১.
সে এখনও ফোন করে, ‘কেমন আছো ?’, এই প্রশ্নের সমীপে আমি দেখি এক হীনবল উন্মাদ মাটি আঁচড়াচ্ছে। পাশে গিয়ে যতই খেদাতে চাই তাকে, ঘন কোনও ইশারায় মাটি আঁচড়ানোর ভঙ্গি ততই জানান দেয়— নিজের স্মৃতির ভার লঘু করার জন্যে প্রয়োজন কিছু স্মৃতি মাটি চাপা দেয়া।
সে এখনও চিঠি লিখে, সে চিঠির ভাষা আর অদ্ভুত রসায়ন আমার কি কোনওদিন বোঝা হবে? আমি কি উত্তর দেবো ভেবে উন্মাদের সমীপে দাঁড়াই। দেখি, সমস্ত স্মৃতির তলে ধীরে ধীরে তার চাপা পড়া দেহখানি গর্ত খুঁড়ছে
২.
ততটা সময় থাকি, যতক্ষণ এ-প্রকারে শীত থেকে যায়। দূরে এক সান্ধ্যসংগীত বাতাসে ভাসমান, ঘোরগ্রস্ত বোগেনভেলিয়ায় গিয়ে শেষ হয়। বোগেনভেলিয়ায় গিয়ে শেষ হলো তাই আজ ছায়ার-প্রহার
নিরুদ্ধ শিখার সাথে বিনিময় হয় তাই ডালিম-দানার রক্তপ্রাণ। বিনিময় হয়- কালো গোলাপের দেশ। যে আকাশ উভকামী পাখি থেকে রচনা করেছে আজ ত্রস্ত তটরেখা। যা সুদূর, স্বপ্ন পরাভূত। যে তোমাদের মর্মসহ টেনে আনে জলে, প্রহসনে- এতোদিনও দুইটি সন্দিগ্ধ হাত যার যার মুদ্রায় বারবার বিভ্রান্ত হয়েছে
এখানে শীতেরা তাই চলতি সময়গ্রন্থি, সসম্মানে, উপেক্ষা করেছে