নিরাপদ সড়ক এর দাবিতে বেশ কয়েকদিন ছাত্র জনতার এক মহামিলন লক্ষ করল বিশ্ববাসী । বাংলাদেশ এর ছাত্রছাত্রীরা প্রথম এ মাঠে নামলে ও পরে সর্বস্তরের মানুষ এর সমর্থন এ রাজপথে নামে । তাদের সবার একটা ই দাবি ছিল নিরাপদ সড়ক চাই । সরকার এই দাবির মুখে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহন করেছে । ছাত্র – জনতার আন্দোলন শুরু হয়েছিল শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টরমেন্ট কলেজ এর দুজন ছাত্রছাত্রী এর উপর জাবাল এ নুর পরিবহন এর বাস উঠিয়ে দিয়ে হত্যা করার ঘটনায় । সরকার সেই বাস এর রুট পারমিট বাতিল করেছে । চালক ও মালিক কে গ্রেপ্তার করেছে । ছাত্র-জনতার দাবির মুখে সড়ক পরিবহন আইন দ্রুত পাশ করতে যাচ্ছে । ট্রাফিক সপ্তাহের মাধ্যমে ট্রাফিকদের আরো দক্ষ করার পদক্ষেপ গ্রহন করেছে । তা ও জনগন ও ছাত্র-ছাত্রীদের মনে সন্দেহ থেকে ই যাচ্ছে সত্যি ই কি আমরা নিরাপদ সড়ক ফিরে পাবো , না কি আবার ও এক ই অবস্থা থেকে যাবে । আবার সবাইকে রাজপথে নামতে হবে । তবে রাজপথে নামলে ই কি এ সমস্যার সমাধান হবে না অন্য কোণো উপায়ে এর কার্যকর সমাধান করা যায় ? হ্যা । রাজপথ এ নেমে আন্দলন করার চেয়ে কার্যকর মনিটরিং এর মাধ্যমে এর সহজ সমাধান করতে পারবে দেশবাসী । কিভাবে ? আমরা যদি ভাগ ভাগ করে সবাই প্রতি মাসে একবার অথবা কয়েকমাস পর পর রাস্তায় নেমে চালকদের লাইসেন্স চেক, গাড়ীর ফিটনেস চেক , এসব চেক করি তাহলে কিন্তু আমরা বাস , ট্রাক এসবের চালকদের একটা চাপে রাখতে পারবো । এতে করে অনেক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হবে । এছাড়া আমরা যদি যাত্রাপথে একটু সতর্ক থাকি যেমন ; অদক্ষ চালক বাস , ট্র্যাক এসব চালাচ্ছে কি না ? এসব ড্রাইভার অপ্রাপ্তবয়স্ক কি না ? তারা গাড়ীতে ড্রাইভিং এর সময় ঘুমাচ্ছে কি না ? উল্টাপথে গাড়ি আসছে কি না ? কোথাও ট্রাফিক জ্যাম লেগে থাকলে যদি তা বিশৃঙ্খল পরিবহন ব্যবস্থার কারনে হয় তবে তা ঠিক করে দেওয়া । এসব যদি আমরা সবাই মিলে দেখতে পারি এবং ট্রাফিক কে জানাতে পারি , যদি তারা ব্যবস্থা না নেয় তবে নিজেরা একজোট হয়ে ব্যবস্থা নিতে পারি তবে হয়তো বা রাজপথ এ নামার চেয়ে এটি ই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হবে । বাংলাদেশের সড়ক নিরাপদ হোক এটাই আমাদের সকলের প্রত্যাশা ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৬