somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইন্নিকুলটা

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




প্রচন্ড শব্দ, শব্দটা আসলে মেজাটাদের কানে পৌঁছায়নি, তাদের শব্দ শোনায় যে একটা ছোট্ট কমতি আছে। আসলে শব্দটা পুরো হাইরেকিওবানই শুনতে পায় নি, হাইরেকিওবানদের পক্ষে এতো বেশি হার্টজের শব্দ শোনা সম্ভব নয়। তবে হাইরেকিওবার শুধুমাত্র একটি জাতিই বুঝতে পারলো এই মাত্র কি হলো।
- "মেক্লোনাকেলি ভোফিয়ান্নো ইন্নিকুলটা!" (শয়তানরুপী হাসি দিয়ে গানাক্লাটানদের ভাষায় বললো রেক্নাটা)
- "কিউনালিওটা না ফাইমেন্নিকো রা কা হাইরেকিওবা? নিয়ামা হাইরেকিওবাক টিমোসিকা ইনো ডি মেজাটা ফা? " (কৌতুহলি দৃষ্টিতে রেক্নাটার দিকে তাকিয়ে তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু নিনাকো বললো)
- হা হা হা হা (রেক্নাটার অট্টহাসি তে নিনাকোর কেমন যেনো অশ্বস্তি বোধ হয়)
হাসির পর হঠাৎ নীরবতায় "ইএফএস কিনশাসা"য় কেমন যেনো একটা থমথমে ভাব দেখা যায়।
মুহূর্তেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় একটি জাতি। সাথে সাথেই হাইরেকিওবা তে প্রবেশ করে হাজার হাজার গানাক্লাটান স্পেসশিপ। শুরু করে হত্যাযজ্ঞ, জীবিত রাখছে না কোনকিছুই। তাদের উদ্দ্যেশ্য, পুরো হাইরেকিওবা কে একটি বিস্তীর্ণ সমভূমি বানানো যেখানে একটিও হাইরেকিওবান থাকবে না। গড়ে উঠবে গানাক্লাটানদের নতুন বসতিস্থান।
- *অনেকদিন এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। হাইরেকিওবা এর ওই জাতির সংখ্যা কিছুটা কমার অপেক্ষায় ছিলাম। ওই একটা জাতির জন্য আমরা হাইরেকিওবাতে নিজেদের স্থান বানানো দূরের কথা, প্রবেশই করতে পারছিলাম না। হাইরেকিওবারই অন্য এক জাতি, মেজাটা আমাদের সে সুবিধা করে দিয়েছে। হা হা হা হা নিজের অজান্তেই তারা নিজেদের ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছে। যাই হোক, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমাদের পরবর্তি কাজ হচ্ছে হাইরেকিওবাতে যা আছে সব ধ্বংস করে আমাদের নিজেদের থাকার যোগ্য করে তুলতে হবে।* (বলেই কোন উত্তরের আশায় নিনাকোর দিকে তাকায় রেক্নাটা)
- *আমরা কি অন্য কোন গ্রহে যেতে পারি না? এখানে তো তারা গুছিয়ে নিয়েছে সব, আমরা এভাবে ধ্বংস করে দিবো?* (করুন স্বরে বলে নিনাকো)
- (প্রচন্ড রেগে গিয়ে) *না! অন্য গ্রহ গুলোতে অন্য জাতিরা কম হোক আর বেশিই হোক, নিজেদের বাচিঁয়ে রাখতে শিখেছে, তাদের সৃষ্টি অল্প বলেই কি তুমি তাদের তুচ্ছ বলছো? তারা যত অল্পই সৃষ্টি করুক, তারা সেটাকে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে রক্ষা করছে, অন্যদিকে হাইরেকিওবানেরা? তারা কি করছে? নিজেরাই যা তিলে তিলে গড়ে তুলেছে নিজেরাই তা ধ্বংস করছে! সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ, তারা তাদের মহামূল্যবান ইন্নিকুলটা জাতি টা কে ধ্বংস করছে যা তাদের জন্য ছিলো সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ। তারা এমনিতেও বেশিদিন টিকতো না। এর চেয়ে ভালো, আমরাই হাইরেকিওবা দখলে নিয়ে একে আরো সুন্দর ভাবে গড়ে তুলে আমাদের থাকার ব্যাবস্থা করবো।*
- *একদিক দিয়ে তুমি ঠিকই বলছো রেক্নাটা, তবে তাদের জন্য খারাপ লাগছে আমার, আমার মনে হচ্ছে আমাদের এমনটা করা উচিৎ হচ্ছে না।*
- *চুপ থাকো তো নিনাকো। তুমি বুঝবে না। হাইরেকিওবানদের মত দেখছি তোমারও অনুভূতিই সব হয়ে দাড়িয়েছে।*
- *তেমনটা না রেক্নাটা। আচ্ছা আমি এ ব্যাপারে আর কিছু বলছি না। গানাক্লাটানদের খুশিই আমার খুশি। যা ভালো মনে হয় করো*
- *খারাপ ব্যাবহারের জন্য দুঃখিত।*
সময়টা ঠিকভাবেই যাচ্ছিলো, যতদিন স্টাভো আর ইলেইনা একলা ছিলো।
খুবই সুন্দর ছিলো নীলাভ বর্ণের গ্রহটা। ওদিকে হাইরেকিওবা ছিলো আরো সুন্দর।
তাদের পরিবারে আরেকজন আসার পর থেকেই মেজাটাযুগের সমাপ্তির শুরু। হাইরেকিওবানদের দৃষ্টিতে রেক্নাটার সাথে স্টাভো আর ইলেইনার যে সম্পর্ক চোখে পড়ে তেমনটা মোটেও নয়।
রেক্নাটার জন্মের সাথেই গানাক্লাটার ভালো দিনের শুরু। তার জন্মের সময় গানাক্লাটার কেই বা জানতো যে এই একজন গানাক্লাটানই তাদের বিগত হাজার হাজার শতাব্দীর সমস্যার সমাধান করবে।
