“আমার পুরস্কার হলো ভবিষ্যত,
আমার পুরস্কার হলো মুক্তি,
আমার পুরস্কার হলো নরক।
প্রার্থনা শেষ করে ফিস ফিস করে বললাম আমিন... তারপর ঝাঁপ দিলাম শূন্যে।”
নিছক একটা কল্পনা।মৃত্যুকে বরন করার মত ইচ্ছা,শক্তি,সাহস কোন কিছুই ছেলেটির নেই।নিজের অস্তিত্বই আজ তার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। বুকের ক্ষত, মনের গাঢ় জখম নিয়ে তার পথ চলা।
আজ সে ভাল না লাগার রোগী।তার এখন দুনিয়ার কোন কিছু ভাল লাগে না।যাকে ভাল লাগত, সেও আজ তার রোগের রোগী।
হয়তো এটাই তার পাওনা।দোষটা তার নিজের।নিজের উপর বিশ্বাস উঠে না গিয়ে কি করবে?
সে ভালবেসেছে।মেয়েটিকে ভালবেসেছে।
সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হল ভালবাসার মানুষের হঠাৎ করে বদলে যাওয়া।
যে মানুষটা দিনে রাতে হাজার এস.এম.এস দিত।সময় সময় উত্তর না দিলে রাগ করত,অভিমান করত।
সে মানুষটার আজ তার এস.এম.এস এর উত্তর দেওয়ার সময় নাই।
যে মানুষটা তার “হ্যালো” শোনার জন্য চুরি করে ফোন দিত।
আজ তার কল দেওয়ার সময় নাই।
ছেলেটার কথা শোনার মত ফুরসত নাই।
সে অনেক ব্যাস্ত।
ছেলেটি জানে মেয়েটিও ভালবাসে,তবে ও সেটা কখন ও অনুভব করেনি, করবে ও না, তাই ইচ্ছাকৃতভাবে কোন অভিযোগ না করে ,ওর কাছ থেকে সরে আসার অনেক চেষ্টা করেছে পারেনি।
অনেক মায়া জমে গেছে।
ছেলেটির খুব বলতে ইচ্ছা হয় “আমি তোমাকে ভালবাসি।কেন ভালবাসি তার কোন উত্তর আমার কাছে নাই।আমি জানি তুমিও আমাকে ভালবাস।কিন্তু প্রকাশ করনি।তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন গড়ি।জানি তুমি আমার চাঁদের বুড়ি।”
কিন্তু কোনদিন আর বলা হল না।
তবুও সে স্বপ্ন দেখে আবার আপন করে পাওয়ার।ভালবাসার মানুষটাকে নিজের মনে করার।
মেয়েটাকে তার চাই।বাস্তবে না হোক কল্পনাতেই সই।
তাই এখনো তার কল্পনার গল্প বোনা,
এখনো চার পাশে তার অস্তিত্ব,
সে আজো মেয়েটার হাতে স্পর্শ তার হাতে অনুভব করে।কেননা সে হাতে হাত রেখে বলেছিল।বলেছিলে তাকে ছেড়ে যাবে না।
এখনো বাতাসে তার চুলের গন্ধ পায়।
বেশি কোন স্মৃতি নাই ছেলেটির কাছে কিছু পুরনো এস.এম.এস ,কিছু ছবি, আর ১০০টাকা একটা নোট।
যখন কষ্ট চরম সীমায় যায়,
পুরনো মেসেজ পড়ে একটু হাসে একটু কাঁদে,
আবার ছবিটা বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
ফাঁকা রাস্তায় নিজেকে একা মনে হলে সে হাতে এই ১০০ টাকার নোট টা ভাজ করে শক্ত করে ধরে হাটে।
হাজার হোক তার হাতের স্পর্শ তো আছে নোটটাতে।
রাতে কবিতা লেখে,
কালো মেঘের কুন্ডলি পাকায়,
আর ভাবে “আর যাই হোক, আমার ভালবাসা ভুল না।আমার আবেগ ভুল না।আমি ভালবাসি আমার ইচ্ছায়।যদি অপরাধ হয় তবে আমি শাস্তি পেতে প্রস্তুত।”
(প্রথমের কয়েক লাইন ড্যান ব্রাউনের ইনফার্নো থেকে নেওয়া)