শাহবাগ পৌছতে পৌছতে ৫ টা ৪৫ বেজে গেল। ব্লগের আড্ডা শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকাল ৫ টা থেকে। একটু না হয় দেরীই হলো। ৫টা ৪৮ এ ছবির হাটে পৌছে দেখি বেশ কিছু পরিচিত মুখ। এদের সাথে প্রায়শই দেখা হয়, আড্ডা হয়। দুয়েকটা নতুন মুখ ছড়িয়ে ছিটিয়ে। শুরুতেই এগিয়ে আসলেন শান্তির দেবদুত ভাই। অনেকদিন পর উনার সাথে দেখা। তার আগে দেখা হয়েছিল উনার বিয়ের অনুষ্ঠানে। তারপর একে একে কথা হলো পারভেজ ভাই, মুহিব ভাই, ছন্নছাড়ার পেন্সিল, রোহান ভাই, ক্যামেরাম্যান ভাই, হাসান মাহবুব ভাইয়ের সাথে। এর মধ্যে কেবল রোহান ভাই আর হামা ভাইয়ের সাথে নতুন করে দেখা হলো। রোহান ভাই স্বাস্থ্যবান হ্যান্ডসাম মানুষ। হামা ভাইকে ব্লগে যতোটা সরব দেখি আড্ডায় ঠিক ততোগুন পাল্লা দিয়ে নিরব!
যাই হোক নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা চলতে লাগলো। শুরতেই উপস্থিতি দেখে কেউ কেউ কিছুটা হতাশা প্রকাশ করলো। একটু পরেই রঙ্গমঞ্চ মানে আড্ডা মঞ্চে একজন বিশালদেহীর পদার্পন। জানা গেল উনার নাম জিয়া। আমি একধাপ এগিয়ে জিজ্ঞেস করে বসলাম- আপনি কি এস্কিমো ভাই? উত্তর আসলো নেতিবাচক। উনি আবার রহস্য করে নিজের নিক বলছেন না। কেবল জানাচ্ছেন নতুন নিক। আমি পুনঃরায় বললাম- ভাই, ব্লগে যে যে নতুন আর কে যে পুপা ঠিক ধরা যায় না। তারপরেও রহস্য। অবশেষে বলেই বসলাম- আপনি আবার লোকালটক নাতো? অনেক রহস্য শেষে উনি নিকটা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু অতীব দুঃখের সাথে জানাচ্ছি আমি তা ভুলে গেছি।
তারপর আসলো রাতমজুর ভাই। একটু পর অপরিচিত একজনের আগমন। এসেই চকিত নয়নে এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন। আমি তখন পেন্সিলকে বলছি এ নিশ্চয়ই ব্লগার। একটু পর মোবাইল বের করলো অপরিচিত জনটি। আমি পেন্সিলকে বললাম- দেখো এখন রামু ভাইয়ের মোবাইল বাঁজবে। হলোও তা। অপরিচিত জনটি একজন ব্লগার। উনার নিকটাও কি ভুলে গেলাম!! কি যে ভুলোমনা হয়েছি ইদানিং!!! (এখন মনে পড়ছে। উনার নিক স্পর্শহীন কিছুদিন )
তারপর একজন এসে আমাকে দেখেই চিনে ফেললো। বুঝলাম ব্লগে খাবারযুক্ত ছবির ফলাফল এটা। উনি ব্লগার মাতব্বর। মাথার হেলমেট দেখে কেউ কেউ কৌশিক ভাই ভেবে ভুল করতে পারে অবশ্য। সবাই গল্প করছি। দেখি ছবির হাটে এক দোকানের পাশে আমাদের ডটু রাসেল ভাই। উনি কি করতেছিলেন তা এখন আর নাই বলি। কাক ভুষুন্ডি ভাই কিছুক্ষণ পর কা কা করতে করতে আড্ডায় চলে আসলো। অপরদিকে ভবতে ভাবতে চলে আসলো ব্লগার ভেবে ভেবে বলি। এরপরেই আসলো মেজবাহ য়াযাদ ভাই।
সবার কাছ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে টাকা তোলা হলো। আর আগেই অবশ্য পারভেজ ভাই ভেগেছেন। ডটু রাসেল ভাই থাকবেন না বলেও টাকা দেওয়া থেকে নিস্তার পেলেন না। ইফতার আয়োজন করতে আমি আর মাতব্বর ভাই গেলাম। মাতব্বর ভাইয়ের একটাই আফসোস তিনি আড্ডা মিস করছেন। সন্ধ্যার দিকে ফিরে দেখি আরো অনেক ব্লগারের আগমন। এরই মধ্যে চলে এসেছে দূর্ভাষী ভাই, অন্ধ দাড়কাক, চাচামিঞা, কালপুরুষদা, শ।মসীর ভাই, সাইকেলওয়ালা। আর কে কে জানি আসলো নামতো ভুলে গেছি!
সবমিলিয়ে ২৫ জন ব্লগার একত্রিত হয়েছি আজকের ব্লগাড্ডায়। তবে গোয়েন্দাসূত্রে জানা গেছে প্রায় অর্ধশত ব্লগনিক হাজির হয়েছে আজকের আড্ডায়। এরই মধ্যে সবাই ইফতার শুরু করলাম। ইফতারের মধ্যেই আড্ডা চলতে লাগলো। তখনই এসে হাজির বারবার আড্ডা পোস্ট বার বার রিপোস্ট করা ব্লগার আবদুল্লাহ আল মনসুর। কাউয়া ভাই আবার ছবি তুলে সবাইকে ডিসটার্ব করতে লাগলেন। উনি আমার খাওয়ার সময় হেব্বি ডিসটার্ব করেছেন। এইজন্য মামলা করা উচিত কিনা বুঝতে পারছি না।
যারা যারা ব্লগাড্ডায় আসেন নি তারা যে কি মিস করেছেন!
ঁঁঁ আজকের আড্ডায় উপস্থিত কারো নাম ভুলে উল্লেখ না করলে প্লিজ জানান। ঁঁঁ
(আলসেমী লাগতাছে। আরো কিছু লেখা যোগ করার ইচ্ছা আছে। একটু জিরিয়ে নেই )