খুবই সুন্দর একটা গ্রহ, গানাক্লাটা।
তবে একটাই সমস্যা গ্রহটার, গানাক্লাটানদের জন্ম স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়ায় হয় না, প্রাকৃতিক নিয়মেই গানাক্লাটার আবহাওয়ার বিভিন্ন পদার্থের সংমিশ্রণে একইসাথে মুহূর্তেই হাজার হাজার গানাক্লাটানের জন্ম হয়, বহু বছর ধরেই সুবিশাল গানাক্লাটায় এই সমস্যার কারনে স্থানসংকুলান সমস্যা চলছে।
এত সমস্যার মধ্যেও তারা গানাক্লাটার এতটুকুও ক্ষতি করেনি। এখনো এ গ্রহের সৌন্দর্যের একটুও কমতি হয় নি। তবে অনেক কাল ধরেই তারা নতুন স্থানের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিশাল সংখ্যাকে স্থান দেওয়ার জন্য। অনেক খুজে তারা মনের মত গ্রহ হিসেবে হাইরেকিওবাকেই বেছে নিলো। আর এবারের অভিযানের প্রধান, রেক্নাটা।
হাইরেকিওবার একটা জাতিই গানাক্লাটানদের জন্য সমস্যার প্রধান কারন হয়ে দাঁড়ায়, "ইন্নিকুলটা"।
অনেক কাল ধরেই হাইরেকিওবা গানাক্লাটানদের টার্গেটে ছিলো, কিন্তু এই ইন্নিকুলটাদের জন্য তারা কিছুই করতে পারে নি। ইন্নিকুলটা যে উপাদান দিয়ে তৈরি, আর ইন্নিকুলটার নিঃশ্বেসিত একটি বিশেষ পদার্থ, যা সম্পর্কে মেজাটারাও পরিচিত নয়, তা গানাক্লাটানদের জন্য ভয়াবহ এক বিপর্যয়।
তবে তারা অপেক্ষায় ছিলো সে সুবর্ণ সুযোগের।
গভীর পর্যবেক্ষনে রেখেছিলো হাইরেকিওবানদের। হাইরেকিওবানরা বিশেষ করে মেজাটারা নিজেরাই ইন্নিকুলটা জাতি কে ধ্বংস করতে থাকে আস্তে আস্তে আর সে অপেক্ষাতেই ছিলো রেক্নাটা আর তার বন্ধুর বিশেষ টিম। রেক্নাটার তৈরি যন্ত্র টার পক্ষে সম্ভব ছিলো না একসাথে এত ইন্নিকুলটা ধ্বংস করা, তাই তারা অপেক্ষায় ছিলো কখন ইন্নিইকুলটার পরিমান রেক্নাটার যন্ত্রের ক্ষমতার কাছাকাছি আসবে।
একটা সময় ছিলো, যখন হাইরেকিওবানদের কে এই ইন্নিকুলটা জাতি সব দিয়েছিলো, এদের উপরে নির্ভর করেই বেচেঁ ছিলো তারা।
কিন্তু তারা এর মর্ম বুঝেনি, রক্ষা করতে পারলো না ইন্নিকুলটা দের, নিজেদের ধ্বংস তারা নিজেরাই ডেকে আনলো।
রক্ষা করতে পারলো না হাইরেকিওবা কে, গানাক্লাটানদের হাত থেকে।
- *ধ্বংস করে দিয়েছি গাছগুলো* (শয়তানরুপী হাসি দিয়ে গানাক্লাটানদের ভাষায় বললো রেক্নাটা)
- *এখন কি আমরাও পৃথিবীতে থাকতে পারবো? কিন্তু পৃথিবীর মানুষগুলোর কি হবে?* (কৌতুহলি দৃষ্টিতে রেক্নাটার দিকে তাকিয়ে তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু নিনাকো বললো)
- হা হা হা হা (রেক্নাটার অট্টহাসি তে নিনাকোর কেমন যেনো অশ্বস্তি বোধ হয়)
হাসির পর হঠাৎ নীরবতায় "ইএফএস কিনশাসা"য় কেমন যেনো একটা থমথমে ভাব দেখা যায়।
(Written by Zilan Mohammad Noor (Supto))
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:১৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মত প্রকাশ মানে সহমত।

লিখেছেন অনুপম বলছি, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৭

আওয়ামী লীগ আমলে সমাজের একটা অংশের অভিযোগ ছিলো, তাদের নাকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই। যদিও, এই কথাটাও তারা প্রকাশ্যে বলতে পারতেন, লিখে অথবা টকশো তে।

এখন রা জা কারের আমলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্নমর্যাদা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

রেহমান সোবহান একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার। রেহমান সাহেব এমন একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন যা খুব নির্জন এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে যাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প বলেছে, বাংলাদেশ পুরোপুরি এনার্খীতে, তারা মাইনোরিটির উপর অত্যাচার করছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬



৩ দিন পরে আমেকিকার ভোট, সাড়ে ৬ কোটী মানুষ ভোট দিয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যে; ট্রাম্পের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৫১ ভাগ। এই অবস্হায় সনাতনীদের দেওয়ালী উপক্ষে ট্রাম্প টুউট করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে ।
...বাকিটুকু পড়ুন

×