতে পারলেও তিন নম্বরটায় ভুল করে ফেলে।
যা হোক, কাজ শেষ হয় বামনদের। লোকি নিজেই নিয়ে যায় বামনদের দেবতার কাছে আর জানায় বামনরা অ্যাসগার্ডের দেবতাদের দেয়ার জন্য ছয়টি উপহার নিয়ে এসেছে। আর দেবতারাই বিচার করবেন কোনটা সেরা।
প্রথমে উপহার বের করলো ইভাল্ডির ঔরশদের বানানো গুংনির নামক অব্যর্থ এক বর্শা। দেখেই পছন্দ হয়ে গেলো ওডিনের। এরপর লোকি দেখালো সিফের জন্য সোনায় বানানো চুল। সেটা দেখেও দেবতারা খুশি হলেন কারন পরচুলাটা সিফের মাথায় আসল চুলের মতই এঁটে গেছে। এর পর তৃতীয় উপহারটা দেখালো সে- স্কীডব্লাডনির নামক এক জাহাজ। তবে যে-সে জাহাজ নয় এটা। রুমাল আকৃতির জাহাজ কিন্তু ভাজ খুললেই হয়ে যাবে বিশাল যার পালে কখনো বাতাসের অভাব হবে না। তিনটা উপহার দেখেই দেবতারা সন্তুষ্ট হলেন।
কিন্তু এখনো ব্রকের বানানো তিনটা দেখানো বাকি ছিলো যে। ব্রক শুরুতে বের করলো ড্রুপনির নামক এক আংটি; ওডিন স্বয়ং আঙ্গুলে পড়ে নিলেন সেটা সেখানেই কিন্তু মুখে আহামরি কিছু বললেন না দেখে লোকি মনে মনে খুশি হলো। এরপর দুই নাম্বারে অর্পণ করলো সোনার তৈরি এক শুয়োর। এটিকে গাড়িতে জুড়ে দিলে যেকোন জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে, এমনকি অন্ধকারেও উজ্জ্বল হয়ে জ্বলবে। এর নাম গুলেনবার্স্টি। দেবতা ফ্রে দেখে ভাবলেন এর চাইতে তো জাহাজটাও কোন অংশে কম না। এদিকে লোকি তো নিশ্চিন্ত কারন প্রথম দুটা দেখে দেবতাদের মধ্যে তেমন উৎসাহ দেখা দেয়নি আর তিন নম্বরটায় তো ব্রক নিজেই ভুল করেছে তার কল্যাণে।
এরপর থলি থেকে ব্রক বের করলো একটা ছোট হাতলের হাতুড়ি। ক্ষমা প্রার্থনা করলো যে তার ভুলেই হাতলটা এমন ছোট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সে বললো ভুল হলেও এই হাতুড়ি সমকক্ষ অস্ত্র এমনকি দেবতাদের কাছেও নেই। নাম- মিওলনির। যার অর্থ বজ্র প্রস্তুতকারী। একে ভাঙ্গা অসম্ভব, যে দিকেই ছুড়ে দেন না কেন অব্যর্থ হবে লক্ষ্য আর হাতুড়ি নিজেই ফিরে আসবে মালিকের কাছে। আর মালিকের আদেশে ছোট-বড় হতে পারবে মিওলনির।
এদিকে থরের হাসি দুইকানের গোড়ায় গিয়ে ঠেকেছে। তার শক্তিশালী হাতে পড়ে অনেক অস্ত্রই ভেঙ্গে গেছে। এই মিওলনিরই তার জন্য উপযুক্ত। হাতুড়িটা হাতে নিয়ে নিজের মধ্যে অজেয় একটা অনুভূতির সৃষ্টি হলো থরের মাঝে। দেবতারাও একবাক্যে স্বীকার করলেন যে এমন একটা অস্ত্র থাকলে ভবিষ্যতে যুদ্ধে জিততে কোন অসুবিধে হবে না।
