বর্তমান সরকারের কাছে যত ইস্যু, আমার কাছে তারচেয়েও বেশি। কোনটা রাখি কোনটা ছাড়ি বুঝতে পারছিনা।
ঝড়ের বেগেই ইসমিকা এসে হাজির হয়েছিল এই পরবাসে আবার রোয়ানুর বেগে চলে গেল, এই আসা আর যাওয়ার মাঝে রেখে গেল অনেক স্মৃতি। কিন্তু বড়মার কড়া নিষেধ এই বিষয়ে কিছুই লেখা যাবেনা তাই ইসমিকাকে নিয়ে আপাতত কিছুই লিখতে পারছিনা।
তারউপর পাশের ফ্ল্যাটে এক বাংলাদেশি পরিবার উঠছে ভদ্রলোক এসআইএ ই্ন্জিনিয়ারিং এ সিনিয়র অফিসার আর উনার ওয়াইফ এইস আর্কি ফার্মে সিনিয়র কন্সাল্টেন্ট, সবচেয়ে বড় কথা হল উনাদের দুইটা মেয়ে আছে নিশি আর নীলু। এমন সুন্দর মেয়ে পরীর জগতের শাহজাদিও হয় কিনা আমার সন্দেহ আছে, নিশ্চয় এইমেয়ে দুইটা অন্য কোন গ্রহথেকে এসেছে। মানুষ কন্যা এত সুন্দর হতে পারেনা।
পড়াশোনা আর কাজের চাপের মধ্যেও গতকাল শর্ট নোটিশে নেক্স শপিংমলে গেলাম "এক্স-ম্যান" ছবিটা দেখতে, সাথে নিশি আর নীলু দুইজন। হলে বসতে গিয়ে ভাবলাম আমার পাশে হয়তো নিশি বসবে ওর পাশে নীলু কিন্তু দেখা গেল আমি মাঝে এরা দুইজন দুই পাশে, প্রথমে কিছুটা অসস্থী লাগলেও পরে ঠিক হয়ে গেছে।
ছবি চলাকালিন ২/৪ সেকেন্ডের কিছু অভিনয় সত্যি সত্যি আমাকে বিভ্রত করে ফেলেছে, ডানে বামে তাকিয়ে দেখতাম এরা কি করছে। বিদেশে জন্ম নেয়া মেয়ে দুইটা একেবারেই বিদেশিদের মত হয়েছে, এই ২/৪ সেকেন্ডের অভিনয়ে একটু বিভ্রত হয়নি।
ছবি শেষ করে বাহিরে আসতেই অন্য একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হল, পোষাক আর চুলেরে কালারে মনে হয়েছিল এই বুঝি চাইনিজ অথবা ইউরোপ আমেরিকার মেয়ে কিন্তু উনার মুখে বাংলা কথা শুনে কেমন জানি প্রেমে পরে গেলাম একেবারে প্যারাসুট ছাড়া ১৮ হাজার মাইল উপর থেকে পরার মত করে।
পরিচয়ের পরই পাশের "পরটা ওয়ালা" রেষ্টুরেন্টে সবার ভুরি ভুজন শেরে ফেল্লাম, এই খাবারের সময়টাতে নিশিকে কেমন অস্থির লাগছিল যেন এখান থেকে বাহিরে আসলতে পারলেই বাচে। খাবারের মানের দিকে এই রেষ্টুরেন্ট ১০/৯ পাবার যোগ্য যদিও দাম একটু বেশি তবে আজকে দাম নিয়ে আমাকে চিন্তা করতে হয়নি বিদেশি সাজে বাঙ্গালি ম্যাডামই বিল পেইড করেছে। আমার দায়িত্ব শুধু খানা আর খানা, একাই শেষ দিছি ৪টা নান আর ২ প্লেট চিকেন তান্ধুরি। অপরদিকে ৩জনে মিলে শেষ করেছে ১ প্লেট তান্ধুরি আর ১টা নান।
অনেকদিন পর ফ্রীতে একখান তৃপ্তির খাবার খেয়ে বাসার পথে পা বাড়ালাম, যদিও বাসে যাওয়া যায় কিন্তু নিশি টেক্সিতে যেতে চাইলো তাই ৩জন একটা এসএমআরটির টেক্সিতে উঠে বসলাম। টেক্সিতে উঠে ঐ ম্যাডামের মোবাইল নাম্বারটা নিলাম আমার কার্ড দিতে যাব এমন সময় নিশি ড্রাইভারকে সংকেত করল চলার জন্য, কার্ড আর দেয়া হলনা শুধু হাত নেড়ে বিদায় দিলাম।
টেক্সিথেকে নামার সাথে সাথেই নিশি ভাড়া দিয়ে দিল, আমার আজকের কপালটাই ভাল মুভির টিকেট নিশির বাবা কিনে দিয়েছে খাবারের বিল বাঙ্গালী ম্যাম দিয়েছে টেক্সিভাড়া নিশি দিয়েছে। সব মিলিয়ে দিনটা অন্যরকম ভাল কাটছে।
বাসার গেইটে আসতেই নীলু চলে গেল উদের বাসায় আর নিশি আমার সাথে আমার বাসায় আসল। সুফায় বসতে বসতে বল্ল বাসায় কি কফি পাওডার বা চা পাতা আছে? হ্যা বলতেই কেমন সুরসুর করে কিচেনের দিকে হাটা দিল, ১০ মিনিটে মধ্যেই দুইকাপ কফিনিয়ে ফিরে আসল। আমি অশ্চর্য হয়ে মেয়েটাকে দেখছি আর ভাবছি হঠাৎ এমন করলো কেন?
যা হবার ভালই হচ্ছে তাখলে আর আমার এত চিন্তার কি আছে, আজ মনে হয় আমার কন্যা রাশি..............
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২০