somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তারেক সালমান জাবেদ
তন্ত্র,মন্ত্র যতই জপি না কেন জবানে,যৌবনের আসিলে ঋতু রাজে,কোকিল কুহু কুহু সুরে গান করে, আমি পাগল তোমারি,প্রেম সুধা পানে, ভোমর পান করে মধু ফুলে বসে ,সে হোক গোলাপ বৈকি ঘাঁস ফুলে।আমার পরিচয় ছন্দের মাঝে।।

আমরা ইরাক হতে চাইনা-চাইনা সিরিয়া হতে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এই ইসলামিক স্টেটের কেন্দ্র হচ্ছে ইরাকের মসুল ও সিরিয়ার রাকা প্রদেশ। সিরিয়া-ইরাক সীমান্তের এক বিরাট অংশজুড়ে এখন ইসলামিক স্টেটের যে কথিত রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ২০০৩ সালের আগে সেখানে এ রকম কিছু ছিল না। তখন মসুল ছিল সাদ্দাম হোসেনের রাজত্বের অংশ। আর সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ তো আরও পরের কথা। তারপর বুশ আর ব্লেয়ারের ইরাক অভিযান।গুলশানের হলি আর্টিজান ক্যাফেতে নৃশংস হামলা চালিয়েছিল যেসব জঙ্গি, তাদের প্রশংসা করে ভবিষ্যতে আরও হামলার হুমকি এসেছে কথিত ইসলামিক স্টেট থেকে। তাই আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিযানের কথা উঠে এসেছে আমাদের দেশের গনমাধ্যম ও ভারতের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতে এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র


কিন্তু আমরা বাংলাদেশী কি একবার ও ভাবছি কি হয়েছিলো বুশ আর ব্লেয়ারের ইরাক অভিযানে:-
নিন্মে তার কিছু চিত্র তুলে ধরলাম:-
২০০৩ সালে ইরাকের স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের কাছে কথিত গণবিধ্বংসী অস্ত্র (উইপনস অব মাস ডেস্ট্রাকশন, ডব্লিউএমডি) থাকার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বকে বিপদমুক্ত করার ব্রত নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। প্রেসিডেন্ট বুশ ও প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সর্বনাশা বন্ধুত্ব সেদিন জাতিসংঘকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইরাকে সরকার বদলের যে সামরিক অভিযান চালিয়েছিল, তার রেশ আজও কাটেনি। সেই ধ্বংসের উন্মাদনা আজ বিস্তৃত হয়েছে ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও। রাকা থেকেই বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেটের হুমকি উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু সেই ইরাক আগ্রাসনের ঠিক ১৩ বছর পর ব্রিটেনের এক সরকারি তদন্তে এখন স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে, ইরাকে ডব্লিউএমডির গোয়েন্দা তথ্য ছিল ত্রুটিপূর্ণ এবং সামরিক অভিযান পরিচালনার যুক্তিগুলো মোটেও সন্তোষজনক ছিল না।
টনি ব্লেয়ারের উত্তরসূরি গর্ডন ব্রাউন এই তদন্তের উদ্যোগ নেন এবং স্যার জন চিলকটের নেতৃত্বে গঠিত কমিশন সাত বছর ধরে শুনানি অনুষ্ঠান, সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাইয়ের পর ৬ জুলাই বহুল প্রত্যাশিত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। প্রায় আট হাজার পৃষ্ঠার ২৬ লাখ শব্দের এই বিশাল প্রতিবেদনে হাজার হাজার অপ্রকাশিত রাষ্ট্রীয় ও গোপন নথিপত্র প্রথমবারের মতো প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলোর বিস্তারিত খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা বিতর্ক চলবে আরও অনেক দিন। তবে এই যুদ্ধের অন্যতম হোতা টনি ব্লেয়ার এখন স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন যে, গোয়েন্দা তথ্যের সঠিকতার বিষয়ে তাঁর উচিত ছিল আরও প্রশ্ন করা। তিনি এই যুদ্ধের ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন এবং ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে তিনি দাবি করেছেন, তিনি সজ্ঞানে কাউকে বিভ্রান্ত করেননি এবং সরল বিশ্বাসে যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েই গেছে। যুদ্ধে নিহত ব্রিটিশ সেনাদের পরিবারবর্গের অনেকে সে রকম ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
পাঠকদের অনেকেরই মনে থাকবে টনি ব্লেয়ারের সেই বিখ্যাত বিবৃতি যাতে তিনি বলেছিলেন, সাদ্দাম হোসেন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লে তা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ইউরোপে আঘাত হানতে পারে। সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা ও বিকলাঙ্গ করে দিয়েছেন। তাঁকে কোনোভাবেই বিশ্বাস করা যায় না এবং কোনো সুযোগ দেওয়া চলে না। মি. ব্লেয়ার এগুলো বলেছিলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে।



এখন আসি বাংলাদেশ প্রসংঙ্গে,জঙ্গি দমন করা চাই,আমাদের দেশে কোন জঙ্গির ঠাঁই আমার বাংলাদেশি কখনো দেবো না। কিন্তু আমাদের দেশের সেনাবাহিনীর সে যোগ্যতাও আছে ,আমাদের দেশের সেনাবাহিনী যদি বিশ্বের দরবারে শান্তি রাক্ষার কাজে প্রশংসিত হতে পারে তবে কেন বাংলাদেশর জঙ্গি দমন করতে পারবে না। নামান আমাদের দেশের সেনাবাহিনী মাঠে নামান,গোয়েন্দা বাহীনি কে কাজে লাগান।মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট আমার অত:পর আমাদের অনুরুধ ভারতীয় গোয়েন্দা বাহীনি আমরা বাংলাদেশের মাটিতে চাই না। আমরা ইরাক হতে চাইনা-চাইনা সিরিয়া হতে।


সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:০৩
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×