আজকাল বাংলাদেশের পত্রিকায় চোখ পড়তেই দেখা যায় নানান আজব গল্প,বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের শাষণামলের বিগত ৮/৯ বছর।আর আমাদের দেশের পত্রিকার প্রকাশক/সাংবাদিক এখনো ঘুমের ঘরে নতুবা জাগ্রত ঘুমে আছন্ন। আপনারা যারা আমার এই লিখা টি পড়ছেন তারা প্রশ্ন করতে পারেন আমি কেন এ কথাটি বললাম? সম্পূর্ণ লেখা টি পড়লে আপনারা বুঝতে পারবে আমি কেন একথা টি বলেছি।আমি আওয়ামী লীগে শাষণামলের বিগত সময়ের সম্পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরা সম্ভব না হলে ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরার প্রয়াস করবো বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা সমুহ উল্লেখ্য।
জন্মঃ ২০ নভেম্বর ১৯৬৭) হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।তিনি সাধারনতঃ তারেক জিয়া নামে পরিচিত; যার শেষাংশটি এসেছে তার পিতা বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম থেকে।
প্রিয় পাঠক আপনারা জানেন-
(বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষক শহীদ সাবেক রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ) সন্তান ও ভবিষৎ বাংলাদেশ রাষ্ট্র নায়ক জনাব তারেক রহমান।
গত ২৩/০৪/২০১৮ ইং।সন্ধ্যায় গুলশানে নিজ বাসায় শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের কাছে তারেক রহমানে নাগরিকত্ব নিয়ে ভুল তথ্য সাংবাদিক দের উপস্থাপন করেন।
লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার আলম বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন।
তারেক রহমানের বাংলাদেশি পাসপোর্ট জমা দেওয়া সংক্রান্ত একটি কাগজ উপস্থাপন করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। যুক্তরাজ্যের হোম অফিস থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠানো কাগজে তারেক রহমানসহ তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নাম রয়েছে। যুক্তরাজ্যের হোম অফিস থেকে পাসপোর্টগুলো বাংলাদেশ দূতাবাসে জমা দেওয়ার কথা লেখা রয়েছে চিঠিতে। চার বছর আগেই তিনি পাসপোর্ট হস্তান্তর করেছেন বলে জানিয়েছেন শাহরিয়ার আলম।(বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮ দৈনিক ইত্তেফাক)
প্রিয় পাঠক পাসপোর্টের কপি অথবা একটি বিট্রিশ হোম অফিসের একটি ভুলে ভরা চিঠি নকল করে জাতির সামনে তুলে ধরলেন আমাদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এটা একজন নয় হাজার হাজার বাংলাদেশি নাগরিকের এমন কি সাংবাদিক ও আইন বিশারদের মতে এটি একটি ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
২৬/০৪/২০১৮ (প্রথম আলোর রিপোর্ট) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যদি এই মুহূর্তে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না-ও থেকে থাকে, তাহলেও তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদ্যাপনের তথ্য জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
আনিসুল হক বলেন, মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাক্টের অধীনে তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
তারেক রহমানকে আপাতত বাংলাদেশের নাগরিক নন বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী। এই প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান যদি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নাগরিক হতে চান, তাহলে তিনি তা পারবেন বলেও মনে করেন আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি যতটুকু জেনেছেন, তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণের জন্য তাঁর পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। তার মানে তারেক বলছেন, তিনি আপাতত বাংলাদেশের নাগরিক থাকতে চান না। এখন তারেকের অবস্থান (স্ট্যাটাস) হচ্ছে, তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তার মানে তিনি এই মুহূর্তে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ডিনাই (অস্বীকার) করেছেন।
তারেক রহমানকে কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে, সে বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের কাছে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
আনিসুল হক বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশ ভূখণ্ডে অপরাধ করেছেন। অপরাধ সংঘটনের সময় তিনি বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন।
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী বিনিময় চুক্তি নেই জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এই চুক্তি করতে বাধা নেই। চুক্তি করার জন্য আলোচনা চলছে।
উপরের প্রথম আলোর সংবাদ টি পড়ে আপনারা কি মন্তব্য করছেন আমি জানি না,কিন্তু প্রথম আলোর পরিবেশিত সংবাদের নীচে কয়েক জন পাঠকের মন্তব্যে তুলে ধরলাম:-
পাঠকের মন্তব্য:-এক তারেককে নিয়ে আওয়ামীলীগের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত যেভাবে শুরু হাউকাউ শুরু করেছে তাতে মনে হচ্ছে আওয়ামীলীগে ভূমিকম্প হয়ে যাচ্ছে!
