দেশের বড় এক রাজনৈতিক শক্তি ঘোষণা দিয়েছে, ক্ষমতায় আসলেই মাত্র ১৮ মাসে সৃষ্টি হবে এক কোটি নতুন চাকরি। দেশের সাধারণ মানুষ তো খুশিতে আতঙ্কিত—খুশি এ কারণে যে চাকরি আসবে, আতঙ্কিত এ কারণে যে চাকরিগুলো কোথায় তৈরি হবে, সেটা পরিষ্কার নয়। তবে অনেকের ধারণা, চাকরিগুলো সৃষ্টি করতে গেলে নতুন কোনো শিল্প-কারখানার দরকার নেই, দরকার নেই বিদেশি বিনিয়োগেরও। কারণ, কাজের চেয়ে বেশি চাকরি দেওয়ার অভিজ্ঞতা সবচেয়ে ভালো আছে রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই!
চায়ের দোকানে আজকাল তাই তরুণদের নতুন আলোচনা, "ভাই, পাসপোর্ট সাইজের ছবি তোল, রাজনীতিতে ঢোকার দরখাস্ত জমা দিতে হবে!" কেউ কেউ বলছেন, "ডিজিটাল সিভি বানাতে হবে ভাই, মিছিল-মিটিংয়ে কত ঘণ্টা দিয়েছি তার ডকুমেন্ট লাগবে।"
শুধু কি তরুণরাই? এক মধ্যবয়সী ভদ্রলোক বললেন, "আমি জীবনে কোনো কাজ করিনি, কিন্তু সারাজীবন দলের মিছিলে হাঁটলাম, শ্লোগান দিলাম। এবার অন্তত অভিজ্ঞতার দাম পাব!"
আবার কেউ কেউ হিসেব করতে বসেছেন—এক কোটি চাকরির কথা উঠলেই মনে হয়, দেশের সমস্ত রাস্তাঘাট, মাঠঘাট, অলিগলি ভরে যাবে পোস্টার আর ব্যানারে। কারণ এত বিশাল কর্মসংস্থানের বিজ্ঞাপন দিতে হলেও তো কয়েক লাখ চাকরি সৃষ্টি হবে!
তবে, কেউ একজন খুব গম্ভীর গলায় বলেছেন, এই চাকরিগুলো হবে এমন এক সেক্টরে, যেখানে দক্ষতা লাগে না, শুধু আনুগত্য লাগে। আপনি কতটা 'হ্যাঁ' বলতে পারেন, সেটাই আপনার যোগ্যতা!
সুতরাং প্রস্তুতি নিন, ১৮ মাসে এক কোটি চাকরি পেতে হলে, একটাই রাস্তা—রাজনীতি করুন। কারণ এত বড় চাকরিদাতা তো আর কেউ নেই!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:১৩