অবস্থা বেগতিক দেখে লোকি প্রাণপনে বোঝালো যে হাতল খাটো হাতুড়িটার, এর থেকে সিফের স্বর্ণালী চুল কিংবা স্কীডব্লাডনির হাজার গুণে ভালো। কিন্তু ভাগ্য খারাপ তার। দেবতারা সে খুঁত ওয়ালা মিওলনিরকেই শ্রেষ্ঠ উপহার ঘোষনা করলেন। এবার ব্রক শর্তানুযায়ী লোকির মাথা কেটে নিতে চাইলো। মজা পেয়ে ওডিনও সায় দিলেন দেখার জন্য যে লোকি এবার কিভাবে বাঁচায় নিজেকে। মরিয়া হয়ে প্রথমে লোকি পালিয়ে গেলো সবার সামনেই, কিন্তু থর গিয়ে ধরে নিয়ে আসে। এরপর বেগতিক অবস্থা দেখে কুটবুদ্ধি চালায় লোকি- মাথা কাটার শর্ত ছিলো কিন্তু গলা কাটার তো ছিলো না! বামন থমকে যায় এই কথা শুনে। কাজের হাত চালাতে পারলেও বুদ্ধি চাল চালানোতে সে লোকির কাছে নস্যি। ওডিনও সায় দেন লোকির কথায়। বামন বলে- গলা না কাটলে মাথা কাটবে কিভাবে! হার মেনে পিঠটান দেয় ব্রক।
দেবতারা পেলেন চমৎকার পাঁচটি উপহার আর থর পেল তার অজেয় অস্ত্র- মিওলনির। অবদান সবটাই দৈত্যের ঘরে জন্ম নেয়া লোকির।
রূপালি পর্দার থরঃ
মার্ভেল ইউনিভার্সের অন্যতম সংযোজন থর। থরের একক সিনেমা মুক্তি পায় ২০১১ সালে। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা ক্রিস হেমসওয়ার্থ। ওডিনের চরিত্রে ছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা অ্যান্থনি হপকিন্স, লোকির চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন টম হিডেলস্টোন, অ্যাসগার্ডের সাতরঙা সেতু বাইফ্রস্টের পাহারাদার হাইমডাল চরিত্রে রয়েছেন ইদ্রিস এলবা। ২০১৩ সালে মুক্তি পায় এর সিকুয়েল থরঃ দ্য ডার্ক ওয়ার্ল্ড। এ বছর মুক্তির অপেক্ষায় আছে তৃতীয় সিনেমা থরঃ র্যাগনারক। ক্রিস হেমস ওয়ার্থ ছাড়া সম্ভবত এখন ফ্যানরা কাউকেই থর হিসেবে কল্পনা করতে নারাজ। এক উদ্ধত ব্যবহার, বুদ্ধির বদলে শক্তির প্রদর্শনী আর সর্বপরি লোকির সাথে তার ঝাঁঝালো ডায়লগ ডেলিভারি তো আছেই- কমপ্লিট থর প্যাকেজ হিসেবে ক্রিস হেমস ওয়ার্থ মন জয় করে নিয়েছেন দর্শকদের।
সবশেষে বলতে চাই নর্স মিথোলজিতে রয়েছে আরো অনেক বীরগাথা, আছে অসংখ্য মনে রাখার মত চরিত্র, আছে মহাপ্রলয়ে র্যাগনারকের দিনের বর্ণনা, দেবতা আর দানবদের মহাযুদ্ধের কথা, মৃত্যু আর জন্মের কথা যা স্বল্প পরিসরে বলা কোনমতেই সম্ভব না। তবু কেউ চাইলে নিল গেইম্যানের লেখা ‘নর্স মিথলজি’ বইটা কিনে পড়তে পারেন। এই লেখার অধিকাংশ তথ্যই এই বই থেকে নেয়া। আরো জানতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন নর্স মিথলজির নিজস্ব ওয়েবসাইটে।
লিঙ্ক
হ্যাপি ব্লগিং!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০