এই ইসলামিক স্টেটের কেন্দ্র হচ্ছে ইরাকের মসুল ও সিরিয়ার রাকা প্রদেশ। সিরিয়া-ইরাক সীমান্তের এক বিরাট অংশজুড়ে এখন ইসলামিক স্টেটের যে কথিত রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ২০০৩ সালের আগে সেখানে এ রকম কিছু ছিল না। তখন মসুল ছিল সাদ্দাম হোসেনের রাজত্বের অংশ। আর সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ তো আরও পরের কথা। তারপর বুশ আর ব্লেয়ারের ইরাক অভিযান।গুলশানের হলি আর্টিজান ক্যাফেতে নৃশংস হামলা চালিয়েছিল যেসব জঙ্গি, তাদের প্রশংসা করে ভবিষ্যতে আরও হামলার হুমকি এসেছে কথিত ইসলামিক স্টেট থেকে। তাই আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিযানের কথা উঠে এসেছে আমাদের দেশের গনমাধ্যম ও ভারতের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতে এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র
কিন্তু আমরা বাংলাদেশী কি একবার ও ভাবছি কি হয়েছিলো বুশ আর ব্লেয়ারের ইরাক অভিযানে:-
নিন্মে তার কিছু চিত্র তুলে ধরলাম:-
২০০৩ সালে ইরাকের স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের কাছে কথিত গণবিধ্বংসী অস্ত্র (উইপনস অব মাস ডেস্ট্রাকশন, ডব্লিউএমডি) থাকার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বকে বিপদমুক্ত করার ব্রত নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। প্রেসিডেন্ট বুশ ও প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সর্বনাশা বন্ধুত্ব সেদিন জাতিসংঘকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইরাকে সরকার বদলের যে সামরিক অভিযান চালিয়েছিল, তার রেশ আজও কাটেনি। সেই ধ্বংসের উন্মাদনা আজ বিস্তৃত হয়েছে ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও। রাকা থেকেই বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেটের হুমকি উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু সেই ইরাক আগ্রাসনের ঠিক ১৩ বছর পর ব্রিটেনের এক সরকারি তদন্তে এখন স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে, ইরাকে ডব্লিউএমডির গোয়েন্দা তথ্য ছিল ত্রুটিপূর্ণ এবং সামরিক অভিযান পরিচালনার যুক্তিগুলো মোটেও সন্তোষজনক ছিল না।
টনি ব্লেয়ারের উত্তরসূরি গর্ডন ব্রাউন এই তদন্তের উদ্যোগ নেন এবং স্যার জন চিলকটের নেতৃত্বে গঠিত কমিশন সাত বছর ধরে শুনানি অনুষ্ঠান, সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাইয়ের পর ৬ জুলাই বহুল প্রত্যাশিত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। প্রায় আট হাজার পৃষ্ঠার ২৬ লাখ শব্দের এই বিশাল প্রতিবেদনে হাজার হাজার অপ্রকাশিত রাষ্ট্রীয় ও গোপন নথিপত্র প্রথমবারের মতো প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলোর বিস্তারিত খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা বিতর্ক চলবে আরও অনেক দিন। তবে এই যুদ্ধের অন্যতম হোতা টনি ব্লেয়ার এখন স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন যে, গোয়েন্দা তথ্যের সঠিকতার বিষয়ে তাঁর উচিত ছিল আরও প্রশ্ন করা। তিনি এই যুদ্ধের ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন এবং ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে তিনি দাবি করেছেন, তিনি সজ্ঞানে কাউকে বিভ্রান্ত করেননি এবং সরল বিশ্বাসে যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েই গেছে। যুদ্ধে নিহত ব্রিটিশ সেনাদের পরিবারবর্গের অনেকে সে রকম ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
পাঠকদের অনেকেরই মনে থাকবে টনি ব্লেয়ারের সেই বিখ্যাত বিবৃতি যাতে তিনি বলেছিলেন, সাদ্দাম হোসেন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লে তা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ইউরোপে আঘাত হানতে পারে। সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা ও বিকলাঙ্গ করে দিয়েছেন। তাঁকে কোনোভাবেই বিশ্বাস করা যায় না এবং কোনো সুযোগ দেওয়া চলে না। মি. ব্লেয়ার এগুলো বলেছিলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে।
এখন আসি বাংলাদেশ প্রসংঙ্গে,জঙ্গি দমন করা চাই,আমাদের দেশে কোন জঙ্গির ঠাঁই আমার বাংলাদেশি কখনো দেবো না। কিন্তু আমাদের দেশের সেনাবাহিনীর সে যোগ্যতাও আছে ,আমাদের দেশের সেনাবাহিনী যদি বিশ্বের দরবারে শান্তি রাক্ষার কাজে প্রশংসিত হতে পারে তবে কেন বাংলাদেশর জঙ্গি দমন করতে পারবে না। নামান আমাদের দেশের সেনাবাহিনী মাঠে নামান,গোয়েন্দা বাহীনি কে কাজে লাগান।মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট আমার অত:পর আমাদের অনুরুধ ভারতীয় গোয়েন্দা বাহীনি আমরা বাংলাদেশের মাটিতে চাই না। আমরা ইরাক হতে চাইনা-চাইনা সিরিয়া হতে।