গতকাল, ৭ই নভেম্বর/১২, বুধবার বিকেলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’এ আওয়ামি লীগের কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলেিগর উদ্যোগে ‘মানবতাবিরোধি ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় জামাত-শিবির চক্রের দেশব্যাপী ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ’ শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। সেখানে সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব এ্যডভোকেট শামসুল ইসলাম টুকু’র উপস্থিতিতেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক জনাব সিদ্দিকি নাজমুল আলম সারা দেশে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের যেখানে জামাত শিবির, সেখানেই গণধোলাই দেবার নির্দেশ দেন।
আর তার আগে কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বি এন পি’র কেন্দ্রিয় নেতা ও প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী জনাব মওদুদ আহমেদের নামোল্লেখ করে বলেন ‘মওদুদ’সহ বি এন পি নেতারা জামাত-শিবিরকে উস্কানি দিলে তাদের রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে প্রতিহত করা হবে’।
প্রতিহতের নামে কি যে করা হবে, বা হতে পারে, সেটা আমরা বর্তমান ছাত্রলীগের ঐতিহ্য ও দক্ষতার(!) যে চিত্র জাতির সামনে রয়েছে এবং প্রতিদিন প্রদর্শিত হচ্ছে, তার আলোকে আঁচ করতে পারি কিছুটা। হয়ত কিছু মা’এর বুক খালি হবে (আয় আল্লাহ এমনটা যেন না হয়, আয় আল্লাহ এ মিনতিটুকু রেখো মা’বুদ)। হয়ত কিছু ভাই পঙ্গু হবে, আহত হবে, কারো কারো হয়ত শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যাবে, শেষ হয়ে যাবে ব্যবসা-বাণীজ্য, আয় উপার্জনের শেষ সম্বলটুকুও।
আক্রান্তরা মামলা করতে যাবে থানায়? পুলিশের কি ক্ষমতা আছে মামলা নেবার? যে আদেশ স্বয়ং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দেয়া হয়, আর তার আশির্বাদপুষ্ঠদের দ্বারা বাস্তবায়িত হয়, সেটাতো রাষ্ট্রিয় আদেশ! সেটা কোন অপরাধ নয়!! অতএব পুলিশ মামলা নেবে না। আক্রান্তরা কোন বিচারও পাবেন না।
খবরটি পড়ার পরে আমি কেবলই ভাবছি, একজন মন্ত্রী কি করে সংবিধানের প্রতি তার দায়বদ্ধতা উপেক্ষা করে, তার শপথ ভংগ করে এমন কর্মকান্ডে জড়াতে পারেন? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। আপনারা কি কিছু বুঝলেন?