আপনি যখন বাসে উঠবেন যদি সিট থাকে তবে হেল্পার আপনাকে জামাই আদরে গাড়িতে উঠিয়ে নেবে। উঠানোর সময় আপনাকে বলবে সিটিং গাড়ি দাঁড়িয়ে লোক নেওয়া হবে না। কিছুদুর যাওয়ার পরই দেখবেন দাঁড়িয়ে ঠাসাঠাসি করে লোক নিচ্ছে। কিছুদূর যেতেই কিছু ত্যাদোড় লোক হেল্পারের সাথে ঝগড়া শুরু করবে কেন দাঁড়িয়ে লোক নেওয়া হল। আরো কয়েকজন তাকে সমর্থন করবে। শুরু হবে হেল্পারের সাথে যাত্রীদের তুমুলঝগড়া,যা গালিগালাজ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। গালি দিলে হেল্পার ওই যাত্রীর দিকে তেড়ে আসবে, ড্রাইভার সিটে বসে হেল্পারের সমর্থনে কিছু কথা বলবে। এই ঝগড়া চলতে চলতে গাড়ি মতিঝিল পৌঁছে যাবে। সবাই একসময় নেমে যাবে। ঝগড়া থেমে যাবে। বেশিরভাগ দিনই এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে।
এই ঘটনাটা যদি না ঘটে (না ঘটার সম্ভাবনা ৫%) তাহলে যা ঘটবে - গাড়ি জ্যামে পড়বে এটা চিরন্তন সত্য, যদি দুই একটা গাড়ি আপনার গাড়িকে ওভারটেক করে যায়, তবে শুরু যাবে ড্রাইভারের সাথে তুমুল ঝগড়া। একজন বলবে এই ব্যাটা তুই ড্রাইভার না হেল্পার?ড্রাইভার কে দুচারটা গালিও হজম করতে হবে। ধৈর্যশীল ড্রাইভার হলে চুপ করে থাকবে, আর ড্রাইভার ত্যাড়া হলে,ওই যাত্রী র চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করে দিবে। গাড়ির কিছু যাত্রী শুরু করবে জ্যামের কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে মুক্ত আলোচনা, প্রথমে দুইজনের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে, পরে এই আলোচনায় আরো ৪-৫ জন যোগ দেবে। একজন বলবে একই ফ্যামিলিতে তিন চারটা প্রাইভেটকার জ্যাম কিভাবে কমবে?এদের মধ্যে দুই একজন আশাবাদী লোকও পেয়ে যাবেন, যারা বলবে মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার হলে ট্রাফিকজ্যাম থাকবে না,নৈরাশ্যবাদী লোকটা তখন বলবে, এত মানুষ সব রাস্তা দোতালা করলেও জ্যাম কমবে না।
এখন গাড়িতে রাজনৈতিক আলোচনা খুবই কম হয়, তবে মাঝেমধ্যে কিছু অতি রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তি রাজনৈতিক আলোচনা শুরু করবে, এদের মধ্যে একজন শেখ হাসিনার উপর চরম খিপ্ত হয়ে উঠবে,পারলে আজই হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেয়।
যারা প্রতিদিন লোকাল বাসে যাতায়াত করেন তারা মিলিয়ে নিন,ঠিক বলেছি কিনা?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