৪/৫ বছর আগে আমি চট্টগ্রামের বহদ্দার হাট হতে আগ্রাবাদ যাওয়ার জন্য বাসে উঠি,সামনের সিটে জায়গা পাই।আমার পাশের সিটে একজন যুবক বসে,তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কারো সাথে মোবাইলে কথা বলছিলেন।বাস মুরাদপুর আসার পর এখানে ৭-৮জন ইউনিভার্সিটি যুবক বাসে উঠে,তারা বেশ তারাহুরা ও দাপটের সাথে উঠায় আমার পাসের লোকের পা তারা মারিয়ে দেয়।বলতে নাই দোষটা তাদেরই।কিন্তু লোকটা তাদের এ নিয়ে বলায় তারা বাহাসে লিপ্ত হয়।তারপর ২নং গেটে নামার সময় লোকটা যখন কেবল সিড়ি দিয়ে নামছে,এসময় যুবকদের একজন লোকটির পাছায় হাল্কা লাথি লাগায়।তাতে লোকটি স্লিপ করে।এবং বাসে পালটা উঠে দাবী করে যে কেনো লাথি মারা হলো।যে যুবক লাথি মেরেছে,সে দাবি করে লাথি নয় আমি পা নড়াচড়া করার সময় এটি ঘটেছে।উল্লেখ্য উভয় পক্ষ ফ্রি স্টাইল ছাপার অযোগ্য গালাগালি করছিলো।
এবার লোকটি সরাসরি আমাকে জিজ্ঞেস করল,আমি তো অন্তত দেখেছি লাথিটা,বাসের হেল্পার ও দেখেছে,তাই আমি বললাম-হ্যা সে আপনাকে লাথি মেরেছে।আশ্চর্য যে ,সে মুহুর্তে যুবকটির চুল চেপে ধরে এমন কিল আর ঘুসি লাগায় যে,আমরা হতবাক হয়ে যায় তার শারররিক শক্তি দেখে।এমনকি চুলের গোছা ছিড়ার আওয়াজ পর্যন্ত পাই।বাস ড্রাইভার বাস চালানো শুরু করলো ঝামেলা দেখে।কারন আরো দুইজন মারামারিতে অংশ নেয় লাথি খাওয়া লোকের পক্ষে।বাসের পিছ থেকে ভার্সিটি যুবকেরা সামনের যুবকের সাহায্যে এগিয়ে আসার আগেই পিটানো লোকগুলো নেমে পড়ে চলন্ত বাস থেকে।তারা দৌড়ে চলে যায়।
এবার সবগুলো যুবক বলে ,দাড়া অগুলোকে ধরতে পারি নাই তো কি হয়েছে?বাসে দালালী করেছে যে শালা তাকে তো পাইছি।তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছিলো,এর পর তারা সবগুলো মিলে যখন সামনে আসছিলো আর বলছিলো,চুদানির পুয়ারে ধর।আমি তখন জান ও প্রান বাচানোর জন্য হুঙ্কার দিয়ে বলে উঠলাম,খবরদার সারমেয় সন্তান ও বারবনিতার সন্তানেরা(ভাই ওরা আমাকে অনেক খারাপ গালি দিতেছিলো,তাই আমিও পালটা দিলাম না পারতে)গায়ে হাত দিবি তো রানে রান টেনে ছিরে ফেলবো,আমারে চিনস(আমার গলা শুনে আমিও অবাক হয়ে গিয়েছিলাম)।তারা এক মুহুর্ত থমকালো।কিন্তু পরমুহুর্তে সকলে কুটিলভাবে হেসে উঠলো(আমি বুঝলাম শয়তান তাদের মাথায় ডিম পেরেছে)।কিন্তু ততক্ষনাত শয়তান যুগপত আমার মাথায় ও ডিম পেরেছে এবং টেনসনে তাদের আগে আমার মাথার ডিম ফুটে বাচ্চা আগে বেরিয়ে পড়ে।আমি তাদের বললাম দেখ,ঠিক এই জায়গায় লোকটি দাড়িয়ে ছিলো আর এই যুবকটি,যাকে আমি রান ছিড়ার হুমকি দিয়েছিলাম,ছিলো ---এইখানে বলেই আমি চলন্ত গাড়ি থেকে একলাফে নেমে আমার ঘোষনাকৃত ছিড়া রানটুকু তার পায়েই রেখে আমার নিজের রানগুলা নিয়ে প্রানপনে ১০০ মিঃ স্প্রিন্টার রান দেওয়া শুরু করলাম।কমপক্ষে ১ কিঃমিঃ এর আগে আর দাড়াই নাই।
ভাই এটা আমার আজকে মনে পড়লো।কাউকে কখনো লজ্জায় বলি নাই।আপনাদের ও বলি রাস্তাঘাটে খুব সাবধানে থাকবেন।কখন কার ঘাড়ে কোন বিপদ আসে বলা যায় না।