অথচ তারেক আছেন বিদেশে, কিন্ত পুরো আওয়ামীলীগ দেশে থেকেও বিদেশে অবস্থানরত তারেক রহমানের নাম জপে, আওয়ামীলীগ নেত্রী থেকে শুরু করে আন্ডাবাচ্চারা দিনে যতবার তারেকের নাম নেয় বিএনপি নেতাকর্মীরাও ততবার স্বরণ করে কি??
পাঠকের মন্তব্য:-তারেক রহমানকে দেশে আনতে পারি নাই, কিন্তু,পাসপোর্টের ফটোকপি নিয়া আসছি।
হি হি হি:
®আন্তর্জাতিক ক্ষ্যতি'সম্পন্ন মিথ্যাবাদী
কোটার মন্ত্রী শাহারিয়ার আলম
পাঠকের মন্তব্য:-এক তারেককে নিয়ে আওয়ামীলীগের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত যেভাবে শুরু হাউকাউ শুরু করেছে তাতে মনে হচ্ছে আওয়ামীলীগে ভূমিকম্প হয়ে যাচ্ছে!
অথচ তারেক আছেন বিদেশে, কিন্ত পুরো আওয়ামীলীগ দেশে থেকেও বিদেশে অবস্থানরত তারেক রহমানের নাম জপে, আওয়ামীলীগ নেত্রী থেকে শুরু করে আন্ডাবাচ্চারা দিনে যতবার তারেকের নাম নেয় বিএনপি নেতাকর্মীরাও ততবার স্বরণ করে কি!
কামাল হে তারেক রহমান!!
বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মাসুদ রেজোয়ানের দেয়া সাংবাদিকদের সাক্ষাৎ কারে বলেন পাসপোর্ট সমর্পণ করার সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনো সম্পর্ক নেই। সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট নিয়ে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
২৬/০৪/২০১৮ ইং আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিজি আরও বলেন, ‘কারও পাসপোর্ট না থাকলে তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল হয় না। যদি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর নাগরিকত্ব বাতিলের আবেদন করেন, তবে সেটা হবে ভিন্ন বিষয়। তবে তারেক এ বিষয়ে কোনো আবেদন করেছেন কি না, তা আমাদের জানা নেই।’
অতপর এ বিষয়ের উপর আপনারা যে যাই বলেন না কেন? এসব দেখার বা ভাবার সময় নাই আওয়ামী লীগ সরকারের। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের কার্যকলাপ সম্পর্কে আপনারা ভালো করেই জানেন।অতএব সংবাদ পত্রকে / গনমাধ্যমকে গনতন্ত্রের অন্যতম অংশ ধরা হয়, সংবাদ পত্র/টেলিভিশনের মাধ্যমে সাংবাদিকরা দেশের জনগন কে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন, গনতন্ত্রের সার্থে জনগনের অধিকার রক্ষায় সরকার ও বিরোধী দলের ভুল ও অন্যায় কার্যক্রম তুলে ধরাই সংবাদিক ও সংবাদ পত্রের প্রধান কাজ।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারে ভিন্ন অপকর্মের কথা দেশের সাংবাদিক ভাই ও সংবাদ পত্রের প্রকাশকরা কালো চশমার অন্তড়ালে দেখেও না দেখার অভিনয় করে গেছেন। আর গনমাধ্যমের এই নিরব ভুমিকার জন্য হয়তো একদিন তারা শান্তিতে নোবেল পাবেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্য কতটা তথ্য নির্ভর তা আমার সামান্য জ্ঞানের বাহিরে,যতদুর জানতে পেরেছি ২৮ শে জুলাই ১৯৫১ সালের জেনেভা কনভেনশনের আওতায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করার পর, আশ্রয় প্রার্থীর জন্য একটি interview নেয়া হয় এবং এই interview তে আশ্রয় প্রার্থীকে এই মর্মে আশা প্রধান করা হয় যে, উনার interview তে বলা সমস্ত কথা ও যাবতীয় ডুকুমেন্ট গুপণ রাখা হবে। আর আশ্রয় প্রার্থীর জাতীয়তা পরিচয়ের জন্য উনার পাসপোর্ট অথবা জন্মসনদ/ ভোটার আইডি এই তিনটির যে কোন একটি দিলেই চলবে।যদি আশ্রয় প্রার্থীর আবেদন গ্রহন যোগ্য হয় তবে তা আর আশ্রয় প্রার্থী পাবেন না।তা ২৮ শে জুলাই ১৯৫১ সালের জেনেভা কনভেনশনের আওতায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন আইনে সরকারে কাছে সংরক্ষিত থাকবে। আর নাগরিকত্ব বাতিলের তো প্রশ্নই আসে না কেননা আশ্রয় প্রার্থী যেহেতু বিদেশীদের ঐ দেশে প্রবেশ ও আশ্রয় পাওয়ার অধিকার সংক্রান্ত বিধির -৭৭১-১ ধারা অনুযায়ী ঐ দেশে অবস্থান বা বসবাস করছেন।
এখন দেখা যাক বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আইনে তারেক রহমানে নাগরিকত্ব নিয়ে কি বলে:-
নাগরিকত্ব প্রদান এবং নাগরিকত্ব বাতিলসহ এ ধরণের বিষয়গুলো 'দ্য সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট, ১৯৫১' এবং 'দ্য বাংলাদেশ সিটিজেনশিপ টেম্পোরারি প্রভিশন্স অর্ডার, ১৯৭২' এর আলোকে চলছে।
বাংলাদেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক জানিয়েছেন, বিদেশে অবস্থানরত কোন ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করতে চান, তাহলে তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বরাবর আবেদন করতে হবে। এ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট একটি ফর্ম আছে ঐ মন্ত্রণালয়ে।
যাচাই-বাছাই করে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রত্যয়ন দেয়, যে আবেদনকারীর নাগরিকত্ব বাতিল বা বর্জন করা হয়েছে।
বাংলাদেশে নাগরিকত্ব বিষয়ক আইনজীবী ড. কাজী আকতার হামিদ বলেছেন, কোন ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ বা বর্জন করতে চান, তাহলে প্রথমেই তাকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট সারেন্ডার করতে হবে।
তবে, সেই ব্যক্তি যদি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হন তাহলে যেকোনো সময় নিজের পাসপোর্ট পুনরায় 'ক্লেইম-ব্যাক' অর্থাৎ ফিরে চাইতে পারবেন তিনি।
কিন্তু জন্মসূত্রে অর্থাৎ পিতা-মাতার সূত্রে অথবা বাংলাদেশ ভূমিতে জন্মানোর কারণে নাগরিক না হলে, সেক্ষেত্রে কি করা হবে তা পরিষ্কার বলা নেই। অর্থাৎ পাসপোর্ট সারেন্ডার করলে আর ফেরত পাওয়া যাবে কিনা তা বলা নেই আইনে।
সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মিঃ হামিদ বলছেন, যখনি কোন ব্যক্তি তার পাসপোর্ট সারেন্ডার করে, সে রেফিউজি বা শরণার্থী হয়ে যায়। আর ১৯৪৫ সালের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী কয়েকটি কারণে লোকে শরণার্থী হয়। যেমন, রাজনৈতিক বিচারে নিপীড়নের শিকার হবার আশংকা থাকলে।
এক্ষেত্রে একেক দেশে একেক নিয়ম, কোন দেশ পাসপোর্ট নিয়ে নেয়, কোন দেশ নেয় না। যেমন, জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে পাসপোর্ট সারেন্ডার করতে হয়। কিন্তু যুক্তরাজ্যের বেলায় নিয়ম তা নয়।
এমনকি বাংলাদেশের কোন নাগরিক যদি যুক্তরাজ্যের নাগরিক হন, অর্থাৎ তিনি যদি দ্বৈত নাগরিক হন, তাহলে তাকে তার কোন পাসপোর্টই সারেন্ডার করতে হবে না।
এ নিয়ে ২০০৮ সালে সরকার এক গেজেট নোটিফিকেশন জারি করে।
আবার দ্বৈত নাগরিকত্বের ক্ষেত্রেও একেক দেশে একেক নিয়ম চলে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী যখনই কোন ব্যক্তি দেশটির নাগরিক হন, ঐ ব্যক্তির নিজ দেশের নাগরিকত্ব বাতিল করতে হয়।
কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, ঐ ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল হবে না।
এছাড়া, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হবার বা থাকার যোগ্য থাকবে না, যদি সেই ব্যক্তি দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্র বাদে কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের প্রতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আনুগত্য প্রকাশ করে।
এছাড়া বিদেশী রাষ্ট্রের কোনো বাহিনীতে যোগদান করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা অন্য কোনোভাবে উক্ত বাহিনীকে সহায়তা করা কিংবা এমন কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করা যে রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ যুদ্ধে লিপ্ত ছিল বা আছে---এমন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাবে কোন ব্যক্তির।
এছাড়া ১৮ বছর বয়সী যেকোনো প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি হলফনামার মাধ্যমে নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে পারবেন।
তবে দেশ যদি যুদ্ধে লিপ্ত থাকে সে সময় এই হলফনামার বিধান স্থগিত থাকবে।
এভাবে কেউ নাগরিকত্ব ত্যাগ করলে তার সন্তানেরও নাগরিকত্বের বাতিল হবে।
এছাড়া সরকার সময় সময় আদেশ দিয়ে কোনো ব্যক্তির নাগরিকত্বের অবসান ঘটাতে পারে।
অতপর এতে বুঝা যায় উপরুক্ত নিয়মে জনাব তারেক রহমানে নাগরিকত্ব বাতির কোন রকম আলামত নেই।
বাকিটুকু আগামীকাল——/