somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"ম্রিয়া" একটি সোভিয়েত স্বপ্ন

২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


চিন্তা করুন, এমন একটি বিমানের কথা যেটি ৬৪০ টন ওজন নিয়ে ১২ কিলোমিটার উপর দিয়ে একনাগাড়ে ৪০০০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে পারে!মানুষের এই চিন্তাকে সেই ১৯৮৮ সালে বাস্তবে রুপদেয় এক সোভিয়েত পাখি যার নাম "ম্রিয়া"। মডেল নাম্বার "এ এন-২২৫"।প্রস্ততকারক বর্তমান ইউক্রেইনের "এন্তোনভ ডিজাইন ব্যুরো"।ইউক্রেইনিয়ান ভাষায় ম্রিয়া শব্দের অর্থ "স্বপ্ন"।এটি মূলত তৈরি হয়েছিল মহাকাশযান "বুরান" পরিবহনের জন্য। (এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসতে পারেন আমার পূর্বের পোস্টে Click This Link)


প্রথমদিকে দুটি বিমান বানানোর পরিকল্পনা থাকলেও পরে অর্থের অভাবে একটি বানানো হয়।
এতে মোট ৬টি D-18T turbofan ইঞ্জিন রয়েছে।এর ল্যান্ডিং গিয়ারে চাকার সংখ্যা ৩২টি,ল্যান্ডিং এর জন্য এর ৬০ মিটার চওড়া ৩-৩.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রানওয়ের প্রয়োজন হয়।এত বড় যান চালানোর জন্য লোকজন বেশি লাগবে বৈকি!!এতে ৬ জন পাইলট প্রয়োজন হয়।কার্গো হোল্ড এর দৈর্ঘ্য ৪৩ মিটার,উচ্চতা সাড়ে ৬ মিটার।


এখন পর্যন্ত মনুষ্যনির্মিত সবচেয়ে বড় আকাশযান,গিনেস বুকে এর কয়েকটি রেকর্ড থাকবে,তাতে আর আশ্চর্য কি!!!ম্রিয়া প্রথম ফ্লাইটের পর প্রায় ২৮ বছর পেরিয়ে গেছে ,কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন বিমান এর ধারে ধারে কাছে আসতে পারেনি।এটি সোভিয়েত যুগের বিজ্ঞানের একটি গর্ব,যা সোভিয়েতের প্রবল সমালোচকরাও স্বীকার করেন।আগস্ট ২০০৯ এ এটি আর্মেনিয়ায় ১৯০ টন ওজনের একটি গ্যাস জেনারেটর বহন করে নিয়ে যায়,যা এখন পর্যন্ত আকাশে বহনকৃত সবচেয়ে বেশি ওজনের কার্গো।বর্তমানে এটি বিভিন্ন ধরনের বেসামরিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে ব্যবহৃত অন্যান্য বিমান থেকে এটি কত বড় তা নিচের ছবিটি দেখলেই বোঝা যাবে।


আরো জানতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৬
৬টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×