ইসলামের প্রচলিত চার মাজহাবের অন্যতম একটি মাজহাবের প্রবক্তা ইমাম আবু হানিফা(র) এর নিয়ম হচ্ছে নামাজে সূরা পড়ার পরে মনে মনে ‘আমিন’ বলা। আর আরেক মাজহাবের প্রবক্তা ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল(র) এর মতামত হচ্ছে উচ্চস্বরে ‘আমিন’ বলা। তো একবার ইমাম আবু হানিফা(র) এবং তার অনুসারীরা কোন এক কাজে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল(র) এর এলাকায় যাওয়ার প্রয়োজন পড়ল। সফরের আগে তিনি সবাইকে উপদেশ দিলেনঃ দেখো, আমরা যাদের এলাকায় যাচ্ছি উনাদের মতামত হচ্ছে উচ্চস্বরে ‘আমিন’ বলা। সেখানে গিয়ে উনাদের সম্মানার্থে আমরা নামাজে উচ্চস্বরে ‘আমিন’ বলব যদিও আমাদের মত ভিন্ন। আবার এদিকে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল(র) তার অনুসারীদেরকে বললেনঃ দেখো আমাদের মতামত হচ্ছে উচ্চস্বরে ‘আমিন’ বলা। কিন্তু উনারা আমাদের সম্মানিত মেহমান, উনাদের সম্মানার্থে আমরা নামাজে উনাদের নিয়মে মনে মনে আমিন পড়ব! যেই কথা সেই কাজ। নামাজের সময় দেখা গেল এই দলের অনুসারীরা ওই দলের নিয়ম পালন করেন আর ওই দলের অনুসারীরা এই দলের নিয়ম মানলেন!
ভ্রাতৃত্ববোধের কি অনুপম নিদর্শন!
সহনশীলতার কি অসাধারণ উদাহরণ!
শবে বরাত আসছে, কিছু দিন পর রমজান আসবে । নামাজে নাভির উপরে হাত বাঁধা আসল তরিকা নাকি বুকের উপর হাত বাঁধা আসল, শবে বরাত কতটিকু বৈধ- বিদায়াত, তারাবীহ কয় রাকায়াত, টাকা নিয়ে খতম তারাবীহ পড়া উচিত কি উচিত না, কে কবে ঈদ পালন করল এসব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক বাদ দেন। দিন শেষে আপনিও মুসলমান, আমিও মুসলমান। সকল ইবাদতই এক আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আল্লাহ সবাইকে কবুল করবেন ইনশা আল্লাহ।
(উপরোক্ত ঘটনাটি কোন এক জুম্মায় ইমামের বয়ানে শুনছি স্মৃতি থেকে লিখলাম, সত্য মিথ্যা যাচাই করিনি। মোরালটাই ইম্পরট্যান্ট!)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:৫৫