বিশ্বপরিমন্ডলে কোন নাগরিক যখন আরেক দেশের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেন তখন দুটো ব্যাপার কাজ করে। এক.যদি ওই দেশদ্বারা নিজে দেশ ক্ষতি গ্রস্ত হয় দুই. আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ওই দেশ দ্বিতীয় কোন দেশকে অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ইসরাইল নিয়ে এরকম উষ্মা প্রকাশ যে কেউ করতে পারেন বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত দেশে। এর প্রধান কারণ- ফিলিস্তিন দেশটার প্রতি অর্ধশতকেরও বেশি অত্যাচার এ দেশটা করে যাচেছ........... আবার যদি এটা বিবেচনায় আনেন তাহলে গণতন্ত্রকামী ফিলিস্তিন যখন স্বয়ং মধ্যপ্রাচ্যের বাকি বড় মুসলিম যাদের আচরণ ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র এর মত যারা কিনা চায় না একটা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হোক। তাহলে ভিন্ন কথা আপনি ভাবতে পারেন। এজন্য একটা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য কোন মুসলিম দেশ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এই ফিলিস্তিনের জন্য কিছু করেনি। এমনকি বাংলাদেশ সে তালিকায় আছে। অথচ শুধু মুসলিম সাইডবোর্ড দিয়ে বিশ্বমন্ডল ঘুরতে চায়।যখন জাতিসংঘের অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষে্ট্রর জন্য যখন প্রস্তাব আনা হয় তখন কোন মুসলিম দেশ তা আনেনি। খ্রিষ্টান রাষ্ট্রগুলোই তা করেছে তা মানবিক গণতন্ত্র সবসময় পোষণ করে।এই সব প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ ভোট দেয়নি কেন? বড় মুসলিম দেশকে খুশি করার জন্য। এক্ষেত্রে বিশ্বমানবিক মর্যাদায় এক দেশে অপর দেশের প্রতি দাঁড়াতে পারছিনা।তাহলে এ বাঙালির কাম কি শুধু শুধু ইসরাইলের বিরোধিতা করা...............।।
সে আলোচনাকে যদি ধর্তবে্য আনি তাহলে ইসরাইল রাষ্ট্রকে ঘৃণা করার মত কিছু দেখছি না ।প্রথমত ইসরায়েল এর সাথে বাংলাদেশের কোন রকম যোগাযোগ নেই কেন ।ইসরায়েল কি পাকিস্তানের মত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বা অন্যকোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। করেনি। আরেকটা কথা বিশ্বপরিমন্ডলে যদি এরকম হয় সব দেশ সেবদেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে তা কি আমরা করেছি?? করিনি। বাংলাদেশের সাংবিধানিক স্লোগান হল “ কোন দেশের সাথে শত্রুতা নয়” তাহলে বাংলাদেশ কেন ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেনি।স্রেফ -- ধর্মীয় ধান্দা আর বড় মুসলিম দেশকে খুশি করার জন্য।
আজ এক অনলাইন পত্রিকার খবর অনুযায়ী যারা মোসাদের সাথে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীলতা কথা বলছেন তা একটু অবাকই লাগল। এখানে ও বলা যায় বেশিরভাগ অনলাইন পত্রিকার মান অনেকটা লাইনমারা প্রেমের মত।মানহীন,ক্লেদাক্ত !! নব্বই দশকে ব্যক্তি উদ্যেগে গুটি কয়েক বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ইসরায়লের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন।তখন জাতীয় পত্রিকা গুলো ওইসব ব্যক্তির ওপর নানাভাবে আক্রমণ করে নিজেরাই বিচারক সেজে বসেছিলেন যে, যেহেতু মুসলিশ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারেনা ।সেই প্রাচীন বর্বর অজুহাত। পৃথিবীতে যেকটা তালিকাবদ্ধ মুসলিম দেশ আছে তার বেশিরভাগ দেশের সাথে নানাভাবে হোক ব্যবসায়,হোক কূটনীতিক ভাবে যু্ক্ত আছে।
যাই হোক এ প্রসঙ্গ টেনে আনার কারণ বিএনপির চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীর গ্রুপ ছবি দেখে বলে দিলেন বাংলাদেশে মোসাদ ঢুকে পড়ছে,ষড়যন্ত্র হচেছ,অমুক হচ্ছে আর তমুক হচ্ছে। নিজেরাই যেখানে বিকারগ্রস্ত তখন ডাক্তার হিসেবে মেডিকেলের কথা না ভেবে হাসপাতাল তৈরির চিন্তা করার মত ব্যাপার। এগুলো বলে ব্যক্তিগত ব্যবসায়ী উদ্যেগকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার একটা প্র্য়াস এর আগেও দেখেছি,এখনও দেখছি। আসলে এসব পত্রিকা বা ব্যক্তির নিজেদের হেফাজতি ধারণার বাইরে যেতে পারেন না। ঘুরে ফিরে এই হেফাজত চক্র!!
শুধু ব্যক্তি আসলামের কথা যদি বলি, যতটুকুন ধারণা আছে... তিনি কি একজন প্রকৃত ব্যবসায়ী!! তাহলে বলব না। কেননা ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি যে ব্যবসা করতেন বা এখনো করেন সে ব্যবসাগুলো ঠিক গুছানো ব্যবসা না,ইন্ডাস্ট্রিলিইজেশনের যে মাজেজা বা শানেনজুল এসবের কিছুই তার ব্যবসায় পরিলক্ষিত হয়না। আরেকটা কথা না বললেই নয়, ব্যাংক থেকে শতশতকোটি টাকা লোন নিয়ে খেয়ে ফেলার যে দরবেশীয় নীতি এদেশে চলছে তার একজন খাঁটি মুরিদ তিনি !! সে হিসেবে প্রকৃত ব্যবসায়ী বলতে যা বোঝায় তা তিনি নন।এসব অন্যকথা তা্ ইসরাইলের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকে অবশ্য স্বাগত জানানো উচিত।আর যদি রাষ্ট্রীয় পযার্য়ে যদি তা হয় তো আর ও ভাল। কিন্তু বেহেশতে যাওয়া বাংলাদেশের কতদূর ???