খিচুড়ি হচ্ছে বৃষ্টির দিনের জাতীয় খাদ্য,সকালে ঘুম উঠে তাই তিনপ্লেট খিচুড়ি সাবাড় করলাম। চা ছাড়া এমন দিন জমে, একবার নয়, চাই বার বার, সাথে মুড়ি, চিড়াভাজা,চানাচুর। ভার্সিটি লাইফের বৃষ্টির দিনে হলে বসে বন্ধুদের সাথে তাস পেটাতাম আজ তেমনি তাস পেটাতে খুব ইচ্ছা করছে কিন্তু সম্ভব নয় । ছোট বেলার সেই লুডু খেলাও কম মজার ছিল না। এখন ইচ্ছা করলে নেটে লুডু তাস দুইটাই খেলতে পারবো, কিন্তু সেই খেলার সাথে কি এই খেলার কোন তুলনা হয় না। চারজন প্লেয়ার আরো কয়েক দর্শক কি মজার ব্যাপার, নেটে লুডুস্টার এ কি সেই প্রাণ আছে? কাগজ ছিঁড়ে চোর, ডাকাত পুলিশ খেলাও একটা মজার খেলা ছিল না । এসব খেলায় জেতাটা একটা দারুণ আনন্দের ব্যাপার ছিল। সেই আনন্দের ছিটেফোঁটাও কি এইসব ইন্টারনেট গেম দিতে পারবে?
কাগজের নৌকো বানিয়ে বৃষ্টির জলে ভাসিয়ে দেওয়া এবং নৌকো বৃষ্টিরজলে নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত সেদিক তাকিয়ে থাকা। দাদী নানীর কাছে কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে গল্প শুনতে দারুণ লাগতো । স্কুলে গেলে বৃষ্টির দিনে সাধারণত ক্লাশ হতো না স্যাররা রোলকল করা হলেই গল্প করতেন আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মত গল্প শুনতাম।
ইস কি সুন্দর ছিল দিনগুলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫১