উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের স্মরকলিপি নিয়ে ব্লগার বিদ্রোহী ভৃগু ভাই যা লিখেছেন তা অবস্যই চিন্তার বিষয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাদের হবে নুরু গংদের নাকি ছাত্রলীগের? উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ’ এর স্মরকলিপিতে তারা নুরু গংদের সাফাই গাইছেন, সুস্থ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চাইছেন বলে স্মরকলিপিতে কোথাও উল্লেখ নেই।
১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কারা করেছেন এবং কেনো? এরা কি মুক্তিযোদ্ধা? মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাথে জড়িত প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছেন নাকি মুক্তিযুদ্ধ চেতনা করতে গিয়েছেন?
২। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ করার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে বা স্থানীয় থানা পুলিশ থেকে লিখিত আদেশ নিয়েছেন?
৩। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একজন বেসামরিক লোক তিনি নিশ্চয়ই অস্ত্র হাতে নুরু গং ভার্সেস ছাত্রলীগকে আক্রমণ করতে পারেন না।
৪। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একজন সরকারি কর্মকর্তা তাই তিনি সরকারের কাছে জবাবদিহি করবেন। নাগরিক সমাজ ও অভিভাবকের কাছে জবাবদিহি দিতে তিনি বাধ্য নন। উপাচার্য চাইলে নাগরিক সমাজ ও অভিভাবকের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নিতে পারেন।
৫। নাগরিক সমাজ ও অভিভাবক যারা স্মরকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন তাদের আয়করের পূর্ণ বিবরণ খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে এবং আয়করের সাথে ব্যাংক হিসাব, স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ডুয়েল চেক করার দায়িত্ব আয়কর কর্মকর্তার। এটি অবস্যই জরুরী, কারণ তারা স্মরকলিপিতে আয়করের কথা উল্লেখ করেছেন।
৬। সরকার কোনো নির্দিষ্ট দলের নন। সরকার হচ্ছেন “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার”। সরকার একটি দলের এই কথা উল্লেখ করার জন্য স্মরকলিপিটি বাজেয়াপ্ত হওয়া উচিত এবং স্মরকলিপি দাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
৭। নাগরিক সমাজ ও অভিভাবকগণ মিছিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রা্ঙ্গনে প্রবেশ করেছেন এবং মিছিল ও স্লোগান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিসে গিয়েছেন এর কারণ উল্লেখ করে লিখিত ব্যাখ্যা পেশ করার জন্য নাগরিক সমাজ ও অভিভাবকগণদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ে অভিভাবকগণ রাজনীতি করেছেন এটি অবস্যই অবস্যই আইনিভাবে খতিয়ে দেখা উচিত।
উপসংহার: - নাগরিক সমাজ ও অভিভাবকগণ কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নুরু গং প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন নাকি ছাত্রলীগের বিচার চাইছেন - এটি পরিস্কার নয়। নাগরিক সমাজ ও অভিভাবকগণ একবারো উল্লেখ করেন নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তারা ছাত্র রাজনীতি মুক্ত চান - এর অর্থ কি এই দাড়ায় তারা ছাত্রলীগ মুক্ত করে শিবির জামাত বিএনপির দখলদারী চাচ্ছেন - তাহলে নাগরিক সমাজ ও অভিভাবকগণকে বলতে হবে আপনারা ভুল পথে এগুচ্ছেন। আপনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গুন্ডা মাস্তানের ভূমি করতে চাইছেন - ছাত্র রাজনীতি মুক্ত নয়। এর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা অবস্যই সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নেবেন।
কৃতজ্ঞতা:- সামহোয়্যাইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ। নির্বাচিত পোস্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫২