আপনি যদি প্রথম পর্ব পরে না থাকেন তাহলে অনুরোধ থাকবে প্রথম পর্ব পরে দ্বিতীয় পর্ব পড়া শুরু করবেন। পাঠকের সুবিধার্থে আমি শুরুতেই প্রথম পর্বের লিংক যুক্ত করে দিচ্ছে। প্রথম পর্ব পড়তে এখানে Click Here
(প্রথম পর্বের পর থেকে........)
বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বছরে ব্যাবসা শিক্ষা অনুষদকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ব্যাবসা শিক্ষার সকল ছাত্র ছাত্রীদের একটি করে প্রজেক্ট দেওয়া হয় এবং তারা শুধু মাত্র পাস করতে পারবে যদি তাদের গ্রুপ (প্রতি গ্রুপে আনুমানিক ১০জন) সেই প্রজেক্ট থেকে ইউএসডি এক মিলিয়ন ডলার লাভ করতে পারে। অবাক হওয়ার কিছুই নেই, এটাই বাস্তবতা। এবং এই কারনে পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইহুদীদের দখলে।
আপনারা কি কখনো ইহুদীদের প্রার্থনা করতে দেখেছেন? তারা প্রার্থনা করবার সময় সবসময় তাদের মাথা ঝাকায়। তারা বিশ্বাস করে তাদের এই কার্যকলাপ তাদের মস্তিষ্কে আরো অধিক পরিমান অক্সিজেন সরবরাহ করে। ( একই জিনিস ইসলাম ধর্মেও দেখা যায়- তারা নামাজের রাকাতের শেষে সালাম ফিরাবার সময় মাথা ডানে এবং বামে ঘুরায়।)
জাপানিজদের দেখলেও দেখতে পাবেন যে তারা তাদের একজন আরেকজনের সাথে দেখা হলে মাথা নামিয়ে সম্মান করে এবং এটা তাদের সংস্কৃতির অংশ। আর জাপানীজদের মাঝেও অনেক মেধাবী দেখা যায়। জাপানিজরা শুশী(তাজা মাছ) খেতে অনেক পছন্দ করে। আপনার কি মনে হয় মাথা নাড়ানো এবং মাছ খাওয়ার ব্যাপারটা কাকতালীয় কোনো ব্যাপার?
আমেরিকায় ইহুদীদের বানিজ্যিক কেন্দ্র নিউইয়র্কে অবস্থিত যেখান থেকে তাদের জন্য খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়। যদি কোনো ইহুদী ব্যাক্তির লাভজনক কোনো আইডিয়া থাকে তাহলে সেই বানিজ্যিক কেন্দ্র হতে সুদবিহীন মূলধনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় এবং সেটাকে সফল করতে সব ধরনের সহযোগীতা প্রদান করে থাকে। একই ভাবে জিউস কম্পানিতে যেমন - স্টারবাক্স, লিভাইস,হলিউড, ওরাকল, কোকাকোলা ডানকিন ডোনাট সহ যে সকল প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের ফ্রী স্পন্সরশীপ দেওয়া হয়।
নিউইয়র্কে ডাক্তারী পাস করে যে সকল ছাত্রছাত্রী বের হয় তাদেরকে এই বানিজ্যিক কেন্দ্রের আওতায় নিবন্ধন করে বেসরকারী ভাবে প্রেকটিস করতে সুদবিহীন লোনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এখন আমি বুজতে পারছি কেনো নিউইয়র্ক এবং কেলিফোর্নিয়ায় স্প্যাশালিস্ট ডাক্তারের এত অভাব।
আমি আগেও বলেছি ধূমপানের কারনে বংশপরম্পরায় বোকা/গর্ধব এক প্রজন্ম বেড়ে উঠে। ২০০৫ সালে আমি যখন সিন্গাপুর ভ্রমন করেছিলাম সেখানেও আমি অবাক হয়ে দেখেছিলাম ধুমপায়ীরা সমাজ থেকে বিতারিত এবং এক প্যাকেট সিগেরেটের দাম ইউএসডি সাত ডলার। ইসরাইলের মতই ধূমপান সেখানে প্রায় নিষিদ্ধ। সিন্গাপুরের সরকার ব্যবস্থা অনেকটা ইস্রাইলের মতন। আর এ কারনেই সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো অনেক উচ্চমানের। যদিও দেশটির আয়তন কেবল মাত্র আমেরিকার ম্যানহাটন শহরের সমান।
এবার একটু ইন্দোনেশিয়া দেশটার দিকে তাকান। সেখানে মোটামুটি সবাই ধুমপান করে। এক প্যাকেট সিগেরেটের দাম খুবই সস্তা, মাত্র ইউএসডি ০.৭ সেন্টস। ফলাফল লক্ষাধীক মানুষ কিন্তু জনসংখ্যার খুব কম সংখ্যক মানুষ মেধাবী! দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা আপনি হাতে গুনে বলে দিতে পারবেন, এমন কোনো কিছু তারা উৎপন্ন করে না যা নিয়ে তারা গর্ব করতে পারে, নিচু মানের প্রযুক্তি, এমনকি তারা তাদের নিজেদের ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় কথাও বলতে পারে নাহ। উদাহরন হিসেবে বলা যায়, তাদের দেশের মানুষদের জন্য ইংরেজীতে ভালো দখল নেওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আর এর কারন হচ্ছে ধূমপান করা, বাজে খাদ্যাভাস এবং তাদের সংস্কৃতি।
আমার এই গবেষনায়, ধর্ম এবং জাতি কোনটাই মূল বিষয় বস্তু ছিলো না। কেনো ইহুদীরা এত অহংকারি আর কেনই বা ফেরাউনের সময় থেকে শুরু করে হিটলারের সময় পর্যন্ত এত নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। আমার মতে বিষয়টা রাজনৈতিক এবং টিকে থাকার অদম্য বাসনা।
আমার এই গবেষনার মূল বক্তব্য ছিলো - আমরা কি ইহুদীদের মতন এমন একটা বুদ্ধিমান প্রজন্ম তৈরী করতে পারবো?
উত্তর হ্যা হতে পারে। কিন্তু এর জন্য আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হবে, পরিবর্তন করতে হবে আমাদের বাচ্চা লালন পালনের পদ্ধতিকে। তাহলেই হয়ত তিন প্রজন্ম পর এটা আমরা অর্জন করতে সক্ষম হব।
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, শান্তিতে থাকবেন এবং মানবজাতির কল্যানের জন্য একটি বুদ্ধিমান প্রজন্ম গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন, সে আপনি যেই হয়ে থাকেন না কেনো।
মূল লেখকঃ ডঃ স্টিফেন কার লিওন।
অনুবাদকঃ আসিফ ইকবাল তারেক।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০১