চিরঅন্ধকার আসে নিজেরই মুখ চিরে। আমরা পাশাপাশি বসে আছি, বহু দূরে একটি আকাবাকা পথ আমাদেরই কথা যেন সর্পিলভাবে বলে যাচ্ছে। এখানে ঘড়ি নেই। তাই সময় চিহ্নিত আলোও নেই।
ধরা যাক রাত্রি:
আমি কি মীন বা কেতুকে পাহারা দিচ্ছি? তাহলে কি তোমাদের এই ভোজসভায় এসে বোঝা যাবে আমার অনুপুযুক্ততা। পাশে কোনো পশু এসে দাঁড়িয়েছে: পা থেকে রক্ত ঝরছে। নিজেই অবাক হয়ে নিজের চুইয়ে পড়া রক্তকে দেখছে। আমরা পথটির দিকে চেয়ে আছি।
কোথাও ঢুলি বাজছে।
ধরা যাক বিকেল:
বহু উল্লাসধ্বনি ফেলে এসেছি। কত উপকথা আর অশ্র“ ফেলে ঐ সূর্য গড়িয়ে নামছে। এখন গোধুলি, কোন কোন পাতার রং লাল। কিরকম ভার নিয়ে রেলগাড়ি যাচ্ছে। এমন অবিমৃষ্যকারিতায় বিহ্বল আমি কথার তোরঙ্গ খুলে বসেছি।
রাস্তায় উন্মাদের গানের মাঝে ছায়া আর চিরঅন্ধকার দোদুল্যমান।
রাস্তায় উন্মাদের গানের মাঝে ছায়া আর চিরঅন্ধকার দোদুল্যমান।
এর মাঝেই পাখি ডাকছে, ছাত্রেরা বাড়ি ফিরছে। একটি আপেলের মাঝখান থেকে গড়িয়ে নামতে থাকা আভা যেন আরো রক্তবর্ণ হয়ে উঠছে। এর নামই কি গান, আলোর সাথে সাথে নাচছে, নিভে যাচ্ছে!