চিন্তা করুন, এমন একটি বিমানের কথা যেটি ৬৪০ টন ওজন নিয়ে ১২ কিলোমিটার উপর দিয়ে একনাগাড়ে ৪০০০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে পারে!মানুষের এই চিন্তাকে সেই ১৯৮৮ সালে বাস্তবে রুপদেয় এক সোভিয়েত পাখি যার নাম "ম্রিয়া"। মডেল নাম্বার "এ এন-২২৫"।প্রস্ততকারক বর্তমান ইউক্রেইনের "এন্তোনভ ডিজাইন ব্যুরো"।ইউক্রেইনিয়ান ভাষায় ম্রিয়া শব্দের অর্থ "স্বপ্ন"।এটি মূলত তৈরি হয়েছিল মহাকাশযান "বুরান" পরিবহনের জন্য। (এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসতে পারেন আমার পূর্বের পোস্টে Click This Link)
প্রথমদিকে দুটি বিমান বানানোর পরিকল্পনা থাকলেও পরে অর্থের অভাবে একটি বানানো হয়।
এতে মোট ৬টি D-18T turbofan ইঞ্জিন রয়েছে।এর ল্যান্ডিং গিয়ারে চাকার সংখ্যা ৩২টি,ল্যান্ডিং এর জন্য এর ৬০ মিটার চওড়া ৩-৩.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রানওয়ের প্রয়োজন হয়।এত বড় যান চালানোর জন্য লোকজন বেশি লাগবে বৈকি!!এতে ৬ জন পাইলট প্রয়োজন হয়।কার্গো হোল্ড এর দৈর্ঘ্য ৪৩ মিটার,উচ্চতা সাড়ে ৬ মিটার।
এখন পর্যন্ত মনুষ্যনির্মিত সবচেয়ে বড় আকাশযান,গিনেস বুকে এর কয়েকটি রেকর্ড থাকবে,তাতে আর আশ্চর্য কি!!!ম্রিয়া প্রথম ফ্লাইটের পর প্রায় ২৮ বছর পেরিয়ে গেছে ,কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন বিমান এর ধারে ধারে কাছে আসতে পারেনি।এটি সোভিয়েত যুগের বিজ্ঞানের একটি গর্ব,যা সোভিয়েতের প্রবল সমালোচকরাও স্বীকার করেন।আগস্ট ২০০৯ এ এটি আর্মেনিয়ায় ১৯০ টন ওজনের একটি গ্যাস জেনারেটর বহন করে নিয়ে যায়,যা এখন পর্যন্ত আকাশে বহনকৃত সবচেয়ে বেশি ওজনের কার্গো।বর্তমানে এটি বিভিন্ন ধরনের বেসামরিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে ব্যবহৃত অন্যান্য বিমান থেকে এটি কত বড় তা নিচের ছবিটি দেখলেই বোঝা যাবে।
আরো জানতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৬