স্বাক্ষী সূখরঞ্জন বালীকে খোদ আদালতের সীমানা থেকে তার আঈনজীবির গাড়ী থেকে অপহরণ করে নিয়েছে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবাহীনির লোকজন। কাজটি তারা করেছে একেবারে দিন দুপুরে, শত শত লোকের সামনে। অতএব ব্যাপারটা বোঝাই যায় যে, যারা এমনটা করেছে, সেই সরকার বা তার ঘাড়ে সওয়ার হওয়া একটা মহল কতটা মরীয়া হয়েই এটা করেছে! কিন্তু একটা বিষয় লক্ষণীয় যে, সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে লিষ্টে রাখা সরকারী স্বাক্ষী গণেশ এবং সুখরঞ্জণ, দুজনেই কিন্তু সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের। আর দু’জনেই সরকারের পক্ষে স্বাক্ষী না দিয়ে উল্টো সকল ভয়-ভীতি হুমকি আর লাখ লাখ টাকার প্রলোভনকে উপেক্ষা করে বরং সাইদী সাহেবের পক্ষেই স্বাক্ষী দিতে এসেছেন।
আরও লক্ষণীয়, সুখরঞ্জণ’তো তার জ্ঞান আর বিশ্বাস মতে সত্যের পক্ষে স্বাক্ষ্য দিতে নিজের জীবনের উপরেও ঝুঁকি নিয়েছেন। জানি না তিনি বেঁচে আছেন, না, কোন খাল বিলে বা নর্দমায় তার লাশ পচে উঠেছে এতদিনে!
এখান থেকে শিক্ষা নিতে পারেন, যারা শিক্ষা নিতে চান। একজন গণেশ, একজন সুখরঞ্জণকে তার ধর্মবিশ্বাসে মিথ্যা স্বাক্ষ্য দেবার পরিণাম ও শাস্তি শেখানো হয় কিনা, তা আমার জানা নেই। কিন্তু তারপরেও সত্যের পক্ষে আর অবিচারের বিপক্ষে তাদের এই যে অবস্থান, তাকে কি শ্রদ্ধা না করে পারা যায়? বাংলাদেশে কথায় কথায় সংখ্যালঘু হিন্দু স¤প্রদায়ের প্রতি তাদের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে যে সব জাঁদরেল(!) মুসলমানরা তীক্ষè ভ্র“কুটি হানেন, তারা কি কোন শিক্ষা নেবেন এ দুজন ‘হিন্দু’র কাছ থেকে?
নিরপেক্ষ বিচার ছাড়াই এবং দোষী প্রমাণিত হবার আগেই সুখরঞ্জণ বালীর মা’কে হত্যা করার কথিত অপরাধে যারা সাইদী সাহেবের ফাঁসি চেয়ে গলা ফাটিয়ে ফেলছেন, সেই সব প্রগাতশীল (!) মুসলমানরা কি একবার এইসব গণেশ আর সুখরঞ্জণকে সামনে রেখে নিজেদের ঈমানটাকে যাচাই করে নেবেন? সে সাহসটুকু কি তাদের হবে?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৯