কিভাবে ইসলাম ধর্মের ভেতর এত কুসংস্কার আসলো, কেনো মুসলিম পরিবারে জন্ম হয়েও জন্মের পর ধর্মীয় শিক্ষা পাওয়ার পরেও আমরা মুসলমানরা জিনা, ব্যাভিচারে এতটা লিপ্ত?? বইটা পড়তে গিয়ে তার কিছূটা উত্তর জানতে পারলাম। তার একাংশ নিচে তুলে ধরলাম।
- "মিশরের মুসলমানদের কেও আমরা আয়ুবীর বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে পারবো।" এক খৃষ্টান কমান্ডার বললো, " মিঃ রজব, মনে কিছু না করলে বলবো, মুসল্মানদের ভেতর ধর্মীয় আবেগ সৃষ্টি করে একজনকে দিয়ে আরেকজনকে হত্যা করানো কঠিন নয়। আমাদের ধর্মে বান্দা এবং খোদার মাঝে এসে দাঁড়িয়েছেন পাদ্রীরা। ইসলামেও কোন ইমাম মসজিদ দখল করে খোদার এজেন্সি নিয়ে বসে আছেন।
আমাদের সম্পদ আছে। টাকা দিয়ে মৌলভী করে আমরাও মিশরের মসজিদে বসিয়ে দিতে পারি। খৃষ্টান দের মধ্যে অনেকে কোরান এবং ইসলামের জ্ঞানে পারদর্শী। ওদেরকেও মুসল্মান দের ইমাম হিসেবে নিয়োগ করা যায়। সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মসজিদে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। মৌলিভীরা ওয়াজের মাধ্যমে মানুষকে কুসংস্কারের বেড়াজালে আবদ্ধ করবে। তখন স্বাভাবিক ভাবেই আয়ুবির দাপট কমে যাবে।"
"একাজ এখনি শুরু করা উচিত। বললো রজব, "আয়ুবি মিশরে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। শিশু, কিশোর, যুবক সবাই ওখানে ধর্মের সঠিক শিক্ষা পাচ্ছে।সে আসার পূর্বে মিশরে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলনা। লোকজন মসজিদে খোৎবা শুনত, যেখানে বেশিরভাগ থাকত খলিফার প্রশংসা।
মানুষের জ্ঞানের চোখ খুলে গেলে আমাদের কাজ করতে কষ্ট হবে। দেশ শাসন করতে হলে মানুষকে দৈহিক ও মানসিকভাবে পরনির্ভরশীল রাখতে হয়।"
"মিঃ রজব! এক কমান্ডার মৃদু হেসে বললো, "..............................আমরা সরাসরি কিছু করার পক্ষে নই। তবে মানসিকভাবে গোঁড়া মুসল্মানদের বিকলাংগ করার জন্য সব কিছুই করা হচ্ছে।
ভেবে দেখুন,........... বিত্তশালী পরিবারের তরুণ তরুণীরা অশ্লীলতা বেহায়াপনায় ডুবে যায়নি???
আমাদের পাঠানো খৃষ্টান মেয়েরা মুসলমানের ছদ্মবেশ নিয়েছে। মুসলিম যুবকদের ভালোবাসার জালে ফেলে একজনকে দিয়ে আরেকজনকে হত্যা করাচ্ছে। কায়রোর স্থানে স্থানে এখন আকর্ষণীয় জুয়ার আখড়া। দুটো মসজিদে রয়েছে আমাদের পাঠানো ইমাম।ওরা ইসলামের রুপ পাল্টে দিচ্ছে। জেহাদের তাৎপর্য্য ব্যাখ্যা করছে ভিন্ন ভাবে।
ওখানে আলেমের ছদ্মবেশ নিয়ে আছে আমাদের বেশ কিছু লোক। ওরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে মুসলমানদের বুঝাচ্ছে। বন্ধু এবং শত্রুর ধারণা পাল্টে দিচ্ছে। আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি, ক'বছর পর ওরা নিজেদের মুসল্মান বলে গর্ব করলেও ওদের মন-মানসিকতায় থাকবে খৃষ্টানদের সভ্যতা-সংস্কৃতি। ওরা কথা বলবে আমাদেরই ভাষায়, চিন্তা করবে আমাদের মস্তিষ্ক দিয়ে।"
[পৃষ্ঠাঃ ১৭১, প্রথম পর্ব, ক্রুসেড সিরিজ]
.
উল্লেখ্য, রজব একজন মুসল্মান ছিল। নারী, মদ, স্ফুর্তি এসবের সাথেও জড়িত ছিল। শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে সালাউদ্দীন আয়ুবীর মতো একজন ধর্ম পরায়ণ শাসকের বিরুদ্ধে খৃষ্টান দের সাথে হাত মিলায় এবং ইসলামের চিহ্ন নিঃশ্চিহ্ন করতে চায়।
* * * * *
খৃষ্টান-ইহুদীরা আজ স্বার্থক তাদের ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে।এই জাল ১১০০সালের আগ থেকে শুরু করে আজ ২০১৭ সাল পর্যন্ত একই ভাবে বিছিয়েই আসছে। তারা কিভাবে মুসলমান দিয়ে মুসল্মানদের শেষ করে দিচ্ছে, কিভাবে মুসল্মানদের দিয়েই ইসলাম ধর্মটাকে নিঃশেষ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে আজ হাজার বছর ধরে, এই বইটা না পড়লে তা জানতেও পারতাম
না। এই ষড়যন্ত্রের ইতিহাস, এক-দু'দিনের নয়, শত বছরের নয়, প্রায় হাজার বছরের ইতিহাস। কিন্তু আফসোস, তখনো মুসল্মানরা ঘুমিয়ে ছিল, আজও মুসল্মানরা ঘুমিয়েই আছে। অবশ্য ঘুমিয়ে আছে বললে ভুল হবে।আমরা জেগে জেগে ঘুমোচ্ছি।যারা জেগে ঘুমায়, তাদের কখনোই সত্যিকার ভাবে জাগান যায়না।