কুখ্যাত সন্ত্রাসী রমেল চাকমাকে কেন্দ্র করে দেশপ্রেমী সেনাবাহিনী'কে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছেন উপজাতি সন্ত্রাসীরা। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে দেশদ্রোহী উপজাতি বিচ্ছিন্নবাদী সন্ত্রাসীরা। তাই সকল দেশপ্রেমীক নাগরিক উপজাতি সন্ত্রাসীদের সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার রুখে দিন।
হাস্যকর বিষয়- রমেল চাকমা নাকি নীরবচারী ছেলে। রমেল চাকমা হচ্ছে উপজাতি দেশদ্রোহী কুখ্যাত সন্ত্রাসী। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল খুন, গুম, হত্যা, চাঁদাবাজি ও খাগড়াছড়ি মহালছড়ি পণ্যবাহী গাড়িতে অাগুন দেওয়া সহ পার্বত্য চট্টগ্রামে এক ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীর নাম হচ্ছে রুমেল চাকমা।
উপজাতি সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন নিউজ সাইট, পত্রপত্রিকা এবং ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে সেনাবাহিনী কর্তৃক নাকি রমেল চাকমাকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি একেভারে হাস্যকর। পার্বত্য চট্টগ্রাম সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন থেকে সকল জাতিগোষ্ঠীর বসবাস করার মতো পরিবেশ তৈরি করার মতো কাজ করে যাচ্ছেন, অার সেই খানে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার। খুনের মতো অস্বাভাবিক মিথ্যাচার করা হচ্ছে। দেশরক্ষক সেনাবাহিনী রমেল চাকমার মৃত্যুর সাথে কোনভাবেই দায়ী নয়।
যেভাবে আটক হয়েছে সন্ত্রাসী রমেলঃ
নানিয়ারচর উপজেলায় দুইটি ট্রাকে আগুন দেবার ঘটনায় অভিযোগে গত বুধবার (৫ এপ্রিল) নানিয়ারচর বাজার থেকে রমেল চাকমাকে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। রমেল চাকমা পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)র নানিয়ারচর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এদিকে নিরাপত্তাবাহিনী আটকের পর নানিয়ারচর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে!
রমেলের মৃত্যুঃ
রমেলকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর বুকে ব্যথা অনুভবের কথা জানালে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) পুলিশ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
যেভাবে দাহ করা হলো সন্ত্রাসী রোমেলকেঃ
রমেল চাকমার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে নিরাপত্তা হেফাজতে দাহ করার প্রতিবাদে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রেখেছে রমেল চাকমা হত্যার প্রতিবাদ কমিটির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে সড়কের উপর গাছের গুড়ি ফেলে এই অবরোধ শুরু করেন তারা। তবে অনুসন্ধানে ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)র সাধারণ সম্পাদক রমেল চাকমার দাহ সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে পরিবারের কিছু সদস্যের উপস্থিতিতে দাহ কাজ শেষ করা হয় রমেল চাকমার বাড়ি নানিয়ারচরের বুড়িঘাট ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব হাতিমারা গ্রামে।
ইউপিডিএফ সমর্থিত ৩নং বুড়িঘাট চেয়ারম্যান প্রমোদ খীসা জানিয়েছেন, বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রমেল মারা যায়। পরে পুলিশ হেফাজতে লাশটি বুড়িঘাটে রাত আটটায় পৌঁছায়। তখন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল।
পরে লাশটি বুড়িঘাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার বাবুলের দোকানে লাশ রাখা হয়। পরে সকালে লাশটি রমেলের গ্রামের বাড়ি পূর্বহাতিমারা নিয়ে গিয়ে দুপুরে দাহ করা হয়। সেখানে তার পরিবারের অল্প কয়েকজন উপস্থিত ছিল।
৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে বৃষ্টি থাকার কারনে লাশটি আর গ্রামে আনা সম্ভব হয় নি। শুক্রবার সকালে তার তার গ্রামের বাড়ি পূর্বহাতিমারা নিয়ে দুপুরে পরিবারের কিছু সদস্য নিয়ে দাহ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়।
নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা ময়নাতদন্ত শেষে রমেল চাকমা লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা জন্য বুড়িঘাট পর্যন্ত নিয়ে যাই। কিন্তু প্রচুর বৃষ্টি থাকার করানে আমরা তার গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারিনি। তবে রমেল চাকমা লাশ যারা চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসে তাদের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আমরা চলে আসি।"
এবার আপনারাই বলুন এখানে সেনাবাহিনীর দোষ কোথায়?সেনাবাহিনী হচ্ছে দেশরক্ষক। সেনাবাহিনী শুধু বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিস্থাপনের জন্য নিয়োজিত নয়,সেনাবাহিনী সারাবিশ্বে মানবসেবায় নিয়োজিত রয়েছে,যাহা কারো অজানা নয়। দেশপ্রেমীক সেনাবাহিনীর সেনা অফিসার তানভীর কে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করতেছে দেশদ্রোহী উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত উপজাতি সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর উপর হামলা ও দেশের বৃহত্তম
জনগোষ্ঠী বাঙ্গালীর উপর বিভিন্ন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে এর কোন প্রতিকার নেই। অথচ রমেল চাকমা স্বাভাবিক মৃত্যু কে অস্বাভাবিক করে উপজাতি সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনী কে পাহাড় থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য অপপ্রচার করছেন।
প্রতিনিয়ত পাহাড়ে সাধারণ উপজাতিদের খুন,গুম,হত্যা নির্যাতন করা হয় এসব বিষয়ে বাংলাদেশের মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ করে না। কিন্তু একটা ভূয়া মিথ্যা ভুলে ভরা রমেল চাকমার স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে দেশপ্রেমী সেনাবাহিনী নিয়ে বিতর্কিত শুরু করে দিয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে রমেল চাকমার হত্যা,অত্যাচার ও নির্যাতনে শুধু বাঙ্গালীরা অতিষ্ঠ নয় সাধারণ উপজাতিরা এই রমেল চাকমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন।
রমেল চাকমা ছিলেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের একজন অস্ত্রধারী সশস্ত্র ক্যাডার। খাগড়াছড়ি মহালছড়ি পণ্যবাহী গাড়িতে রমেল চাকমা প্রকাশ্য অাগুন দিয়ে হামলা চালিয়েছে এইটা সকলের জানা। সেনাবাহিনী কে নিয়ে বিতর্ক নয়, উপজাতি সন্ত্রাসী রমেল চাকমার চাঁদাবাজি ও অস্ত্রবাজির কাহিনী জাতির কাছে তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করছি।
উপজাতি সন্ত্রাসীদের উদ্দ্যৈশ হচ্ছে পার্বত্য অঞ্চল থেকে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে চাপ দিয়ে সেনাবাহিনী সরিয়ে ফেলা। কারণ সেনাবাহিনীর জন্য উপজাতি সন্ত্রাসীরা অাজ পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন ও অালাদা রাষ্ট্র গঠন করতে পারচ্ছে না। সেনাবাহিনী পাহাড়ে রয়েছে বিদায় অাজ পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সাথে যুক্ত রয়েছে এবং পার্বত্য বাঙ্গালীরা পাহাড়ে বসবাস করতে পারছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৫