বাবাঃ কিরে তোর ইন্টারভিউ কবে?
ছেলেঃ আর বেশি দিন নেই।
বাবাঃ প্রিপারাশন কেমন নিচ্ছিস? তুই তো কোন
কালেও ভালো স্টুডেন্ট ছিলি না। পরীক্ষা তে
সারা জীবনই টেনে টুনে পাশ করে আসলি। আল্লাহ ই
জানে চাকরীর ইন্টারভিউ কেমন দিবি??
ছেলেঃভালোভাবেই প্রিপারেশন নিচ্ছি বাবা।
তার পরো ভয় করছে।
বাবাঃ ভয় পাস না। আজ একজনের সাথে কথা হল।
বললো, পরীক্ষকের হাতে দু'চার পয়সা ধরিয়ে দিলেই,
চাকরী নিশ্চিত। আমার কি আর টাকার অভাব
আছে?? তুই পার পেয়ে যাবি।
.
.
.
পরীক্ষার দিন (ইন্টারভিউ শেষে)-
বাবাঃ কিরে গোমরা মুখে আছিস কেনো?
ছেলেঃ আমার চাকরী টা হয়নি।
বাবাঃ হয়নি মানে?? আমি পুরো ১লক্ষ টাকা উপহার
দিয়েছি।
ছেলেঃ তার চেয়েও বেশি টাকা আরো অনেকেই
দিয়েছে। তাই ওদের চাকরী হয়েছে।
বাবাঃ (রেগে-মেগে আগুন) বললেই হলো??? মগের
মূল্লুক নাকি?? টাকাই কি সব?? মেধার কোন মুল্য
নেই????
.
.
.
.
.
.
অবশেষে-
ব্যানার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন।
"ঘুষ দেয়া ও নেয়া আঈনত দন্ডনীয় অপরাধ।" "অপরাধীর
বিচার হোক।" "ঘুষের প্রচলন বন্ধ হোক, মেধার উপযুক্ত
মুল্যায়ণ হোক।"
.
.
.
*টাকার বিনিময়ে নিজের ছেলেকে চাকরী পাইয়ে
দেবার চিন্তা যখন করেছিলেন,তখন মনে হয় কর্তা
মহাশয় নীতি কথা ভুলে গিয়েছিলেন যে "মেধার
উপযুক্ত মুল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন, টাকার নয়।"
হাহাহা।।।।।
.
.
.
সারমর্মঃ আমরা যারা নিজেদের ভুক্তভুগী বলে
দাবি করি, একটু ভাবলে দেখা যাবে আমাদের
ভোগান্তির জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। টাকা
দিয়ে কিছু পাওয়ার আগে একবার অন্তত বিবেক
খাটিয়ে ভেবে দেখা উচিত আমার পেছনে যে
ছেলেটা বা মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে তার কি সেই
পরিমান টাকা দেয়ার সামর্থ্য আছে কিনা???
অন্যের রিজিক নষ্ট করলে বা কেড়ে নিলে, আল্লাহ ও
অন্য কোন এক দিকে আমাদের রিজিক নষ্ট করে দিতে
পারে। এইকথা সবারি মাথায় রেখে চলা উচিত।