কিছু বছর আগের ঘটনা।
আমার আম্মু আব্বু পারিবারিক কাজের জন্য বাসার বাইরে ছিল। বাসার বারান্দায় আম্মুর এক শখের বাগান ছিল।
যাওয়ার সময় আমাকে বলে গেল “গাছে ঠিক মত পানি দিস।”
আমিও বললাম “আচ্ছা দিব।” যা আচ্ছা দিব পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল।২দিন পানি দেওয়ার পর আর মনে নাই।
আম্মু ১১ দিন পর বাসায় এসে তার বাগানের আবস্থা দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল।অনেক গাছ মারা গেছে, কিছু কিছু বেচে আছে। আম্মু তারপর যত্ন নিয়ে সেগুলো আবার আগের মত করল।আবার ফুল ফোটে।ফুলের সৌরভ ছড়ায়।আর আমি বকা খাই।
এই গল্প বলার কারন জানেন।
অবহেলা বোঝানো।
অনেকে আছেন, যারা যানেন যে তাদের একজন অনেক ভালবাসে।দিনে রাতে তার খোজ নেয়। তার খাওয়া, না খাওয়া, তার আসুখ বিসুখ, মনের অবস্থা সেই মানুষটার কাছে অনেক কিছু।কিন্তু তার ভালবাসার মুল্য নাই। জানে বুজেও তাকে ঝুলিয়ে রাখছেন। অবহেলা করছেন।
তারা আপনাকে ভালবাসে এইটা তাদের দূর্বলতা না।ভালবাসা যদি একবার ঘৃণায় রুপ নেয় তাহলে আর ফেরানো সম্ভব না।
সেই সব মানুষগুলো আপনাকে আপনি যেমন তেমন ভাবেই ভালবাসে।তার কি বেশি কিছু চায়?
না। বাগানের টবের গাছে যেমন পানি ছাড়া আর কিছু দিতে হয় না। তেমনি তারাও শুধু ভালবাসা চায়। ভাল ব্যাবহার চায়।
আপনার এত অবহেলার মধ্যেও সে আপনার পাশে আছে। নির্লজ্জের মত খোজ নেয় আপনার। এর চেয়ে আর কত বড় প্রমান চান।
এই ভাবে ঝুলিয়ে না রেখে বলে দিন “তোমাকে আমার দরকার নাই।তোমার কথা আর ভাল লাগে না।চলে যাও আমার জীবন থেকে।”
দেখবেন সে চলে যাবে।কারন এতদিন সে কেদেছে এখনো সে কাঁদবে।কিন্তু সে ধুকে ধুকে মরবে না।
কিন্তু যদি তাকে ভালবেসে থাকেন তাহলে আজই ভাল ব্যাবহার শুরু করুন।
কারন আপনার আবহেলা হতে পারে একজন মানুষের ভালবাসার মৃত্যুর কারন।
ফুল গাছ মারা যাওয়াতে আমি তো তাও আম্মুর বকা খাইছি। কিন্তু তার ভালবাসা মারা গেলে আপনি সারাজীবন নিজেকে বকবেন।
রাতে কান্না করবেন।
হয়তো মরে যেতেও ইচ্ছা করবে।
কি পারবেন তখন তার অবহেলা সহ্য করতে?
{ আপনার ভালবাসার ফুল এখনো অবহেলার ছাগলে না খেয়ে থাকলে তাকে ভালবাসার পানি দিন।কথা দিচ্ছি ফুল ফুটবেই।}